- হোম
- একাডেমি
- সাধারণ
- একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
জনমত ও রাজনৈতিক সংস্কৃতি
পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।
জনমত ও রাজনৈতিক সংস্কৃতি
সর্বজনীন ভোটাধিকার Universal Adult Suffrage
আধুনিক গণতন্ত্র পরোক্ষ বা প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র। প্রাচীনকালে জনগণ প্রত্যক্ষভাবে শাসনকার্যে অংশগ্রহণ করতে পারত। কারণ তখন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নগর নিয়ে এক একটি রাষ্ট্র ছিল; এগুলোর আয়তন ও জনসংখ্যা খুবই কম ছিল বিধায় জনগণ শাসনকার্যে অংশগ্রহণের সুযোগ পেত। যেমন- প্রাচীন গ্রিস ও রোম। বর্তমানে জাতি রাষ্ট্রের (Nation State) উদ্ভবের ফলে রাষ্ট্রের আয়তন বৃহৎ ও জনসংখ্যা বিপুল হওয়ার দরুন সকলের পক্ষে সরাসরি শাসনকার্যে অংশগ্রহণ করা সম্ভব হয় না। এজন্য জনসাধারণ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে প্রতিনিধি নির্বাচন করে যারা জনগণের পক্ষে শাসনকার্য পরিচালনা করে। ভোটাধিকার নাগরিকের শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক অধিকার (Best Political Rights)। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় ভোটাধিকারকে সকলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। তবে সর্বজনীন ভোটাধিকারের সুবিধা যেমন আছে তেমনি অসুবিধাও আছে।
সর্বজনীন ভোটাধিকারের অর্থ ভোটাধিকার সম্পর্কে দুটি মত প্রচলিত আছে- একটি হলো সর্বজনীন ভোটাধিকার এবং অপরটি হলো শর্ত ও যোগ্যতাসাপেক্ষে ভোটাধিকার। বর্তমানে প্রায় সব গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রেই সর্বজনীন ভোটাধিকার নীতিগতভাবে স্বীকৃত হয়েছে। অর্থাৎ যে নীতিতে রাষ্ট্রের প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক নর-নারী, জাতি, গোষ্ঠী, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ভোটাধিকার লাভ করে তাকেই সর্বজনীন প্রাপ্তবয়স্কদের ভোটাধিকার বলে। ব্রিটেন, আমেরিকা, রাশিয়া, ভারত, বাংলাদেশ প্রভৃতি দেশে প্রাপ্তবয়স্ক বলতে ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়স্ক নাগরিকদের বোঝায়। অর্থাৎ ১৮ বছর বয়স্ক সকল নাগরিক সকল নির্বাচনে (বিধি অনুযায়ী) ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে। তবে নির্বোধ, পাগল, দেউলিয়া, জেলবন্দি, শিশু ও অপ্রকৃতিস্থ ব্যক্তিদের কোনো ভোটাধিকার নেই।
সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ