• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
  • ইংরেজ উপনিবেশিক শাসন: ব্রিটিশ আমল
ইংরেজ উপনিবেশিক শাসন: ব্রিটিশ আমল

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

ইংরেজ উপনিবেশিক শাসন: ব্রিটিশ আমল

ক্রিপ্স মিশন-১৯৪২ Cripps Mission-1942

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মাঝামাঝি সময় ব্রিটিশদের শ্রেষ্ঠ সামরিক ঘাঁটি সিঙ্গাপুর, বার্মার রাজধানী রেঙ্গুন এবং মালয় জাপান দখল করলে উপমহাদেশের নিরাপত্তার ব্যাপারে ব্রিটিশ সরকার সন্দিহান হয়ে ওঠে। ভারতীয়দের সাহায্য-সহযোগিতা পাবার লক্ষ্যে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার উইনস্টন চার্চিল ব্রিটিশ ক্যাবিনেটের অর্থমন্ত্রী স্যার স্ট্যাফোর্ড ক্রিপসকে একটি প্রস্ত াব নিয়ে ১৯৪২ সালের ২২ মার্চ ভারতবর্ষে প্রেরণ করেন। স্যার ক্রিপসের নামানুযায়ী এই মিশনের নাম হয় 'ক্রিপস মিশন'। কংগ্রেস, লীগ ও অন্যান্য দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে ৩০ মার্চ ক্রিপস তার শাসনতান্ত্রিক পরিকল্পনা প্রকাশ করেন:

১। আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার অর্জনের জন্য শীঘ্রই ভারতীয় ইউনিয়ন গঠন করা হবে এবং একে ডোমিনিয়নের মর্যাদা দেওয়া হবে। এ ডোমিনিয়ন ব্রিটিশ ডোমিনিয়নের সমমর্যাদা লাভ করবে।

২। যুদ্ধাবসানে ভারতীয় প্রতিনিধিগণকে নিয়ে একটি সংবিধান সভা গঠন করা হবে এবং এর ওপর নতুন শাসনতন্ত্র রচনার দায়িত্ব দেওয়া হবে। ব্রিটিশ সরকারের সহিত এই সংবিধান সভা চুক্তিবদ্ধ হবে এবং এই চুক্তি অনুসারে ভারতীয়দের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে। এছাড়া এই চুক্তিতে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় ও অন্যান্য বিষয় সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি থাকবে।

৩। ভারতের কোনো প্রদেশ বা দেশীয় রাজ্য নতুন শাসনতন্ত্র গ্রহণে অস্বীকৃত হলে সে প্রদেশ বা দেশীয় রাজ্য নিজস্ব শাসনতন্ত্র রচনা করবে।

৪। সংবিধান সভার সদস্যরা প্রাদেশিক আইনসভা কর্তৃক নির্বাচিত হবেন।

৫। ভারতের প্রতিরক্ষার দায়িত্ব ব্রিটিশ সরকারের হাতে ন্যস্ত থাকবে।

৬। বড়লাটের কার্যনির্বাহক কাউন্সিলে সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বড়লাটের ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগের অধিকার থাকবে।

ক্রিপস মিশন ব্যর্থতার কারণ

ভারতকে স্বাধীনতাদানের কোনো প্রস্তাব উল্লেখ না থাকা, ভারতের প্রতিরক্ষার পূর্ণ দায়িত্ব ভারতীয়দের হাতে না দেওয়া, প্রস্তাবিত জাতীয় সরকারের ব্রিটিশ কেবিনেটের সমমর্যাদা ও ক্ষমতাদানের কোনো প্রতিশ্রুতি না থাকায় কংগ্রেস উক্ত প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। অপরদিকে, পাকিস্তান রাষ্ট্রের দুটি পৃথক সংবিধান সভা গঠনের সুস্পষ্ট উল্লেখ না থাকায় মুসলিম লীগ এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। ক্রিপ্স ব্যর্থ হয়ে স্বদেশে ফিরে যায়। ক্রিপস প্রস্তাব সম্পর্কে ড. পট্রন্ডী বলেছেন, 'ক্রিপস প্রস্তাবটি বিভিন্ন রুচির মানুষের জন্য বিচিত্র স্বাদে আকর্ষণীয়।'

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ