- হোম
- একাডেমি
- সাধারণ
- একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
- ইংরেজ উপনিবেশিক শাসন : কোম্পানি আমল
পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।
ইংরেজ উপনিবেশিক শাসন : কোম্পানি আমল
ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধ: হায়দার আলী Anglo Mysore War: Haydar Ali
অষ্টাদশ শতকের ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসের রঙ্গমঞ্চে অজ্ঞাত কুলশীল উচ্চাকাঙ্ক্ষী, দুঃসাহসিক ব্যক্তিদের আবির্ভাব লক্ষ করা যায়। এদের মধ্যে মহীশূরের হায়দার আলী, পাঞ্জাবের রঞ্জিৎ সিংহ, বাংলার আলিবর্দী খান অন্যতম। হায়দার আলী ১৭২১ খ্রিষ্টাব্দে বুদিকোটে এক কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা ফতে মোহাম্মাদ মহীশূরের এক সৈনিক ছিলেন। পিতার মৃত্যুর পর হায়দার আলীও এক ভাগ্যান্বেষী সৈনিক হিসেবে জীবন শুরু করেন। হায়দার আলী লেখাপড়া জানতো না। তবে তিনি অসীম সাহস, তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন এবং অসাধারণ স্মৃতিশক্তির অধিকারী ছিলেন। যে কারণে তিনি মহীশূরের সেনাপতি নঞ্জরাজের প্রিয়পাত্র হয়ে ওঠেন। এ সময় তিনি হায়দ্রাবাদ এবং ত্রিচিনী পল্লিতে ফরাসি যুদ্ধে অংশ নিয়ে ইউরোপীয় সেনাবাহিনীর যুদ্ধ সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। ১৭৫৫ খ্রিষ্টাব্দে হায়দার আলী দিন্দিগুলের ফৌজদার পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। মূলত এখান থেকেই হায়দার আলীর ক্ষমতা ও প্রভাব বৃদ্ধি পেতে থাকে।
ক্ষমতা গ্রহণ
মহীশূরের রাজ পরিবারের দুর্বলতার সুযোগে সেনাপতি নঞ্জরাজ ও তার ভ্রাতা দেবরাজ মহীশূরের সর্বেসর্বা হয়ে ওঠেন। রাজ্যের সকল ক্ষমতা তাদের হাতে কুক্ষিগত হয়। তাদের দুঃশাসনে জনসাধারণ ও সেনাবাহিনীর মধ্যে অসন্তোষ বৃদ্ধি পেতে থাকে, তার ওপর মারাঠা আক্রমণে মহীশূরের অচল অবস্থা সৃষ্টি করে। এই সুযোগে হায়দার আলী তার আশ্রয়দাতা নগুরাজকে ক্ষমতাচ্যুত করে নিজে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। হায়দার আলী তার প্রশাসনিক দক্ষতাবলে শীঘ্রই রাজ্যে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হন এবং পার্শ্ববর্তী রাজ্যসমূহের ওপর আধিপত্য বিস্তারে সচেষ্ট হন। ১৭৬৪ খ্রিষ্টাব্দে তিনি বেদনুর, সুপ্তা, কানারা, সাভালুর অঞ্চল দখল করে। এ সময় মারাঠা ও নিজাম রাজ্যের কিছু অংশ দখল করলে মারাঠাদের সাথে যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে পড়ে। ১৭৬১ খ্রিষ্টাব্দে পানি পথের তৃতীয় যুদ্ধে আহমদ শাহ আবদালীর নিকট মারাঠারা পরাজিত হলেও একেবারে বিলীন হয়ে যায়নি। মারাঠাদের পানির সাথে তুলনা করা যায়। পানিতে আঘাত করলে যেমন প্রতিঘাত করে না, আঘাতের চিহ্নও থাকে না। সুতরাং মারাঠারা আবার মাধব রাও-এর নেতৃত্বে পুনরুজ্জীবিত হয়ে ওঠে এবং দাক্ষিণাত্যে সাম্রাজ্য বিস্তারে পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। কিন্তু দক্ষিণ ভারতে বাধা ছিল মহীশূর রাজ্য এর শাসক হায়দার আলী সঙ্গত কারণেই মারাঠারা দক্ষিণ ভারতে সাম্রাজ্য বিস্তার করতে গেলেই হায়দার আলীর সাথে সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে ওঠে।
সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ

