- হোম
- একাডেমি
- মাদরাসা
- নবম-দশম শ্রেণি
- প্রাক-ইসলামি পটভূমি ও রাসুল (স.) এর মক্কা জীবন
পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।
প্রাক-ইসলামি পটভূমি ও রাসুল (স.) এর মক্কা জীবন
কুরাইশদের বয়কট
হযরতের নবুয়ত লাভের ৬ষ্ঠ বছরে ৬১৬ খ্রিষ্টাব্দে কুরাইশগণ ইসলামে দীক্ষিত মুসলমানদের বিরুদ্ধে বয়কট নীতি প্রচলন করল। কারণ, মুসলমানগণ আবিসিনিয়ায় গমন করে নির্বিঘ্নে নিজেদের ধর্ম-কর্ম করছে। নাজ্জাশীর নিকট দূত প্রেরণ করেও কোনো সুফল পেল না বরং নিরাশ হয়ে মক্কায় ফিরে এল। কুরাইশগণ নিজেদের মুসলমান হওয়ার মিথর সংবাদ রটিয়ে যে সব মতলব এটেছিল তাও ব্যর্থ হয়ে গেল। তাদের সকল ষড়যন্ত্র ও চেষ্টা এভাবে ব্যর্থ হওয়ায় কুরাইশ দলপতিগণের ক্রোধের সীমা অতিক্রম হয়ে গেল। উপরন্তু তারা দেখতে পেল যে হযরত হামবা (রা) ও হযরত উমর (রা) এর মতো প্রতিষ্ঠিত বীর ও গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ ইসলাম গ্রহণ করেছেন। এতে তাদের ক্ষোভ, দুঃখ, ক্রোধ ও অভিমান প্রচণ্ড আকার ধারণ করল। তাই তারা একদিন সমস্ত কুরাইশদের একটি পরামর্শ সভায় সমবেত করল। সকলে একত্র হয়ে এক প্রতিজ্ঞাপত্র লিপিবদ্ধ করল।
কুরাইশদের প্রতিজ্ঞাপত্রটি হল: হাশেম ও মুত্তালিব গোত্রের সহায়তার ফলেই মুহাম্মাদ (সা) এর স্পর্ধা এত দূর বেড়ে গেছে। অতএব, তাদেরকে এবং মুহাম্মাদ (সা.) ও তাঁর দলে দীক্ষিতদেরকে একদম বয়কট করতে হবে। তাদের সঙ্গে বেচা-কেনা, সামাজিক লেনদেন, কথা-বার্তী সব কিছু বন্ধ থাকবে। কেউ তাদের কন্যা গ্রহণ বা তাদেরকে কন্যা দান করতে পারবে না। কেউ ভাদেরকে কোন অবস্থায় কোন প্রকার সাহায্য করলে, সে কঠোর দন্ডের যোগ্য বলে বিবেচিত হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত তারা স্বেচ্ছায় মুহাম্মাদ (সা.)কে হত্যা করার জন্য আমাদের কাছে সমর্পণ না করবে ততদিন এ প্রতিজ্ঞাপত্র বলবৎ থাকবে। এ সিদ্ধান্ত মোতাবেক তারা শিবু আবি তালিব-এ سحب أبي طَالِبٍ মহানবি (সা) কে তিন বছর বন্দি করে রাখে।
অতঃপর কুরাইশগণ হাশেম গোত্রের ও মুত্তালিব গোত্রের লোকদের বিরুদ্ধে অসহযোগ ও বর্জননীতি প্রয়োগ করে তাদেরকে সমাজচ্যুত করে। এই চরম সংকটাপন্ন অবস্থায়ও মুসলমানগণ তাঁদের ইমান ও মনোবল অটুট রাখেন। অবশেষে কুরাইশগণ তাদের বর্জননীতি প্রত্যাহার করে নেয়। ফলে হাশেম ও মুত্তালিব গোত্রদ্বয়ের লোকজন এবং মুসলমানগণ আবার নিজ নিজ গৃহে ফিরে আসলেন।
সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ
