• হোম
  • একাডেমি
  • মাদরাসা
  • নবম-দশম শ্রেণি
  • প্রাক-ইসলামি পটভূমি ও রাসুল (স.) এর মক্কা জীবন
প্রাক-ইসলামি পটভূমি ও রাসুল (স.) এর মক্কা জীবন

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

প্রাক-ইসলামি পটভূমি ও রাসুল (স.) এর মক্কা জীবন

মেসোপটেমীয় সভ্যতা

মিসরীয় সভ্যতায় সমসাময়িককালে ইরাক অঞ্চলের টাইগ্রীস (দজলা) এবং ইউফ্রেটিস (ফোরাত) নদীর মধ্যবর্তী ভূমিতে সময়ের ব্যবধানে বেশ কয়েকটি নগর সভ্যতার উন্মেষ ঘটে। একত্রে এ সভ্যতাসমূহকে 'মেসোপটেমীয় সভ্যতা' বলে। মেসোপটেমীয় সভ্যতার মধ্যে রয়েছে সুমেরীয়, ব্যাবিলনীয়, অ্যাসিরীয়, আক্কাদীয় ও কালদীয় সভ্যতা। মিসরীয় সভ্যতার সঙ্গে মেসোপটেমীয় সভ্যতার পার্থক্য এই যে, প্রথমটি ছিল নীতি-ধর্মভিত্তিক এবং দ্বিতীয়টি আইনশাস্ত্রভিত্তিক।

ক. সুমেরীয় সভ্যতা:

সুমেরীয় সভ্যতা ছিল মেসোপটেমীয় সভ্যতার সবচেয়ে প্রাচীন সভ্যতা। এ সভ্যতার ধারক বাহক ছিল অসেমেটিক সুমেরীয়গণ। তাঁদের নামানুসারে তাদের সভ্যতাকে 'সুমেরীয় সভ্যতা' বলা হয়। তাঁরা ছিল মূলত টাইগ্রীস ও ইউফ্রেটিস নদীর মধ্যস্থিত অববাহিকা অঞ্চলের অধিবাসী। তারা লিখন পদ্ধতি, আইন-কানুন, ধর্মীয় অনুভূতি, ব্যবসায়-বাণিজ্য, জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা প্রথম শুরু করে।

খ. ব্যাবিলনীয় সভ্যতা:

টাইগ্রীস ও ইউফ্রেটিস নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চল 'মেসোপটেমীয়া' নামে পরিচিত। মেসোপটেমীয়ার দক্ষিণে ব্যাবিলনীয় সভ্যতার উন্মেষ ঘটেছিল। সুমেরীয় রাজা ভুঙ্গীর মৃত্যুর পর সুমেরীয় সাম্রাজ্যের পতনের পর ব্যাবিলনীয় সাম্রাজ্যের উদ্ভব ঘটে। ঐতিহাসিকদের মতে, খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ অব্দে সেমেটিক জাতির যে শাখাটি টাইগ্রীস ও ইউফ্রেটিস নদীর উপত্যকায় গমন করে স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন করে কালক্রমে তারা অ-সেমেটিক সুমেরীয় জাতির সমন্বয়ে ব্যাবিলনীয় সভ্যতা গড়ে তোলে।

বিশ্ব সভ্যতায় ব্যাবিলনীয়দের অবদান ব্যাবিলনীয় সভ্যতা ছিল নিঃসন্দেহে উন্নত সভ্যতা। আধুনিক সভ্যতা প্রাচীনকালে ব্যাবিলনীয় সভ্যতার কাছে বিশেষভাবে ঋণী। দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া এমনকি গ্রিকগণও সভ্যতার বিকাশের ক্ষেত্রে ব্যাবিলনীয়দের কাছে ঋণী। জ্ঞান-বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে তাদের অবদান পরবর্তী শতাব্দীগুলোর অনুসন্ধিৎসু পণ্ডিতদের গবেষণা পরিচালনা করার পথ রচনা করে গেছে। তারা নিজস্ব ও অন্যান্য জাতির পৌরাণিক কাহিনী কিংবা লৌকিক উপাখ্যান সংগ্রহ এবং সংরক্ষণ করে হিব্রু বাইবেলের পটভূমি রচনা করে গেছেন। তারা সমলোচনামূলক ও বিস্তৃতভাবে পর্যবেক্ষণ পরিচালনা করে অংকশাস্ত্র, জ্যোতির্বিদ্যা, ভূতত্ত্ববিদ্যা, ইতিহাস, চিকিৎসাবিদ্যা, ব্যাকরণ, দর্শন এবং অভিধান সংকলনের ভিত্তি রচনা করে গেছেন। তাঁরা মহাকাব্য, ধর্মীয় গীতি প্রবাদ ইত্যাদিরও প্রর্বতক ছিলেন। সভ্যতার ক্ষেত্রে তাদের এ সমস্ত কর্মকান্ড ক্রমে ক্রমে নিকট প্রাচ্য এবং ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে এবং বিশ্ব সভ্যতার অগ্রগতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে।

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ