• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
  • মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের কার্যক্রম
মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের কার্যক্রম

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের কার্যক্রম

জোনাল কাউন্সিল (Jonal council)

মুক্তিযুদ্ধের অগ্রগতি, সাফল্য, প্রতিপক্ষকে আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণ এবং পরবর্তী কর্ম পদ্ধতি ইত্যাদি পর্যালোচনা করার জন্য জোনাল কাউন্সিল গঠন করা হয়। জোনাল কাউন্সিলের প্রধান ছিলেন এম.এ.জি. ওসমানী এবং ১১টি সেক্টরের অধিনায়কবৃন্দ সবাই এ কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। কোন পদ্ধতিতে যুদ্ধ করে শত্রুদের আক্রমণ করা হবে তা জোনাল কাউন্সিল নির্ধারণ করত। জোনাল কাউন্সিল মুক্তিযোদ্ধাদের শক্তি বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতেন। এ সকল কাজ সুষ্ঠুভাবে ভাবে সম্পন্ন করার জন্য সেপ্টেম্বর মাসে চূড়ান্তভাবে সমগ্র বাংলাদেশকে ১১টি অঞ্চল বা জোনে ভাগ করা হয়। প্রতিটি জোনের সার্বিক তত্ত্বাবধানের জন্য আঞ্চলিক প্রশাসনিক পরিষদ গঠিত হয়। সংশ্লিষ্ট এলাকার জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের প্রশাসনিক পরিষদের সদস্য করে তাদের ভোটে নির্বাচিত একজন করে চেয়ারম্যানকে পরিষদের প্রধান করা হয়। সরকার হতে চেয়ারম্যানের অধীনে একজন করে সচিব নিযুক্ত করা হয়। একই সাথে প্রতিটি জোনে সরকার হতে ৫ জন করে কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। এ সকল নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের পদমর্যাদা ছিল-১. আঞ্চলিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ২. শিক্ষা কর্মকর্তা, ৩. ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা, ৪. প্রকৌশল কর্মকর্তা, ৫. হিসাব বিভাগীয় কর্মকর্তা। প্রতিটি আঞ্চলিক জোনে আবার ৫টি উপ পরিষদ গঠিত হয়। যথা: ১. অর্থ উপ-পরিষদ ২. ত্রাণ উপ-পরিষদ ৩. স্বাস্থ্য-উপ পরিষদ ৪. প্রচার উপ-পরিষদ এবং ৫. শিক্ষা উপ-পরিষদ। প্রতিটি উপ-পরিষদ গঠনের বিধান ছিল আঞ্চলিক পরিষদ থেকে সর্বনিম্ন ৩ জন এবং সর্বোচ্চ ৭ জন সদস্য নিয়ে। প্রতিটি জোনে সংসদ সদস্যদের নিয়ে একটি আঞ্চলিক উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত হয়।

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ