• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
জনমত ও রাজনৈতিক সংস্কৃতি

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

জনমত ও রাজনৈতিক সংস্কৃতি

রাজনৈতিক সংস্কৃতির উপাদানসমূহ (Elements of Political Culture)

যেকোনো দেশ বা জাতির রাজনৈতিক ব্যবস্থা (Political System) গঠনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্ধারক হলো সংশ্লিষ্ট দেশ বা জাতির রাজনৈতিক সংস্কৃতি। রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে একটি দেশের বা জনগণের রাজনৈতিক পরিচয় ফুটে ওঠে। বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি ভিন্ন-ভিন্ন উপাদানের সংমিশ্রণে গড়ে ওঠে। জনগণের আদর্শ, লক্ষ্য, বিশ্বাস, অভিজ্ঞতা, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির আলোকে রাজনৈতিক সংস্কৃতি বিকশিত হয়। সাধারণত প্রত্যেক জাতির রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে ওঠে তিনটি মৌলিক উপাদানের সমন্বয়ে। উপাদানগুলো নিম্নরূপ:

১. অভিজ্ঞতাবাদী বিশ্বাসসমূহ (Emprical beliefs): রাজনৈতিক পরিমণ্ডলের বিভিন্ন বিষয় ও সমস্যার ধারণা নিয়ে মানুষের অভিজ্ঞতাবাদী বিশ্বাস গড়ে ওঠে। আর এ ধারণার ওপরই শাসক ও শাসিতের সম্পর্ক নির্ভরশীল।

২. মূল্যবোধের অগ্রাধিকার (Value preferences): কতকগুলো বিশ্বাস ও অনুভূতির সমন্বয়ে মূল্যবোধের অগ্রাধিকার গড়ে ওঠে। রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে জনগণের ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ, ধারণা, সরকারের কর্মকাণ্ড বা উদ্দেশ্য ইত্যাদির সমন্বয়ে এক ধরনের আস্থা ও বিশ্বাসের জন্ম হয়। আর রাজনৈতিক ব্যবস্থা সম্পর্কে ব্যক্তির সামগ্রিক আচরণের সমষ্টি হলো মূল্যবোধ। সরকারের উদ্দেশ্য, ব্যক্তিত্ব, ধারণা, বিশ্বাস ইত্যাদি থেকে মূল্যবোধের অগ্রাধিকার সৃষ্টি হয়। যেমন- নির্দিষ্ট সময় অন্তর নির্বাচন হবে, জনগণের রায়ে অধিক ভোট প্রাপ্ত দল ক্ষমতায় যাবে ইত্যাদি।

৩. সংবেদনশীল অনুভূতি (Affective responses): নির্দিষ্ট রাজনৈতিক লক্ষ্যের প্রতি জনগণের অনুকূল বা প্রতিকূল অনুভূতিকেই সংবেদনশীল অনুভূতি বলে। বিদ্যমান রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জনগণের মনোভাবের মধ্যেই সংবেদনশীলতার উৎস নিহিত।

তবে বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির পর্যালোচনায় প্রতিভাত হয় যে, রাজনৈতিক সংস্কৃতির এ তিন উপাদানের মধ্যে অসংগতি বিদ্যমান। একের সাথে অন্যের কোনো সংগতি নেই। অর্থাৎ প্রত্যেক জাতির রাজনৈতিক সংস্কৃতির মধ্যে কিছু অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হয়।

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ