• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
  • পাকিস্তানি আমলে বাংলা : ভাষা আন্দোলন ও এর গতিপ্রকৃতি
পাকিস্তানি আমলে বাংলা : ভাষা আন্দোলন ও এর গতিপ্রকৃতি

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

পাকিস্তানি আমলে বাংলা : ভাষা আন্দোলন ও এর গতিপ্রকৃতি

আওয়ামী লীগের জন্ম (Born of Auame League)

ব্রিটিশদের কাছ থেকে দাবিদাওয়া আদায়ের জন্য উপমহাদেশে সর্বপ্রথম রাজনৈতিক দল হিসেবে ১৮৮৫ খ্রিষ্টাব্দে কংগ্রেসের আত্মপ্রকাশ ঘটে। মুসলমান নেতৃবৃন্দের সাথে কংগ্রেস নেতাদের সম্পর্কের অবনতি হলে ১৯০৬ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বর নবাব স্যার সলিমুল্লাহর উদ্যোগে ঢাকায় মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে উপমহাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর পাকিস্তানে তত্ত্বগতভাবে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলেও বাস্তবে তা কার্যকর হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর পরিবর্তে গভর্নর জেনারেলের হাতে সমস্ত ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত ছিল। মুসলিম লীগ নেতাদের অগণতান্ত্রিক আচরণ, দমননীতি, পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে সীমাহীন বৈষম্য, বাংলা ভাষার অবমাননা ইত্যাদির কারণে অনেক মুসলিম লীগের নেতারা মর্মাহত হন। এ সময় নির্ভীক, দৃঢ় প্রত্যয়ী, স্বাধীনচেতা এবং গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মুসলিম লীগ সরকারের অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে সুশৃঙ্খলভাবে ও আইনসম্মত উপায়ে আন্দোলন করার জন্য একটি রাজনৈতিক দল গঠনের চিন্তা করেন। এই চিন্তা-ভাবনা থেকে ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দে ২৩-২৪ জুন ঢাকার রোজ গার্ডেনে এক কর্মী সম্মেলন হয়। ৩০০ জন শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধি তাতে অংশগ্রহণ করেন। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে 'পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ' (জনগণের মুসলিম লীগ) নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এই সংগঠনটির প্রথম সভাপতি- মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, সামসুল হক সাধারণ সম্পাদক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে (বিশিষ্ট যুব নেতা ও পরবর্তীকালে বাঙালি জাতির জনক, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি) যুগ্ম সম্পাদক করে ৪০ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। ২৪ জুন ঢাকার আরমানিটোলায় আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রথম জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম থেকেই আওয়ামী লীগ প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ৪২ দফা কর্মসূচি গ্রহণ করে। এ দলটি গঠনের মাধ্যমে বিরোধী রাজনীতিতে যে শূন্যতা ছিল তা পূরণ হয়। মুসলিম লীগ ও পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের কুশাসনের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর হিসেবে অচিরেই দলটি জনগণের আস্থা অর্জনে সমর্থ হয়। জন্মলগ্ন থেকেই আওয়ামী মুসলিম লীগ অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক চেতনায় বিশ্বাসী ছিল। ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দে 'মুসলিম' শব্দটি বাদ দিয়ে 'আওয়ামী লীগ' নাম ধারণ করে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের জন্য এর দ্বার খুলে দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ