- হোম
- একাডেমি
- সাধারণ
- একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
- ইংরেজ উপনিবেশিক শাসন: ব্রিটিশ আমল
পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।
ইংরেজ উপনিবেশিক শাসন: ব্রিটিশ আমল
যে কারণে খিলাফত ও অসহযোগ আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটে
অসহযোগ ও খিলাফত আন্দোলন দুটি পাশাপাশি পরিচালিত হয়। উভয় আন্দোলনই ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ক্রমশ উত্তেজিত হতে থাকে। আন্দোলন অহিংস থেকে সহিংস হয়ে ওঠে। যে কারণে মহাত্মা গান্ধী আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেয়। সে সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো:
১। চৌরি চৌরার ঘটনা আন্দোলনের প্রচণ্ডতায় উত্তেজিত জনতা গোরখপুরের চৌরি চৌরা নামক থানায় অগ্নিসংযোগ করে একজন দারোগাসহ ২৩ জন পুলিশকে পুড়িয়ে হত্যা করে। গান্ধীজী সম্পূর্ণ অহিংসভাবেই সংগ্রাম চালাবার নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও চৌরি চৌরার ঘটনায় তিনি মর্মাহত হন এবং ঘটনার তাৎক্ষণিক গুরুত্ব অনুধাবন করে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। যেহেতু খিলাফত ও অসহযোগ আন্দোলন একত্রে পরিচালিত হয়েছিল সেহেতু গান্ধীজীর ঘোষণার সাথে আন্দোলন দুটি স্থমিত হয়ে যায় এ ঘোষণায় মতিলাল নেহেরু এবং লালা লাজপাতরায় মন্তব্য করেন যে, "একটি স্থানে একটি জনতার পাপের জন্য গান্ধীজী সমগ্র দেশকে দণ্ডিত করেন।"
২। ব্রিটিশ সরকারের নিপীড়ন ও দমননীতি ব্রিটিশ সরকার আন্দোলনকারীদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন ও নিপীড়ন শুরু করে হাজার হাজার লোককে কারাগারে নিক্ষেপ করে। এক পর্যায় আন্দোলন স্তিমিত হয়।
৩। কামাল আতাতুর্কের খিলাফত বিলুপ্তি ঘোষণা তুরস্কের জনক মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে খিলাফত বিলুপ্ত করেন এবং তুরস্ককে আধুনিক প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র বলে ঘোষণা দেন। ফলে খিলাফত আন্দোলনের মূল ভিত্তি নষ্ট হয় এবং এ আন্দোলন বলবৎ রাখার প্রয়োজনও ফুরিয়ে যায়। ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দে খিলাফত আন্দোলন সম্পূর্ণ থেমে যায়।
সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ

