- হোম
- একাডেমি
- মাদরাসা
- নবম-দশম শ্রেণি
- প্রাক-ইসলামি পটভূমি ও রাসুল (স.) এর মক্কা জীবন
পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।
প্রাক-ইসলামি পটভূমি ও রাসুল (স.) এর মক্কা জীবন
আমুল হুযন বা দুঃখের বছর
নবুয়তের দশম বছরে ৬২০ খ্রিষ্টাব্দে হযরত মুহাম্মাদ (সা) এক প্রচন্ড মানসিক আঘাতে ভেঙ্গে পড়েন। গিরি সংকট হতে ফিরে আসার কয়েক দিন পর আবু তালেব অসুস্থ হয়ে পড়েন। কারা জীবনের কঠোরতা ভাঁর সহ্য হয় নি। তাই তিনি ৮৩ বছর বয়সে ইহলোক ত্যাগ করেন। তিনিই মহানবী (সা.) এর বিপদ আপসে একমাত্র আশ্রয়দাতা ছিলেন। কুরাইশগণ যখন নবী (সা.)-কে তাদের হাতে সোপর্দ করার জন্যে আৰু তালিবকে অনুরোধ করল, তখন আবু তালিব বললেন, 'এই মসজিদের মালিকের শপথ। আমার আহমদকে কখনও তাদের হাতে সমর্পণ করব না, কালনাগিনী তার সমস্ত ভয়াবহতা দিয়ে দংশন করলেও নহে।'
আবু তালিবকে হারিয়ে মহানবি (সা.) অত্যন্ত ব্যথিত হলেন। আবু তালিবের মৃত্যুতে তিনি যেন অসহায় হয়ে পড়লেন। পিতৃব্য আবু তালিবের মৃত্যুর শোক তুলতে না ভুলতেই বিবি খাদিজাও হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লেন। হযরত (সা) বুঝতে পারলেন তাঁর জীবন সঙ্গিনীও এবার তাঁকে ছেড়ে চলে যাবেন। চাচা আবু তালিবের মৃত্যুর কয়েক দিনের মধ্যেই বিবি খাদিজা (রা) ৬৫ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। তাঁকে জান্নাতুল মু আল্লায় দাফন করা হয়।
বিবি খাদিজা (রা) ছিলেন হযরতের সকল বিপদে আপদে সান্ত্বনাদানকারী, পরামর্শদাতা ও সাহায্যকারী। তাঁর মৃত্যুতে নবি করিম (সা.) এর অন্তর এবং গৃহ শূন্য হয়ে পড়ে। তাঁর শৈশবের আশ্রয় সস্থল, যৌবনের অভিভাবক ও পরবর্তী জীবনের কার্যাবলির একনিষ্ঠ সমর্থক পিতৃব্য আবু তালিবের মৃত্যুতে তিনি শোকে মোহ্যমান হয়ে পড়েন। হযরতের বিপদ আপদে ও দুঃসময়ে এ দু'জন মহাপ্রাণের অনুপস্থিতি তাঁর জীবনে অপূরনীয় ক্ষতি সাধন করে। তাঁদের মৃত্যুতে তিনি দুঃখিত ও ব্যথিত হন। এজন্য বছরটি আ'মুল হুযন বা দুঃখের বছর নামে খ্যাত।
সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ
