- হোম
- একাডেমি
- সাধারণ
- একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
- ইংরেজ উপনিবেশিক শাসন: ব্রিটিশ আমল
পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।
ইংরেজ উপনিবেশিক শাসন: ব্রিটিশ আমল
ভারত ছাড় বা আগস্ট আন্দোলন-১৯৪২ The Quit India or August Movement-1942
ক্রিপস মিশন ব্যর্থ হওয়ার পর সমগ্র ভারতব্যাপী অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। ভারতীয় রাজনীতিতে নেমে আসে হতাশার কালো ছায়া। এ অবস্থায় ভারতবর্ষে জাপানের আক্রমণের আশঙ্কায় নেতৃবৃন্দ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে গান্ধীজী 'হরিজন' পত্রিকায় অভিমত ব্যক্ত করেন যে, একমাত্র ব্রিটিশ ভারত ছাড়লে জাপান ভারত আক্রমণের পরিকল্পনা পরিবর্তন করতে পারে। ব্রিটিশরা ভারতবর্ষ ছাড়ার পরও যদি জাপান আক্রমণ করে তা ভারতবাসী সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিহত করবে। ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত এলাহাবাদ সম্মেলনে গান্ধীজীর উক্ত অভিমতই 'ভারত ছাড়' আন্দোলনের সূচনা করে। ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দের ৮ আগস্ট মুম্বাই শহরে নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির অধিবেশনে গান্ধীজীর নেতৃত্বে বিখ্যাত 'ভারত ছাড়' বা 'আগস্ট প্রস্তাব' গ্রহণ করা হয়। গান্ধীজী ঘোষণা দেন, আমি এখনই স্বাধীনতা চাই, স্বাধীনতা টপ করে আকাশ থেকে পড়বে না, আমরা লড়াই করে স্বাধীনতা আনব; আর এটাই হবে আমাদের জীবনের শেষ লড়াই। তিনি বলেন, We shall do or die (করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে)।
৮ আগস্ট মধ্যরাতে গান্ধীজীসহ শীর্ষস্থানীয় নেতাদের পুলিশ গ্রেফতার করে। নেতাদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে এবং 'ভারত ছাড়' আন্দোলন সফল করতে জনতা বিক্ষুব্ধ ও উত্তেজিত হয়ে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, রেললাইন উৎপাটন, টেলিগ্রাফ ও টেলিফোনের তার বিচ্ছিন্ন প্রভৃতি কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। পুলিশও ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করে। ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দের শেষে গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়ায় ৬০,০০০ জন, কারাদণ্ড দেওয়া হয় ২৬,০০০ জন এবং পুলিশের হাতে নিহত হয় প্রায় ১০,০০০ জন। সরকারের সীমাহীন দমন-পীড়নের ফলে 'ভারত ছাড়' আন্দোলন ব্যর্থ হয়। ইংরেজরা ভারত ছাড়েনি তবে তারা বেশি দিন টিকেও থাকতে পারেনি। এ আন্দোলনে তাদের ভিত একেবারে নড়বড়ে হয়ে যায়। অবশেষে ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশরা এদেশ ছাড়তে বাধ্য হয়।
সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ

