- হোম
- একাডেমি
- সাধারণ
- একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
- শিল্প বিপ্লব
পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।
শিল্প বিপ্লব
শিল্প সম্পর্কিত আবিষ্কার
অষ্টাদশ শতকে কয়েকটি বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের ফলে শিল্প জগতে অভূতপূর্ব পরিবর্তন সাধিত হয়। বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের ফলে শিল্প উৎপাদনব্যবস্থার অগ্রগতি ইংল্যান্ডের সীমা ছাড়িয়ে সমগ্র ইউরোপে এক নবযুগের সূচনা করেছিল। নতুন নতুন যন্ত্রপাতি আবিষ্কৃত হওয়ায় প্রযুক্তির ছোঁয়ায় উৎপাদনের পরিমাণ বহুগুণ বৃদ্ধি পায়। সর্বপ্রথম ইংল্যান্ডে বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার শুরু হওয়ায় শিল্প উৎপাদনে এক আমূল পরিবর্তন আসে। ক্রমে তা সমগ্র ইউরোপে বিস্তার লাভ করে। শিল্প ব্যবস্থাপনায় ও উৎপাদনে অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধিত হয়েছিল বলে তা শিল্পবিপ্লব নামে খ্যাত। বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির ছোঁয়ায় ও প্রযুক্তির কল্যাণে এ পরিবর্তন সাধিত হয়েছিল বলে এ নতুন ধারাকে বৈজ্ঞানিক বিপ্লবও বলা হয়।
বৈজ্ঞানিক ও শিল্প সম্পর্কিত আবিষ্কারগুলো নিম্নরূপ:
১। কলের মাকু ও স্পিনিং জেনি আবিষ্কার ১৭৩৩ খ্রিষ্টাব্দে, জন কে (John Kay) 'Flying shuttle' বা_কলের মাকু অর্থাৎ তকলিযুক্ত চরকা আবিষ্কার করেন। ফলে একজন লোক একসঙ্গে অনেকগুলো মাকু চালনা করতে পারত। ইউরোপে বয়নশিল্প কেন্দ্রে সর্বপ্রথম বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার সংঘটিত হয়। ১৭৬৪ খ্রিষ্টাব্দে ল্যাংকাশায়ারের হারগ্রিভস (Hargreaves) তার স্ত্রী 'জেনির' নামানুসারে 'স্পিনিং জেনি' আবিষ্কার করেন। এ আবিষ্কারের ফলে বয়নশিল্পে শ্রমের অপচয় রোধ হয় এবং অধিক উৎপাদন সম্ভবপর হয়ে ওঠে।
২। ওয়াটার ফ্রেম আবিষ্কার ১৭৬৯ খ্রিষ্টাব্দে রিচার্ড আর্করাইট (Richard Arkwright) 'ওয়াটার ফ্রেম' আবিষ্কার করেন। পূর্বে শ্রমিকরা হাতের সাহায্যে সুতা কাটত, কিন্তু ওয়াটার ফ্রেম আবিষ্কৃত হওয়ায় জলশক্তির দ্বারা সুতা কাটার ব্যবস্থায় আরও উন্নতি সাধিত হয়।
৩। মিউল যন্ত্র আবিষ্কার ১৭৭৯ খ্রিষ্টাব্দে স্যামুয়েল ক্রম্পটন (Samuel Crompton) স্পিনিং জেনি ও ওয়াটার ফ্রেম উভয় ব্যবস্থা একত্রিত করে তকলিযুক্ত মিউল যন্ত্র আবিষ্কার করেন। মিউল যন্ত্রের সাহায্যে একসঙ্গে সুতা কাটা ও কাপড় বোনা যেত। এটা জলশক্তির দ্বারা চালিত হতো। এসব নতুন আবিষ্কারের ফলে সুতার উৎপাদন বহুগুণ বৃদ্ধি পায় এবং ইংল্যান্ড উন্নত মানের কেপিকো কাপড় উৎপাদনে সক্ষম হয়।
৪। পাওয়ার লুম: ১৭৮৫ খ্রিষ্টাব্দে এডমুন্ড কার্টরাইট (Edmund Cartwright) বিজলিচালিত তাঁত আবিষ্কার করেন। তার আবিষ্কৃত শক্তি তাঁত বা পাওয়ার লুম বয়নশিল্পে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন আনে। কেননা এর দ্বারা ৪০ জন তাঁতির সমপরিমাণ কাজ করা সম্ভব হয়। ফলে সুতা তৈরির খরচ ১০ শতাংশ হ্রাস পায় ও শ্রমিকের প্রয়োজন ৫ শতাংশ হ্রাস পায়।
৫। লোহার নতুন ব্যবহার ও আবিষ্কার লৌহশিল্পেও বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার সংঘটিত হয়। পূর্বে কাঠকয়লার সাহায্যে লোহা গলানো হতো এবং তা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হতো। ফলে বনজ সম্পদ হ্রাস ও জ্বালানি কাঠের অভাব দেখা দেয়। এমতাবস্থায় ১৭৬০ খ্রিষ্টাব্দে স্কটল্যান্ডের ক্যারন (Carron) লৌহ কারখানায় কয়লার সাহায্যে লোহা গলানোর পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। হ্যানরি কর্ট (Hanry Cort) গলিত কাঁচা লোহাকে পেটা লোহায় পরিণত করার নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। অন্যদিকে শেফিল্ডের হান্টসম্যান (Huntsman) শক্ত ইস্পাত ছাঁচে ঢালাই করার নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। এভাবে এ সমস্ত আবিষ্কারের ফলে অষ্টাদশ শতকের শেষের দিকে ব্রিটেনে লৌহ ও কয়লাশিল্পে এক নতুন যুগের সূচনা হয়। ব্রিটিশরা উক্ত সময়ের মধ্যে লৌহ সেতু ও লোহার পাতে জাহাজ প্রস্তুত করতে সমর্থ হয়।
৬। মৃৎশিল্পে নতুন আবিষ্কার বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার মৃৎপাত্র নির্মাণ শিল্পে দ্রুত অগ্রগতি সাধন করে। মৃৎশিল্পে নতুন নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করে জোসিয়া ওয়েজউড (Jocia Wasewood) বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। তার এবং অন্য উদ্ভাবনক্ষম ব্যক্তিত্বের দ্বারা ইংল্যান্ডের স্টাফোর্ডে পৃথিবীর বৃহৎ মৃৎপাত্র শিল্প গড়ে ওঠে।
৭। স্টিম ইঞ্জিন আবিষ্কার: ইউরোপ তথা বিশ্ব সভ্যতার অন্যতম আবিষ্কার হলো বাষ্পীয় শক্তির ব্যবহার রীতি। ১৭৬৯ খ্রিষ্টাব্দে জেমস ওয়াট (James Watt) কার্যকরী বাষ্পীয় ইঞ্জিন আবিষ্কার করেন, যা শিল্প জগতে এক নতুন যুগান্তর সৃষ্টি করে। অল্পকালের মধ্যেই শিল্প ও পরিবহনব্যবস্থায় বাষ্পীয় ইঞ্জিন ব্যবহারের রীতি প্রচলিত হয়, যা যানবাহন ও যোগাযোগব্যবস্থায় এক আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসে।
৮। চলমান ইঞ্জিন আবিষ্কার জেমস ওয়াটের স্টিম ইঞ্জিনের সংস্কার ঘটিয়ে বিম ইঞ্জিন এবং পরবর্তীকালে টেবিল ইঞ্জিন আবিষ্কৃত হয়। এ আবিষ্কারের সূত্র ধরেই ১৮১৪ খ্রিষ্টাব্দে জর্জ স্টিফেনসন (George Stephenson) চলমান ইঞ্জিন অর্থাৎ রেলের লোকোমোটিভ ইঞ্জিন আবিষ্কার করেন, যা লোহার পাত্রের উপর ৮টি কামরা নিয়ে ৩০ মাইল গতিতে চলতে পারত। চলমান ইঞ্জিনের আবিষ্কার যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক বৈপ্লবিক অগ্রগতি সাধন করে।
৯। পরিবহন ও যোগাযোগব্যবস্থায় নতুন আবিষ্কার: উল্লিখিত বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের ফলে শিল্পজাত দ্রব্য ও যন্ত্রপাতি এক স্থান থেকে অন্য স্থানে দ্রুত ও সহজে পরিবহন করার জন্য যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। রাস্তা নির্মাণ ও খাল খননের দ্বারা যোগাযোগব্যবস্থার প্রয়োজন মেটানোর চেষ্টা করা হয়। পণ্য বহনযোগ্য খালের খনন ও ব্যবহার প্রণালি ১৭৫৯ খ্রিষ্টাব্দে ইংল্যান্ডে সর্বপ্রথম উদ্ভাবন করা হয়। প্রকৌশলী ব্রিন্ডলে (Brindley) ১৭৬১ খ্রিষ্টাব্দে উরসলি-ম্যাঞ্চেস্টারকে সংযোগকারী বিখ্যাত ব্রিজওয়াটার খাল খনন করেন। এরপর ক্রমান্বয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে জলপথে যোগাযোগব্যবস্থায় এক আমূল পরিবর্তন আসে। তাছাড়া সড়কপথ নির্মাণের ক্ষেত্রেও নতুন নতুন পদ্ধতি ও উপায় উদ্ভাবিত হয়। পূর্বে ইংল্যান্ডে অধিকাংশ রাস্তাঘাট শীতের পর এমন কর্দমাক্ত হতো যে, যানবাহন চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়ত। টেলফোর্ড ও ম্যাকাডম (Telford and Macadam) রাস্তা নির্মাণে নতুন প্রণালি আবিষ্কার করে যোগাযোগব্যবস্থায় এক যুগান্তর আনয়ন করেন। যোগাযোগ ও পরিবহনব্যবস্থার ক্রম উন্নতি শিল্পবিপ্লবকে ত্বরান্বিত করে। শুধু ইংল্যান্ডে নয় বরং ইউরোপের ইতিহাসে বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের প্রভাব ছিল সুদূরপ্রসারী, যা আজও কার্যকরী।
১০। লেদ মেশিন শিল্পবিপ্লব ইংল্যান্ডের কারখানার জন্য খুচরা যন্ত্রাংশের প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি করে। প্রয়োজন মেটানোর জন্য ঊনবিংশ শতকের শুরুতে বিভিন্ন নামে বেশকিছু লেদ মেশিন আবিষ্কার হয়। জোশেফ হোয়াইদর্থ লেদ মেশিন নির্মাতাদের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন।
১১। কৃষি যন্ত্রপাতি আবিষ্কার ১৭০১ খ্রিষ্টাব্দে জেথ্রো টুল সারিতে বীজ বপন পদ্ধতির যন্ত্র আবিষ্কার করেন। সিড ড্রিল মেশিন দ্বারা স্বল্প সময়ে বীজ ছিটানো সম্ভব হয়। ১৭৩০ খ্রিষ্টাব্দে জেসোফা ফা লাঙল আবিষ্কার করেন এবং ১৭৮৪ খ্রিষ্টাব্দে এন্ড্রমক কর্তৃক শস্য মাড়াই যন্ত্র আবিষ্কৃত হয়। এসব আবিষ্কার কৃষিক্ষেত্রে কায়িক শ্রম এক-চতুর্থাংশ লাঘব করে।
উপরে বর্ণিত বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারসমূহ ইংল্যান্ডকে প্রথম শিল্পায়িত রাষ্ট্রের মর্যাদা এনে দেয়। ফলে ইংল্যান্ড অল্প সময়ে অধিক পণ্য উৎপাদন করতে সক্ষম হয় এবং উদ্বৃত্ত পণ্য বিক্রয়ের জন্য বাজার অন্বেষণে মনোযোগ দেয়। বাজার প্রাপ্তির তাগিদ ইংল্যান্ডকে নতুন নতুন উপনিবেশ স্থাপনে উদ্বুদ্ধ করে। ইউরোপের অপরাপর রাষ্ট্রও ইংল্যান্ডকে অনুসরণ করলে বিশ্বে ঔপনিবেশিক যুগের সূত্রপাত হয়।
যেসব আবিষ্কার শিল্পবিপ্লবকে ইউরোপ ও আমেরিকায় দ্রুত ছড়িয়ে দেয়
আবিষ্কারক ও জন্ম-মৃত্যু | দেশ | আবিষ্কার | খ্রিষ্টাব্দ |
|---|---|---|---|
কাউন্ট আলেসান্দ্রো ভোল্টা (১৭৪৫-১৮২৭) | ইতালি | ব্যাটারি | ১৮০০ |
হামফ্রে ডেভি (১৭৭৮-১৮২৯) | ব্রিটেন | বৈদ্যুতিক বাতি | ১৮০৯ |
জর্জ স্টিফেনসন (১৭৮১-১৮৪৮) | ব্রিটেন | বাষ্পচালিত লোকোমোটিভ | ১৮১৪ |
জোশেফ নাইসফোর নিফসে (১৭৬৫-১৮৩৩) | ফ্রান্স | ফটোগ্রাফ | ১৮১৪ |
উইলিয়াম স্টার্জান (১৭৮৩-১৮৫০) | ব্রিটেন | ইলেকট্রোম্যাগনেট | ১৮২৫ |
ডব্লিউ. এ. বার্ট (১৭৯২-১৮৫৮) | আমেরিকা | টাইপরাইটার | ১৮২৯ |
ফ্রান্সিস পেটিট স্মিথ (১৮০৮-১৮৭৪) | ব্রিটেন | প্রোপেলার | ১৮৩৫ |
চার্লস ব্যাবেজ (১৭৯১-১৮৭১) | ব্রিটেন | ক্যালকুলেটর | ১৮৩৫ |
স্যামুয়েল মোর্সে (১৭৯১-১৮৭২) | আমেরিকা | টেলিগ্রাফ | ১৮৩৭ |
কার্প পেট্রিক ম্যাকমিলান (১৮১২-১৮৭৮) | স্কটল্যান্ড | বাইসাইকেল | ১৮৩৯ |
স্যার উইলিয়াম রবার্ট গ্রুড (১৮১১-১৮৯৬) | ব্রিটেন | হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল | ১৮৩৯ |
ড. উইলিয়াম মরটন (১৮১৯-১৮৬৮) | আমেরিকা | দাঁতের অ্যানেসথেসিয়া | ১৮৪৬ |
ইগনাজ সেমেল ওয়েইজ (১৮১৮-১৮৬৫) | হাঙ্গেরি | অ্যান্টিসেপটিক | ১৮৪৭ |
জোশেফ ককরেন (১৮৩৯-১৯১৩) | আমেরিকা | ডিশ ওয়াশার | ১৮৫০ |
জন টিন্ডলু (১৮২০-১৮৯৩) | আয়ারল্যান্ড | ফাইবার অপটিকস | ১৮৫৪ |
হেনরি বেসামার (১৮১৩-১৮৯৮) | ব্রিটেন | লোহার বেসামার প্রসেস | ১৮৫৫ |
জিন জোসেফ এটিয়েন লেনিয়র (১৮২২-১৯০০) | বেলজিয়াম | ইন্টারনাল কম্বাসন ইঞ্জিন (অন্তর্দাহী ইঞ্জিন) | ১৮৫৮ |
রিচার্ড জর্ডান গ্যাটলিং (১৮১৮-১৯০৩) | আমেরিকা | মেশিনগান | ১৮৬২ |
আলেকজান্ডার পার্কেজ (১৮১৩-১৮৯০) | ব্রিটেন | প্লাস্টিক | ১৮৬২ |
আলফ্রেড নোবেল (১৮৩৩-১৮৯৬) | সুইডেন | ডিনামাইট | ১৮৬৬ |
রবার্ট হোয়াইটহেড (১৮২৩-১৯০৫) | ব্রিটেন | টর্পেডো | ১৮৬৬ |
জে. পি. নাইটস (১৮২৮-১৮৮৬) | ব্রিটেন | ট্রাফিক লাইটস | ১৮৬৮ |
আলেক্সান্ডার গ্রাহাম বেল (১৮৪৭-১৯২২) | ব্রিটেন | টেলিফোন | ১৮৭৬ |
টমাস আলভা এডিসন (১৮৪৭-১৯৩১) | আমেরিকা | ফনোগ্রাফ | ১৮৭৭ |
এডওয়ার্ড মুয়েব্রিজ (১৮৩০-১৯০৪) | ব্রিটেন | মুভি | ১৮৭৭ |
স্যার জোশেফ উইলসন সোয়ান (১৮২৮-১৯১৪) | ব্রিটেন | ইলেকট্রিক লাইট বাল্ব | ১৮৭৮ |
আলেক্সান্ডার গ্রাহাম বেল (১৮৪৭-১৯২২) | ব্রিটেন | মেটাল ডিটেক্টর | ১৮৮১ |
লুইস এডসন ওয়াটারম্যান (১৮৩৭-১৯০১) | আমেরিকা | ফাউন্টেন পেন | ১৮৮৪ |
জেমস রিটি (১৮৩৬-১৯১৮) | আমেরিকা | ক্যাশ রেজিস্টার | ১৮৮৪ |
চার্লস পারসন (১৮৫৪-১৯৩১) | ব্রিটেন | স্টিম টারবাইন | ১৮৮৪ |
কার্ল বেঞ্জ (১৮৪৪-১৯২৯) | জার্মানি | অটোমোবাইল | ১৮৮৫ |
গউলিয়েব ডেইমলার (১৮৩৪-১৯০০) | জার্মানি | মোটর ভেহিকেল | ১৮৮৬ |
হেইনরিখ হার্টেজ (১৮৫৭-১৮৯৪) | জার্মানি | রাডার | ১৮৮৭ |
এমিলি বার্লেইনারু (১৮৫১-১৯২৯) | আমেরিকা | গ্রামোফোন | ১৮৮৭ |
এফ. ই. মুলার ও এডলফ ফিক (১৮৫২-১৯৩৭) | জার্মানি | কন্টাক্ট লেন্স | ১৮৮৭ |
নিকোলা টেলসা (১৮৫৬-১৯৩৭) | অস্ট্রিয়া | এসি মোটর | ১৮৮৮ |
জেসে ডব্লিউ, রেনো (১৮৬১-১৯৪৭) | আমেরিকা | এসকেলেটর | ১৮৯১ |
রুডলফ ডিজেল (১৮৫৮-১৯১৩) | জার্মানি | ডিজেল ইঞ্জিন | ১৮৯২ |
ডব্লিউ, এল, জাডসন (১৮৪৬-১৯০৯) | আমেরিকা | জিপার | ১৮৯৩ |
লুই নিকোলাস লুমিয়েরা (১৮৬২-১৯৫৪) ও লুই জ্যা লুমিয়েরা (১৮৬৪-১৯৪৮) | ফ্রান্স | মুভি ক্যামেরা | ১৮৯৫ |
উইলবার রাইট (১৮৬৭-১৯১২) ও অরভিল রাইট (১৮৭১-১৯৪৮) | আমেরিকা | অ্যারোপ্লেন | ১৯০৩ |
বেঞ্জামিন হল্ট (১৮৪৯-১৯২০) | আমেরিকা | ট্রাক্টর | ১৯০৪ |
আলবার্ট আইনস্টাইন (১৮৭৯-১৯৫৫) | আমেরিকা | আপেক্ষিক মতবাদ | ১৯০৫ |
পল কর্ন (১৮৮১-১৯৪৪) | ফ্রান্স | হেলিকপ্টার | ১৯০৭ |
হ্যারি ব্রেয়ারলি (১৮৭১-১৯৪৮) | ব্রিটেন | স্টেইনলেস স্টিল | ১৯১৬ |
শিল্পবিপ্লবের উদ্ভব ও ক্রমবিকাশের গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারসমূহ
ক্রমিক নং | আবিষ্কারক | আবিষ্কৃত যন্ত্র | খ্রিষ্টাব্দ |
|---|---|---|---|
১ | জেমস হারগ্রিভস | স্পিনিং জেনি | ১৭৬৪ |
২ | জেমস ওয়াট | স্টিম ইঞ্জিন | ১৭৬৫ |
৩ | এলি হুইটনি | কটন জিন | ১৭৯৩ |
8 | মাইকেল ফ্যারাডে | ডায়নামো/মোটর | ১৮১২ |
৫ | নিকোলাস অটো | অন্তর্দহন ইঞ্জিন | ১৮৭৬ |
৬ | ওয়াল্টার শুয়ার্ট | কোয়ালিটি কন্ট্রোল চার্টার | ১৯২৪ |
৭ | হেনরি ফোর্ড | স্বল্প খরচে বিপুল উৎপাদন | ১৯৬০-এর দশক |
৮ | জন হোয়াইট | ম্যাটেরিয়াল, হ্যান্ডলিং হ্যান্ডবুক | ১৯৬০-এর দশক |
৯ | এলান প্রিটসকার | সিম্যুলেশন মডেলিং | ১৯৬০ |
১০ | জোসেফ অরলিকি | ম্যাটেরিয়াল রিকোয়ারম্যান্ট প্ল্যানিং (এমআরপি) | ১৯৬০ |
১১ | জেনারেল মোটরস | ফ্যাক্টরিতে 'রোবট আর্ম'-এর ব্যবহার | ১৯৬১ |
সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ

