• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
  • ইংরেজ উপনিবেশিক শাসন: ব্রিটিশ আমল
ইংরেজ উপনিবেশিক শাসন: ব্রিটিশ আমল

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

ইংরেজ উপনিবেশিক শাসন: ব্রিটিশ আমল

দ্বি-জাতিতত্ত্ব-১৯৪০ Theory of Two Nation-1940

ভারতবর্ষের হিন্দুদের একক আধিপত্য প্রতিষ্ঠার দুরভিসন্ধি এবং মুসলমানদের একটি স্বতন্ত্র জাতি হিসেবে স্বীকৃতি দানে অনীহার প্রেক্ষিতে মুসলিম লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ্ দ্বি-জাতিতত্ত্বের ঘোষণা দেন। কংগ্রেস নেতা নেহেরু দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেন, ভারতে শুধুমাত্র দুটি দল আছে- একটি কংগ্রেস অপরটি ব্রিটিশ সরকার। কংগ্রেস নেতা নেহেরুর এই ঘোষণার প্রতিবাদে জিন্নাহ জোরের সাথে বলেন, "ভারতে তিনটি দল আছে- একটি মুসলিম লীগ, একটি কংগ্রেস এবং অন্যটি ব্রিটিশ সরকার।" পক্ষান্তরে উগ্র হিন্দুবাদীরা প্রচার চালায় ভারতে একটি মাত্র জাতি 'হিন্দু জাতির' বাস। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মোহাম্মাদ আলী জিন্নাহ ১৯৪০ সালের জানুয়ারি মাসে ঘোষণা করেন, "যে কোন সংজ্ঞায় মুসলমানরা একটি স্বতন্ত্র জাতি, তাই তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার থাকতে হবে। ভারত একটি দেশ নয়, বরং একটি উপমহাদেশ। এ উপমহাদেশে যে যে ভিত্তিতে হিন্দুরা একটি জাতি একই ভিত্তিতে মুসলমানরাও একটি জাতি।" মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঘোষিত উক্ত তত্ত্বই ইতিহাসে দ্বি-জাতিতত্ত্ব নামে পরিচিত।

দ্বি-জাতিতত্ত্বের প্রবর্তক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, "মুসলমানদের কৃষ্টি স্বতন্ত্র, তাদের ইতিহাস ঐতিহ্য স্বতন্ত্র, নাম ও পরিচয় আলাদা, সুতরাং জাতীয়তার যে কোন সংজ্ঞানুযায়ী মুসলমানরা একটি পৃথক জাতি। আন্তর্জাতিক আইনের সংজ্ঞা অনুযায়ীও মুসলনমানরা একটি পৃথক জাতি। হিন্দুদের জন্য আবাস ভূমি থাকলে মুসলমানদের জন্যও পৃথক আবাস ভূমি থাকতে হবে।" শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হকের লাহোর প্রস্তাবের মূল ভিত্তিই ছিল এই দ্বি-জাতি তত্ত্ব এবং এই তত্ত্বই পাকিস্তানের জন্ম দেয়।

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ