• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
  • পাকিস্তানি আমলে বাংলা : ভাষা আন্দোলন ও এর গতিপ্রকৃতি
পাকিস্তানি আমলে বাংলা : ভাষা আন্দোলন ও এর গতিপ্রকৃতি

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

পাকিস্তানি আমলে বাংলা : ভাষা আন্দোলন ও এর গতিপ্রকৃতি

বাংলা ভাষার আন্তর্জাতিকায়ন Internationalization of Bengali Language

পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র বাঙালিরা মাতৃভাষা রক্ষার দাবিতে জীবন বিসর্জন দিয়েছে। এই দৃষ্টান্তকে স্থাপন করে কানাডা প্রবাসী বাঙালি রফিকুল ইসলাম এবং আবদুস সালাম তাদের প্রতিষ্ঠিত The mother language love the world সংগঠনের মাধ্যমে ২৯ মার্চ, ১৯৯৮ সালে জাতিসংঘের তৎকালীন মহাসচিব কফি আনানের কাছে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণার প্রস্তাব করে একটি চিঠি পাঠান। এই চিঠিতে ফিলিপিনো, ইংরেজি, ক্যান্ডানিজ, মালয়, জার্মান, হিন্দি এবং বাংলাদেশি সাত জাতি ও সাত ভাষার দশজন স্বাক্ষর করেন। এরপর উদ্যোক্তারা ইউনেস্কোর সঙ্গে যোগাযোগ করলে ইউনেস্কো সদর দপ্তরে ভাষা বিভাগের আন্না মারিয়া রফিকুল ইসলামকে ৩ মার্চ, ১৯৯৯ চিঠিতে আশ্বস্ত করেন। এর পর বাধাবিপত্তি উপেক্ষা করে ৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ১৭ লাইনের একটি প্রস্তাব প্যারিসে পাঠান। ইউনেস্কোর ১৫৭তম অধিবেশনে এবং ৩০তম সাধারণ সম্মেলনে বাংলাদেশে এ প্রস্তাব আসে। ১৬০তম অধিবেশনে তৎকালীন বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী এ.এইচ.কে সাদেক বিভিন্ন দেশের মন্ত্রীদের সাথে আলোচনা করে জনমত সৃষ্টি করে। অবশেষে ১৯৯৯ সালের ১৭নভেম্বর ১৮৮টি দেশ ২১ ফেব্রুয়ারিকে 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' পালনের প্রস্তাবে সম্মত হয়। ইউনেস্কোর ঘোষণায় বলা হয়, "১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারিতে যাঁরা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছেন তাঁদের স্মরণে ২১শে ফেব্রুয়ারিকে বিশ্বব্যাপী পালনের জন্য 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' হিসেবে ঘোষণা করা হলো।" এভাবেই ২১ ফেব্রুয়ারি স্বীকৃতি পায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে। ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০০০ সালে বিশ্বের ১৮৮টি দেশ প্রথমবারের মতো এ দিবসটিকে "আন্তর্জাতিক : মাতৃভাষা দিবস" হিসেবে পালন করে। ১৯১৮ খ্রিষ্টাব্দে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ভাষাতত্ত্বের এক সভায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সভাপতিত্বে ভারতবর্ষের সব ভাষা পণ্ডিতদের উপস্থিতিতে বহুভাষাবিদ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেছিলেন, "শুধু ভারতে নয় বাংলা ভাষার স্থান হবে এশিয়া মহাদেশের সর্বোচ্চে।" একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার মর্যাদা লাভ করায় ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর কথাটি পরিপূর্ণ স্বার্থক হয়েছে। আজ বাংলা ভাষার স্থান শুধু এশিয়া মহাদেশে নয়, সমগ্র পৃথিবী জুড়ে। এটা সম্ভব হয়েছে একুশে ফেব্রুয়ারি সৃষ্টি এবং বাংলা ভাষার ভাষাতাত্ত্বিক গুণের জন্য।

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ