• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
  • মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের কার্যক্রম
মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের কার্যক্রম

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের কার্যক্রম

মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর ব্যবস্থাপনা

সেক্টর কমান্ড (The Sector Command)

১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠনের পর সমস্ত রণাঙ্গনকে মোট ৪টি সেক্টরে ভাগ করা হয়। চট্টগ্রাম সেক্টরের অধিনায়ক নিযুক্ত হন মেজর জিয়াউর রহমান, কুমিল্লা সেক্টরে মেজর খালেদ মোশাররফ, সিলেট সেক্টরে মেজর শফিউল্লাহ এবং কুষ্টিয়া সেক্টরে মেজর আবু ওসমানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১১ এপ্রিল মেজর নাজমুল হককে দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা এলাকায়, মেজর জলিলকে বরিশাল, পটুয়াখালী এলাকায় এবং ক্যাপ্টেন নওয়াজেশকে রংপুর এলাকার দায়িত্ব দেওয়া হয়। সারা দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করে যুদ্ধকে আরও বেগবান করার লক্ষ্যে বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধে যোগদানকারী সকল সামরিক-বেসামরিক ব্যক্তিবর্গকে যথোপযুক্ত দায়িত্বে নিযুক্ত করা এবং যুদ্ধ এলাকা নির্ধারণের জন্য সেক্টরগুলোকে নতুনভাবে পুনর্গঠন করার একান্ত প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের-সভাপতিত্বে রণনীতি ও সেক্টর ব্যবস্থাপনা নির্ধারণ করা হয়। কর্নেল রবকে চিফ অব স্টাফ এবং গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ.কে. খন্দকারকে ডেপুটি চিফ অব স্টাফ নিযুক্ত করা হয়।

সুষ্ঠু যুদ্ধ পরিচালনার জন্য সকল পর্যায়ের মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করে সামরিক এবং বেসামরিক ব্যক্তিবর্গের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টনের লক্ষ্যে প্রধান সেনাপতি কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানীর অধীনে সমগ্র রণাঙ্গনকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করে ১১ জন সেক্টর কমান্ডার নিয়োগ প্রদান করা হয়। প্রত্যেক সেক্টরে মুজিবনগর সরকারের গেরিলা বাহিনীর ভূমিকা ছিল অনন্য। সেক্টর নম্বর ও অঞ্চলসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত সেক্টর কমান্ডারগণের পূর্ণ তালিকা নিচে দেওয়া হলো:

সেক্টর পরিচিতি:

সেক্টর
আওতাধীন অঞ্চলসমূহ
দায়িত্বপ্রাপ্ত কমান্ডার
১নং
চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং ফেনী নদী পর্যন্ত।
ক. মেজর জিয়াউর রহমান (এপ্রিল-জুন)
খ. মেজর মো: রফিক (জুন-ডিসেম্বর)
২নং
ঢাকা জেলার ঢাকা, নোয়াখালী, কুমিল্লা জেলা, আখাউড়া, ভৈরব রেল লাইন পর্যন্ত এবং ফরিদপুর জেলার অংশবিশেষ।
ক. মেজর খালেদ মোশাররফ (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর)
খ. মেজর এ.টি.এম. হায়দার (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর)
৩নং
সিলেট জেলার হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, আখাউড়া, ভৈরব রেল লাইন থেকে উত্তরপূর্ব দিকের কুমিল্লা ও ঢাকা জেলার অংশবিশেষ।
ক. মেজর এ.কে. শফিউল্লাহ (এপ্রিল-ডিসেম্বর)
খ. মেজর নুরুজ্জামান (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর)
৪ নং
সিলেট জেলার পূর্বাঞ্চল।
মেজর সি.আর দত্ত
৫নং
সিলেট জেলার সমগ্র উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চল।
মেজর মীর শওকত আলী
৬নং
রংপুর, দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁও।
উইং কমান্ডার এম. বাশার
৭নং
দিনাজপুর জেলার দক্ষিণাঞ্চল, বগুড়া, রাজশাহী এবং পাবনা।
ক. মেজর নাজমুল হক (এপ্রিল-আগস্ট)
খ. মেজর কাজী নুরুজ্জামান (আগস্ট-ডিসেম্বর)
৮নং
কুষ্টিয়া, যশোর, ফরিদপুরের অধিকাংশ ও খুলনার উত্তরাঞ্চল।
ক. মেজর আবু ওসমান চৌধুরী (এপ্রিল-আগস্ট)
খ. মেজর এম.এ. মঞ্জুর (আগস্ট-ডিসেম্বর)

৯নং

বরিশাল, পটুয়াখালী ও খুলনার দক্ষিণাঞ্চল।
মেজর এম.এ. জলিল
১০নং
অভ্যন্তরীণ নৌপথ।
নৌবাহিনীর কমান্ডো দ্বারা পরিচালিত
১১নং
সমগ্র ময়মনসিংহ জেলা এবং ব্রহ্মপুত্র নদ (যমুনা) উভয় তীরবর্তী এলাকা।
ক. মেজর আবু তাহের (আগস্ট-নভেম্বর)
খ. ফ্লাইট লেফটেনেন্ট এম. হামিদুল্লাহ খান (নভেম্বর-ডিসেম্বর)

৯ নম্বর পটুয়াখালী সেক্টরের সাব-সেক্টর সদর দপ্তর ছিল বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার বুকাবুনিয়া ইউনিয়নে। এখান থেকেই মুক্তিযোদ্ধারা দক্ষিণাঞ্চলে যুদ্ধ পরিচালনা করত। বর্তমানে বুকাবুনিয়াতে একটি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়েছে।

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ