• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
  • পূর্ব বাংলার স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধিকার আন্দোলন
পূর্ব বাংলার স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধিকার আন্দোলন

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

পূর্ব বাংলার স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধিকার আন্দোলন

ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান Mass Upsurge of 1969

তৎকালীন পাকিস্তানের ইতিহাসে আইয়ুব সরকারের বিরুদ্ধে ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, স্বাধিকার প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক বৈষম্যের অবসান, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার, আমলা ও সামরিক চক্রের কর্তৃত্ব বিলোপের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ৮টি বিরোধী দল ১৯৬৯ সালের ৮ জানুয়ারি একত্রিত হয়। তারা 'গণতান্ত্রিক সংগ্রাম পরিষদ' নামে একটি জোট গঠন করে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তোলে। ফলে পাকিস্তানের মসনদ থেকে বিদায় নিতে হয় ১৯৫৮ সালের অক্টোবর বিপ্লবের নায়ক প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানকে।

পটভূমি

১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান বাঙালি জাতির জীবনে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। বস্তুত প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের সকল গণবিরোধী কর্মকাণ্ডে ও সামরিক স্বৈরাচারের অবসান এবং অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের ৬ দফা এবং ছাত্রদের ১১ দফার ভিত্তিতে পূর্ব পাকিস্তানে পরিচালিত তীব্র গণআন্দোলনই ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান। জেনারেল আইয়ুব খানের এক দশকের সামরিক শাসনের নিগ্রহ ও দমনপীড়ন, প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, সামরিক ও বেসামরিক আমলাদের দৈরত্বের অবসান, আগরতলা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, সর্বোপরি শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তির দাবিতে ঐতিহাসিক ৬ দফা ও ছাত্রদের ১১ দফার ভিত্তিতে উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান পরিচালিত হয়। উনসত্তরের গণঅভ্যুথানের গোড়াপত্তন হয় ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক ৬ দফা ঘোষণার মাধ্যমে। এ গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাসমূহ- ১৯৬৮ সালের ডিসেম্বরের ৬ তারিখ থেকে ১৯৬৯ সালের ফেব্রুয়ারির ২৩ তারিখের মধ্যে সংঘটিত হয়। এ সময় পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের উভয় অঞ্চলে গণআন্দোলন শুরু হলেও পূর্ব পাকিস্তানে এর তীব্রতা ছিল বেশি। ৬ দফার ন্যায্য দাবিকে কেন্দ্র করে বাঙালিরা উত্তাল হলে তাদের উপর নেমে আসে নির্যাতন, জেলজুলুম। ১৯৬৮ সালে আগরতলা মিথ্যা মামলায় বঙ্গবন্ধুসহ ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। এতে পূর্ব বাংলার জনগণ বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং সৃষ্টি হয় গণঅভ্যুত্থান।

পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়নের দুটি গ্রুপ এবং জাতীয় ছাত্র ফেডারেশনের একাংশ নিয়ে ১৯৬৯ সালের ৫ জানুয়ারি একটি সর্বদলীয় 'ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ' গঠিত হয়। দেশে যখন নেতৃত্বের অভাব ঠিক তখনই 'ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ' আন্দোলনের নেতৃত্ব গ্রহণ করে। জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের জন্য এ সংগ্রাম পরিষদ ৬ দফাকে সঙ্গে নিয়ে ছাত্র, শিক্ষক, কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের দাবি সম্মিলিত ১১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করে।

ছাত্রসমাজের এগারো দফা

১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দের উত্তাল দিনে ছাত্রসমাজের ১১ দফা কর্মসূচি জনগণের আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আগরতলা মামলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ আটক নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে সমগ্র পূর্ব বাংলায় যখন আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল, তখন ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে পেশ করা হয় ১১ দফা কর্মসূচি। ছাত্রসমাজের ১১ দফা কর্মসূচি ছিল নিম্নরূপ:

দফা-১: আত্মনির্ভরশীল কলেজগুলোকে প্রাদেশিকীকরণের নীতি প্রত্যাহারে জগন্নাথ কলেজকে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনা, শিক্ষার ব্যাপক প্রসার, সরকারি কলেজসমূহে নৈশ বিভাগ চালু, ছাত্রদের বেতন ৫০% হ্রাস করা, মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষা দান, শিক্ষকদের বাকস্বাধীনতা দান ও বেতন বৃদ্ধি, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা প্রবর্তন, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, ছাত্রদের বাসে ভ্রমণে ভাড়া হ্রাস করা, ছাত্রাবাসে উন্নতমানের খাবারের ব্যবস্থা করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্স বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন প্রদান, জাতীয় শিক্ষা কমিশন ও হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন বাতিল ইত্যাদি।

দফা-২: প্রাপ্ত বয়স্কদের ভোটে প্রত্যক্ষ নির্বাচন ও পার্লামেন্টারি গণতন্ত্র প্রবর্তন করা।

দফা-৩: ৬ দফার ভিত্তিতে পূর্ব পাকিস্তানের জন্য পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন প্রদান করা।

দফা-৪: পশ্চিম পাকিস্তানে ক্ষুদ্র প্রদেশগুলোর জন্য স্বায়ত্তশাসন ও একটি সাব-ফেডারেশন গঠন করা।

দফা-৫: ব্যাংক, বিমা, পাটের ব্যবসা ও বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা।

দফা-৬: কৃষকদের কর ও খাজনা হ্রাস করা।

দফা-৭: শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি, বোনাস, চিকিৎসা, বাসস্থান, ধর্মঘট ও ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার প্রদান।

দফা-৮: পূর্ব পাকিস্তানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ এবং জনসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার।

দফা-৯: জরুরি ব্যবস্থামূলক আইন, নিরাপত্তা আইন এবং অন্যান্য দমনমূলক আইন বাতিলকরণ।

দফা-১০: সিয়াটো, সেন্টো ও পাক-মার্কিন সামরিক চুক্তি বাতিল এবং নিরপেক্ষ বৈদেশিক নীতি গ্রহণ।

দফা-১১: আগরতলা মামলায় আটক আসামি সহ সকল রাজবন্দিদের মুক্তি দান।

ঘটনাবলি

ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ১১ দফা ও আওয়ামী লীগের ৬ দফা দাবির ভিত্তিতে ছাত্রজনতা ঐক্যবদ্ধ হলে স্বৈরাচারী আইয়ুব সরকারের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি হয়। পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের আন্দোলন ও ছাত্র সমাজের আন্দোলন একই মোহনায় মিলিত হলে এক প্রচণ্ড গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ১১ দফা আন্দোলন শুধু পূর্ব বাংলায়ই তীব্র আকার ধারণ করেনি পশ্চিম পাকিস্তানেও এর ঢেউ লাগে। সেখানে আইয়ুব খান বিরোধী ব্যাপক আন্দোলন গড়ে ওঠে। ১৮ জানুয়ারি থেকে ছাত্ররা তাদের ১১ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। ঐ দিন গণতান্ত্রিক সংগ্রাম পরিষদ কর্তৃক আহূত হরতাল জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালন করে। সরকার ১১ দফা আন্দোলনকে নস্যাৎ করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালায়। ১৪৪ ধারা জারি করেও আন্দোলনের ধারাকে প্রতিহত করা যায়নি। পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্র জনতা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে রাস্তায় বেরিয়ে আসলে শুরু হয় পুলিশি নির্যাতন। ছাত্র বিক্ষোভের তৃতীয় দিন অর্থাৎ ২০ জানুয়ারি ঢাকায় ছাত্র জনতার ওপর পুলিশের নির্যাতন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌছে। ছাত্রদের একটি বিক্ষোভ মিছিলের উপর পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। পুলিশের গুলিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আসাদুজ্জামান নিহত হন (২০ জানুয়ারি দিনটি পরবর্তীতে আসাদ দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে)। দিন দিন আন্দোলনের গতি আরও তীব্র আকার ধারণ করে এবং তা গণঅভ্যুত্থানে পরিণত হয়। পুলিশ কর্তৃক ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে সমগ্র প্রদেশে ধর্মঘট, মিছিল চলতে থাকে। শেষ পর্যন্ত গণবিক্ষোভ দমন করার জন্য শাসকগোষ্ঠী সেনাবাহিনী তলব করে এবং বিভিন্ন জায়গায় কারফিউ জারি করে। সেনাবাহিনী প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে গুলি চালিয়েও এ দুর্বার আন্দোলন স্তব্ধ করতে পারেনি। পশ্চিম পাকিস্তানেও এ সময় স্বৈরাচারী আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে আন্দোলন আরও জোরদার হয়। সমগ্র দেশে অরাজকতা দেখা দেয়। অবশেষে আইয়ুব খান গণআন্দোলনের নিকট নতি স্বীকার করেন।

দেশের অবস্থা ক্রমশ খারাপের দিকে যাচ্ছে দেখে তিনি জাতীয় সমস্যাগুলো আলোচনার জন্য বিরোধী দলীয় রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে গোলটেবিল বৈঠক আহ্বান করেন (১লা ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ খ্রি.)। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমান তখনও আগরতলা মামলায় আটক। সুতরাং তাকে ছাড়া আলোচনা বৈঠক নিরর্থক। কিন্তু আগরতলা মামলা প্রত্যাহার না করলে শেখ মুজিব প্যারোলে মুক্তি নিয়ে গোলটেবিল বৈঠকে যোগদান করতে অস্বীকৃতি জানান। এদিকে মাওলানা ভাসানীও গোলটেবিল বৈঠকে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানান। সমগ্র দেশব্যাপী আগরতলা মামলা প্রত্যাহারের দাবি উঠে। ইতোমধ্যে দুটি ঘটনা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলে। আগরতলা মামলার অন্যতম আসামি সার্জেন্ট জহরুল হককে ১৫ ফেব্রুয়ারি বন্দী অবস্থায় ক্যান্টনমেন্টে গুলি করে হত্যা করা হয়। জনতা তখনই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে মামলার প্রধান বিচারকের বাড়িসহ কয়েকজন মন্ত্রীর বাড়ি, গাড়ি ও জনস্বার্থ বিরোধী প্রতিটি অফিসে অগ্নিসংযোগ করে। পরদিন সংবাদ পাওয়া গেল যে, ১৭ ফেব্রুয়ারি সৈন্যরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও রসায়ন বিভাগের রিডার ড. শামসুজ্জোহাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। এ সংবাদে সারা দেশে বিক্ষোভের আগুন জ্বলে উঠে। প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান আন্দোলনের প্রচণ্ডতা লক্ষ করে ২১ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ ঘোষণা করেন যে, তিনি আগামী নির্বাচনে (১৯৭০ খ্রি.) আর প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হবেন না। গণদাবিতে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর মোনেম খানকে বরখাস্ত করেন এবং তদস্থলে ড. এম. এন হুদাকে নিয়োগ করেন।

১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দের ২২ ফেব্রুয়ারি আইয়ুব সরকার আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করে নেন। শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যান্যরা কারাগার থেকে বিনাশর্তে মুক্তি পান। ২৩ ফেব্রুয়ারি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ শেখ মুজিবসহ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার সকল আসামিকে রেসকোর্স ময়দানে এক গণসংবর্ধনা দান করে। তৎকালীন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি তোফায়েল আহমদের সভাপতিত্বে এ জনসভায় শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলার নিপীড়িত জনগণের জন্য তার আত্মত্যাগ ও ভালোবাসার নিদর্শনস্বরূপ 'বঙ্গবন্ধু' খেতাবে ভূষিত করা হয়। শেখ মুজিব তাঁর বক্তৃতায় জনগণের প্রতি তীব্র কৃতজ্ঞতা ও অকৃত্রিম ভালোবাসার কথা ব্যক্ত করেন। তিনি আরও ঘোষণা করেন যে, প্রস্তাবিত গোলটেবিল বৈঠকে তিনি যোগদান করবেন এবং ছাত্রদের ১১ দফা ও আওয়ামী লীগের ৬ দফার ভিত্তিতে আলোচনা চালাবেন। তাঁর দাবি অগ্রাহ্য হলে তিনি দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ গণআন্দোলন গড়ে তুলবেন।

১৯৬৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি আইয়ুব খান আহূত গোলটেবিল বৈঠক বসে। Democratic Action Committee-এর প্রতিনিধিগণ এবং বিচারপতি মুর্শেদ ও এয়ার মার্শাল আজগর খানের মতো স্বতন্ত্র নেতৃবৃন্দও এতে যোগ দেন। কিন্তু জুলফিকার আলী ভুট্টো, লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজম খান এবং মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী এতে যোগদান করেননি। স্বায়ত্তশাসনের প্রশ্নে সকল আলোচনা ব্যর্থ হয়ে যায়। বৈঠকে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন না থাকায় শেখ মুজিবুর রহমান বৈঠক বর্জন করেন এবং আন্দোলন অব্যাহত রাখেন। ইতোমধ্যে গণআন্দোলন আরও তীব্রতর হয়। দেশের নানা স্থানে অরাজনৈতিক কার্যকলাপ ও হত্যাকাণ্ড ঘটতে থাকে। আইন ও প্রশাসন অচল হয়ে পড়ে। পরিস্থিতির প্রচণ্ডতা লক্ষ করে প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল আগা মুহাম্মদ ইয়াহিয়া খানের নিকট ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ মার্চ ক্ষমতা হস্তান্তর করে রাজনীতি থেকে সড়ে দাঁড়ান। সঙ্গে সঙ্গে ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দের শাসনতন্ত্র ও জাতীয় পরিষদ বাতিল ঘোষিত হয়। একই সাথে দীর্ঘ দশ বছরের একনায়কতন্ত্রের অবসান ঘটে।

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ