- হোম
- একাডেমি
- মাদরাসা
- নবম-দশম শ্রেণি
- প্রাক-ইসলামি পটভূমি ও রাসুল (স.) এর মক্কা জীবন
পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।
প্রাক-ইসলামি পটভূমি ও রাসুল (স.) এর মক্কা জীবন
জাহেলিয়া যুগের অর্থনেতিক অবস্থা
আরবের অধিকাংশ অঞ্চল মরুময় ও অনুর্বর। অনুর্বর মরুভূমি কৃষি কাজের উপযোগী ছিল না। ফলে খাদ্য দ্রব্যের উৎপাদন প্রয়োজনের তুলনায় কম ছিল। তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা অনুন্নত ছিল।
ভৌগোলিক পরিবেশ এবং জীবিকার ভিত্তিতে ইসলাম পূর্ব যুগে আরববাসীদের কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়। এ ভাগ গুলো হল- (১) কৃষিজীবি (২) ব্যবসায়ী (৩) সুদের কারবারী (৪) কারিগর (৫) মরুবাসী বেদুইন ইত্যাদি।
কৃষিজীবি: আরবের তায়েফ, ইয়েমেন এবং মদিনা অঞ্চলের ভূমিও কৃষির উপযোগী ছিল। এসব অঞ্চলের অধিবাসীরা কৃষিকাজ করত। বানু নাজির ও বানু কুরাইজা দুই ইহুদি গোত্র মদিনার শস্য শ্যামল অঞ্চলে কৃষিকাজে নিয়োজিত ছিল। উর্বর তায়েফ ভূমিতে তরমুজ, খেজুর, ডুমুর, আঙ্গুর, জলপাই, ইক্ষু উৎপন্ন হত।
ব্যবসায়ী: আঞ্চলিক বসবাসের ভিত্তিতে আরবগণ দুভাগে বিভক্ত ছিল। যথা- শহরবাসী আরব এবং মরুবাসী বেদুইন। শহরবাসী আরবের কিছু কিছু গোত্র ব্যবসায় বাণিজ্যে নিয়োজিত থেকে জীবিকা অর্জন করত। মক্কাবাসী কুরাইশ সম্প্রদায় মিসর, সিরিয়া, পারস্য এবং ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য করে সম্পদশালী হয়। ইসলাম পূর্ব যুগে হযরত আবুবকর (রা), হযরত ওসমান (রা) এবং বিবি খাদিজা (রা) বিত্তশালী ব্যবসায়ী ছিলেন।
সুদের কারবার: ইসলাম পূর্ব যুগে ধনী আরববাসী বিশেষ করে ইহুদি সম্প্রদায় সুদের ব্যবসা বা কারবারে নিয়োজিত ছিল। দরিদ্র লোকেরা অধিক সুদে ইহুদি ও সুদের ব্যবাসায়ীদের নিকট থেকে ধার গ্রহণ করত। ফলে ঋণ গ্রহণকারীরা সর্বশান্ত হয়ে যেত। কোন কোন সময় ঋণ ও সুদ পরিশোধে ব্যর্থ হলে নিজ স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, বিত্ত-সম্পত্তি সুদ-ব্যবসায়ীদের দখলে চলে যেত। পরবর্তীতে ইসলামে সুদ গ্রহণ নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়।
কারিগর সম্প্রদায়: ইসলাম পূর্ব আরবে পৌত্তলিকতার ব্যাপকতার কারণে মূর্তি তৈরির জন্য এক প্রকার কারিগর শ্রেণির উদ্ভব হয়। এদের আর্থিক অবস্থা ও সামাজিক মর্যাদা ভালো ছিল।
মরুবাসী বেদুইন: মরুবাসী বেদুইনদের জীবিকা নির্বাহের উপায় ছিল লুটতরাজ ও পশুপালন। জীবিকার তাগিদে এসব স্বভাবের বশবর্তী হয়ে তাঁরা ডাকাতি, রাহাজানী ও লুটতরাজ করত।
সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ
