• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
  • ভারতবর্ষে ইউরোপীয়দের আগমন : ইংরেজ আধিপত্য প্রতিষ্ঠা
ভারতবর্ষে ইউরোপীয়দের আগমন : ইংরেজ আধিপত্য প্রতিষ্ঠা

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

ভারতবর্ষে ইউরোপীয়দের আগমন : ইংরেজ আধিপত্য প্রতিষ্ঠা

ভারতবর্ষে আগত ইউরোপীয় কোম্পানিসমূহ

ভারতীয় উপমহাদেশের অতুল ঐশ্বর্যের কারণেই প্রাচীনকাল থেকে ভারতবর্ষের সাথে পাশ্চাত্য দেশগুলোর বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল। ক্রুসেডের (ধর্মযুদ্ধ) পর ভারত মহাসাগর ও লোহিত সাগরের উপর আরবগণ প্রাধান্য বিস্তার করতে থাকে এবং ভারতীয় বাণিজ্যে তাদের একচেটিয়া আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়। আরবদের নিকট থেকে জোনোয়া, ভেনিস, ফ্লোরেন্স প্রভৃতি নগরের ব্যবসায়ীগণ পণ্য ক্রয় করে ইউরোপের সর্বত্র বিক্রি করত। ১৪৫৩ খ্রিষ্টাব্দে তুরস্ক কনস্টান্টিনোপল অধিকার করে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার করলে পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে উপমহাদেশের ব্যবসায়-বাণিজ্যের পথ বন্ধ হয়ে যায়। সমগ্র ইউরোপ মহাদেশে ভারতীয় সামগ্রী বিশেষ করে মসলিন, মসলা, সোনা-রুপা, মৃৎশিল্পের চাহিদা ছিল আকাশ ছোঁয়া। এ অবস্থায় তারা নতুন পথের সন্ধান করতে থাকে। তাছাড়া ভারতবর্ষে আরবীয়দের একচেটিয়া প্রাধান্য খর্ব করাও ইউরোপীয়দের উদ্দেশ্য ছিল। অধিকন্তু রেনেসাঁর ফলে অজানাকে জানবার ইচ্ছায় নতুন পথের সন্ধান করতে ইউরোপীয়রা উদ্বুদ্ধ হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ভারতবর্ষে (জম্মুদ্বীপ) আসার জলপথ আবিষ্কারের লক্ষ্যে ১৪৮৭ খ্রিষ্টাব্দে প্রখ্যাত পর্তুগিজ নাবিক বার্থোলোমিউ দক্ষিণ আফ্রিকার উত্তমাশা অন্তরীপ আবিষ্কার করে সমুদ্রপথে প্রাচ্য দেশে আসার নতুন পথের সন্ধান দেন। স্পেনের রানি ইসাবেলার নির্দেশে ভারতের সাথে ব্যবসার জন্য বাণিজ্যিক পথ আবিষ্কার করতে গিয়ে ১৪৯৪ খ্রিষ্টাব্দে কলম্বাস আটলান্টিকের পথে আমেরিকা মহাদেশ আবিষ্কার করেন।

১৪৯৮ খ্রিষ্টাব্দে পর্তুগিজ নাবিক ভাস্কো-দা-গামা ইউরোপ থেকে ভারতবর্ষে সরাসরি আসার জলপথ আবিষ্কার করে যেমন ইতিহাস রচনা করলেন তেমনি ইউরোপীয়দের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করলেন। ভাস্কো-দা-গামা আরবীয় নাবিকদের সহায়তায় উত্তমাশা অন্তরীপ (দক্ষিণ এশিয়া) পরিভ্রমণ করে ভারতীয় উপমহাদেশের পশ্চিম উপকূলস্থ কালিকট বন্দরে উপস্থিত হন (২৭ মে, ১৪৯৮ খ্রিষ্টাব্দে)। তখন ভারতীয় উপমহাদেশে লোদী বংশের সিকান্দার লোদীর রাজত্বকাল (১৪৮৯-১৫১৭ খ্রি.) ছিল। তার দরবারে উপস্থিত হয়ে তিনি বাণিজ্য প্রার্থনা করেন। ভাস্কো-ডা-গামার আবিষ্কৃত পথ ধরেই ইউরোপীয় সামুদ্রিক জাতিগুলো ভারতবর্ষে আসতে থাকে। এভাবেই নতুন দিগন্তের দ্বার উন্মোচন করে দেন ভাস্কো-ডা-গামা। অবশ্য ১৫০২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি দ্বিতীয়বার বাণিজ্য জাহাজ নিয়ে কালিকট বন্দরে এসেছিলেন এবং সেখান থেকে কোচিনে গিয়ে পর্তুগিজ কুঠি নির্মাণ করেছিলেন। পর্তুগিজ তথা ইউরোপীয় জাতিগুলোর ভারতবর্ষে আসার ক্ষেত্রে ভাস্কো-দা-গামার অবদান অবিস্মরণীয় হয়ে আছে।

পূর্ববর্তী

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ