• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
  • ইংরেজ উপনিবেশিক শাসন: ব্রিটিশ আমল
ইংরেজ উপনিবেশিক শাসন: ব্রিটিশ আমল

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

ইংরেজ উপনিবেশিক শাসন: ব্রিটিশ আমল

মর্লি-মিন্টো সংস্কার আইন-১৯০৯ Morley-Minto Reform-1909

ব্রিটিশ সরকার ১৮৫৮ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত যে কিস্তিবন্দী শাসন সংস্কার প্রবর্তন করেন তার একটি উল্লেখযোগ্য ধাপ হচ্ছে ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে মর্লি-মিন্টো সংস্কার আইন। যেহেতু এ আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে ভারত সচিব লর্ড মর্লি এবং বড় লাট লর্ড মিন্টোর মুখ্য ভূমিকা ছিল, সেহেতু তাদের নামানুসারে এই আইন 'মর্লি-মিন্টো সংস্কার আইন'
নামে পরিচিত। এ আইন প্রণয়নের প্রধান কারণ হিসেবে বলা যায়-

১। ১৮৫৮ খ্রিষ্টাব্দের মহাবিদ্রোহের পর ভারতীয়দের দাবির প্রতি ব্রিটিশ সরকারের নমনীয় নীতি।

২.। ১৮৯২ খ্রিষ্টাব্দের আইনে ভারতীয়দের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন না হওয়া।

৩। ১৯০৯ সালের সিমলা ডেপুটেশন এবং কংগ্রেস দলের প্রত্যাশা পূরণ।

৪। বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে বয়কট, স্বদেশী ও বৈপ্লবিক আন্দোলনের তিব্রতা।

৫। ইংল্যান্ডে উদারনৈতিক দলের মন্ত্রিসভা গঠন।

ধারাসমূহ:

এ আইনের ধারাসমূহ নিম্নরূপ:

১। কেন্দ্রীয় আইন পরিষদের সদস্য সংখ্যা ১৬ থেকে বৃদ্ধি করে ৬৯ করা হয়। ৩৭ জন সরকারি ও ৩২ জন বেসরকারি হবে স্থির হয়। ৩২ জন বেসরকারির মধ্যে ২৭ জন নির্বাচিত বাকি ৫ জন গভর্নর জেনারেল কর্তৃক মনোনীত হবেন।

২। এ আইনে আইন পরিষদগুলোর ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়। পরিষদের সদস্যদের বাজেট সম্পর্কে আলোচনা, প্রস্তাব উত্থাপন করার এবং আলোচনা করার অধিকার দেওয়া হয়। অবশ্য প্রস্তাবগুলো মনঃপূত না হলে অগ্রাহ্য করার ক্ষমতা সরকারের হাতে ন্যস্ত করা হয়।

৩। এ আইনের দ্বারা মুম্বাই, মাদ্রাজ ও বাংলার শাসন পরিষদের সদস্য ৪ জন করা হয়।

৪। এ আইনে মুসলমানদের পৃথক নির্বাচনের দাবি মেনে নেওয়া হয়।

৫। এ আইনে সর্বপ্রথম বড়লাটের শাসন পরিষদে ভারতীয়দের নিয়োগের ব্যবস্থা করা হয়।

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ