• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি

পৌরনীতি ও সুশাসন পরিচিতি

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

পৌরনীতি ও সুশাসন পরিচিতি

পৌরনীতি ও আধুনিক নাগরিকত্ববোধ | Civics and Modern Sense of Citizenship

পৌরনীতি মূলত নাগরিকতা বিষয়ক বিজ্ঞান। উৎপত্তিগত দিক হতে পৌরনীতি প্রাচীন নগররাষ্ট্র ও নাগরিকতার সঙ্গে জড়িত। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনের ধারায় আজ আর নগররাষ্ট্র নেই। বর্তমান রাষ্ট্রগুলো জাতি-রাষ্ট্র (Nation State) হিসেবেই সমধিক পরিচিত। তাই আধুনিক জাতি-রাষ্ট্রের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সঙ্গে একাত্ম হয়ে পৌরনীতি আধুনিক রূপ গ্রহণ করেছে।
পৌরনীতির আলোচ্য বিষয় ও পরিধি শুধু আধুনিক নাগরিকত্ববোধকে জাগ্রত করে না; সুসংহতও করে। প্রাচীনকালে যে ব্যক্তি রাষ্ট্রের কাজে সক্রিয় বা প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করত তাকেই শুধু নাগরিক বলা হতো।

কিন্তু বর্তমানে পৌরনীতির দৃষ্টিকোণ হতে সেই ব্যক্তি নাগরিক, যে রাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করে, রাষ্ট্র প্রদত্ত সকল সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার (Social, Political and Economic Rights) ভোগ করে এবং রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে। আর নাগরিকতা হচ্ছে ব্যক্তির গুণ ও মর্যাদার উপলব্ধি এবং বাস্তব প্রয়োগ। পৌরনীতি ব্যক্তি জীবন ও পারিবারিক জীবন হতে শুরু করে স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায় পর্যন্ত নাগরিকগণের কী কী অধিকার আছে এবং তাদেরকে কী কী কর্তব্য পালন করতে হবে তা নিয়ে আলোচনা করে। এ প্রসঙ্গে ই. এম. হোয়াইট বলেছেন, "পৌরনীতি হলো জ্ঞানের সেই মূল্যবান শাখা যা নাগরিকতার অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ এবং স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবতার সঙ্গে জড়িত সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করে।"

বর্তমানে তথ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হওয়ায় বিশ্ব আজ একটি গ্রামে (A Global Village) পরিণত হয়েছে। তাই আজ একজন নাগরিক নিজেকে শুধু কোনো এলাকার, শহরের বা বিশেষ কোনো রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে ভাবছে নাঃ বরং নিজেকে বিশ্ব নাগরিক (World-Citizen) মনে করে গর্ব অনুভব করছে। এ কারণে বিশ্ব নাগরিক হিসেবে বিশ্বের সর্ববিধ কল্যাণ কামনায় এবং মানবসমাজের উন্নয়নে সহযোগিতা প্রদান করতে প্রত্যেক নাগরিক বদ্ধপরিকর। পৌরনীতি এই আধুনিক নাগরিকত্ববোধকে জাগ্রত করতে সাহায্য করে।

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ