• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
  • পাকিস্তানি আমলে বাংলা : ভাষা আন্দোলন ও এর গতিপ্রকৃতি
পাকিস্তানি আমলে বাংলা : ভাষা আন্দোলন ও এর গতিপ্রকৃতি

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

পাকিস্তানি আমলে বাংলা : ভাষা আন্দোলন ও এর গতিপ্রকৃতি

ভাষা আন্দোলনে পূর্ব বাংলার গণপরিষদ: ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত Provincial Assembly in Language Movement: Dhirendranath Dutt

১৯৪৭ সালের আগস্ট মাসে পাকিস্তান সৃষ্টি হওয়ার পর ডিসেম্বর মাসে করাচিতে অনুষ্ঠিত শিক্ষা সম্মেলনে উর্দুকে পাকিস্তানে রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব গৃহীত হয়। ১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি করাচিতে পাকিস্তান গণপরিষদে প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে পূর্ব বাংলার গণপরিষদ সদস্য কুমিল্লার ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ইংরেজি ও উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকেও গণপরিষদে ব্যবহারিক ভাষা হিসেবে অন্তর্ভুক্তির দাবি করেন। এ প্রস্তাব একজন হিন্দু সদস্যের নিকট থেকে আসে তাই মুসলিম লীগ নেতৃবৃন্দ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের প্রস্তাবে ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুঁজে পান। তারা এই প্রস্তাবকে দেশের সংহতি ও অখণ্ডতা বিনষ্টের প্রয়াস বলে মন্তব্য করেন। বির্তকের পর ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত আনীত প্রস্তাবে ভোট দেওয়া হয়। পূর্ব বাংলার মুসলিম লীগ দলীয় বাঙালি মুসলমান সদস্যগণ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দেন। স্বাভাবিকভাবেই ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের প্রস্তাব অগ্রাহ্য হয়।

দাবি অগ্রাহ্য হলে ১১ মার্চ, ১৯৪৮ পূর্ব পাকিস্তানে ধর্মঘট পালিত হয়। সর্বত্র বিক্ষোভ, শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২০০ জন আহত এবং ৬৯ জন বন্দী হয়। এ প্রস্তাব প্রসঙ্গে তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান বলেন, "পাকিস্তানের অধিবাসীদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি করা এবং একটি সাধারণ ভাষার মাধ্যমে ঐক্যসূত্র স্থাপনের প্রচেষ্টা থেকে মুসলমানদের বিচ্ছিন্ন করাই এই প্রস্তাবের উদ্দেশ্য।" তিনি আরও বলেন যে, উপমহাদেশের কোটি কোটি মুসলমানদের দাবির ভিত্তিতে পাকিস্তান রাষ্ট্র কায়েম করা হয়েছে। পাকিস্তান একটি মুসলিম রাষ্ট্র। তাই পাকিস্তানের ভাষা মুসলমানদের ভাষা। উর্দু ভাষা হওয়া উচিত, অন্য কোনো ভাষা নয়।

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ