- হোম
- একাডেমি
- সাধারণ
- একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।
মূল্যবোধ, আইন, স্বাধীনতা ও সাম্য
আইন, স্বাধীনতা ও সাম্যের সম্পর্ক | Relationship Among Law, Liberty and Equality
আইন, স্বাধীনতা ও সাম্যের ধারণা সংক্রান্ত আলোচনার ভিত্তিতে বলা যায় যে, আইন, স্বাধীনতা ও সাম্যের মধ্যে পরস্পর সম্পর্ক বিদ্যমান। আইনহীন সমাজে স্বাধীনতা যেমন কল্পনা করা যায় না, তেমনি আইন ছাড়া সাম্যের পরিবেশ সৃষ্টি হয় না। সাম্য ভিত্তিক সমাজ ছাড়া স্বাধীনতা উপভোগ করা যায় না। সাম্যই স্বাধীনতাকে অর্থবহ করে তোলে। আবার যেখানে আইন নেই সেখানে স্বাধীনতা থাকতে পারে না। এজন্য বলা হয় আইন, স্বাধীনতা ও সাম্য এক অবিচ্ছেদ্য বন্ধনে আবদ্ধ।
আইন না থাকলে স্বাধীনতা সংরক্ষিত হয় না। তাই জন লক বলেছেন, যেখানে আইন নেই, সেখানে স্বাধীনতা থাকতে পারে না (Where there is no low, there is no freedom)। আইন যেমন স্বাধীনতার রক্ষক হিসেবে কাজ করে। তেমনি যেখানে স্বাধীনতা নেই সেখানে আইনের প্রয়োজনীয়তাও নেই। আবার যে সমাজে সাম্য নেই, সেখানে স্বাধীনতা রক্ষিত হতে পারে না। তাই অধ্যাপক লাস্কি বলেছেন, "যে রাষ্ট্রে যত সাম্য থাকবে, সে রাষ্ট্রে তত স্বাধীনতা থাকবে।"
সাম্য ও স্বাধীনতা সমাজে একসাথে বিরাজ না করলে মানুষের অধিকার ভোগের ক্ষেত্রে সংশয় দেখা দেয়। সাম্য-সমাজের ধনী-গরিব, দুর্বল-সবলের পার্থক্য দূর করে। স্বাধীনতা সমাজের সুযোগ-সুবিধাসমূহ ভোগ করার অধিকার প্রদান করে। সমাজে সাম্য না থাকলে স্বাধীনতা শোষকদের দ্বারা পদদলিত হয়। তাই অধ্যাপক লাস্কি বলেন, "একটি রাষ্ট্রে যত সাম্য থাকবে সে রাষ্ট্রে তত বেশি স্বাধীনতা থাকবে।"
আইন স্বাধীনতার অন্যতম শর্ত এবং রক্ষাকবচ। অন্যদিকে সাম্যের অনুপস্থিতিতে স্বাধীনতা উপভোগ সম্ভব হয় না। অর্থাৎ একটির অনুপস্থিতিতে অন্যটি অর্থহীন। আর এ তিনের পরিপূর্ণ উপস্থিতিতে স্বাধীনতা উপভোগ সার্থক ও অর্থবহ হয়ে ওঠে। পরিশেষে বলা যায়, আইন, স্বাধীনতা ও সাম্য পরস্পরের সাথে গভীরভাবে জড়িত। একটি থেকে অপরটিকে আলাদা করা যায় না। ব্যক্তির পরিপূর্ণ বিকাশ সাধনই এই তিনের লক্ষ্য। রাষ্ট্র আইনের মাধ্যমে স্বাধীনতা, সাম্যের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করে থাকে।
সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ