- হোম
- একাডেমি
- সাধারণ
- একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
- ইংরেজ উপনিবেশিক শাসন: ব্রিটিশ আমল
পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।
ইংরেজ উপনিবেশিক শাসন: ব্রিটিশ আমল
সাইমন কমিশন-১৯২৭ (Simon Commission-1927)
১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দের ভারত শাসন আইন ভারতবাসীর রাজনৈতিক আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হলে এ আইনের বিরুদ্ধে তুমুল হট্টগোল সৃষ্টি হয়। তার ওপর ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় রাজনৈতিক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। ইতোমধ্যে স্বরাজ দলের নেতা মতিলাল নেহেরু শাসনতান্ত্রিক সংস্কারের দাবি জানান। এমতাবস্থায় প্রশাসন ও সংবিধানে উভয় ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনার জন্য বড় লাট লর্ড আরউইন উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি কমিশন ভারতবর্ষে সুশাসন গঠনের ঘোষণা দেন। এ প্রেক্ষাপটে ব্রিটিশ সরকার ভারতীয়দের দাবিদাওয়া পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দে উদারনৈতিক দলের সদস্য স্যার জন সাইমনের নেতৃত্বে লর্ড সভার ২ জন এবং কমন্স সভার ৪ জন মোট ৭ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিশন প্রেরণ করেন। কমিশনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল, ভারতবাসীর স্বায়ত্তশাসন লাভ করার যোগ্যতা আছে কি-না তা তদন্ত করে দেখা। এই কমিশনে কোনো ভারতীয় সদস্য না থাকায় একে 'সাদা কমিশন' বলে বিদ্রূপ করা হয়। কেবল ইংরেজদের নিয়ে সাইমন কমিশন গঠিত হয় বলে ভারতে এর বিরুদ্ধে অসন্তোষ লক্ষ করা যায়।
কংগ্রেস, মুসলিম লীগ, লিবারেল ফেডারেশন ও হিন্দু মহাসভা প্রভৃতি রাজনৈতিক দল এ কমিশন গঠনের নিন্দা করে এবং সাইমন কমিশন বয়কটের সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দের ৭ ফেব্রুয়ারি সাইমন কমিশন মুম্বাই-এ আগমন করলে দেশব্যাপী হরতাল পালিত হয়। সর্বত্র স্লোগান দেওয়া হয় "সাইমন ফিরে যাও"। কমিশনকে কালো পতাকা দেখানো হয়। এ অস্থির রাজনৈতিক পরিবেশের মধ্যে সাইমন কমিশন তাদের তদন্ত কাজ শেষ করে। এই কমিশন ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দের মে মাসে দু'খণ্ডে রিপোর্ট প্রকাশ করে। এই রিপোর্ট ভারতের জন্য যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার পদ্ধতি এবং স্বায়ত্তশাসনের প্রস্তাব করা হয়। দুটি কারণে এই কমিশনের প্রস্তাব ভারতবাসীর নিকট গ্রহণযোগ্য হয়নি। (১) কমিশনে ভারতীয় কোনো সদস্য না থাকা এবং (২) প্রস্তাবসমূহ ভারতবাসীর স্বার্থের অনুকূলে না হওয়া। কংগ্রেস এই কমিশনের বিরুদ্ধে আইন অমান্য আন্দোলন শুরু করে। মূলত এই কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতেই ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দে ভারত শাসন আইন প্রণয়ন করা হয়।
সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ

