• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
  • ভারতবর্ষে ইউরোপীয়দের আগমন : ইংরেজ আধিপত্য প্রতিষ্ঠা
ভারতবর্ষে ইউরোপীয়দের আগমন : ইংরেজ আধিপত্য প্রতিষ্ঠা

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

ভারতবর্ষে ইউরোপীয়দের আগমন : ইংরেজ আধিপত্য প্রতিষ্ঠা

কর্ণাটকের দ্বিতীয় যুদ্ধ

প্রথম কর্ণাটক যুদ্ধের স্বাক্ষরিত শান্তি চুক্তির মধ্যে দ্বিতীয় কর্ণাট যুদ্ধের বীজ নিহিত ছিল। সুচতুর ডুপ্লে অনুধাবন করতে পেরেছিলেন যে, ফরাসিদের ক্ষমতা শুধু কর্ণাটের মধ্যে সীমাবদ্ধ। অন্যদিকে বঙ্গদেশ ও মুম্বাইয়ে ইংরেজদের শক্তিশালী ঘাঁটি রয়েছে। দাক্ষিণাত্যের রাজনৈতিক অরাজকতা এবং রাজন্যবর্গের অন্তর্দ্বন্দ্ব উচ্চাভিলাষী ডুপ্লেকে যুদ্ধে অংশ নিতে উৎসাহিত করে।

১৭৪৮ খ্রিষ্টাব্দে হায়দারাবাদের নিজাম-উল-মুলকের মৃত্যু হলে নিজাম পদের জন্য তার দ্বিতীয় পুত্র নাসির জং ও দৌহিত্র মোজাফফর জং-এর মধ্যে এবং কর্ণাটকের নবাব পদের জন্য আনোয়ার উদ্দীন ও চাঁদ সাহেবের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হয়। এই সুযোগে ডুপ্লে কর্ণাটকের চাঁদ সাহেব ও হায়দারাবাদের মুজাফফর জং-এর পক্ষ অবলম্বন করে। ফলে দ্বিতীয় কর্ণাটক যুদ্ধের বহ্নিশিখা প্রজ্বলিত হয়। অম্বরের যুদ্ধে আনোয়ার উদ্দীন নিহত হলে কর্ণাটক চাঁদ সাহেবের হস্তগত হয়। ফলে ফরাসিদের প্রভাব বেড়ে যায়।

কিন্তু পরবর্তীতে নাসির জং ও মোজাফফর জং-এর মৃত্যু হলে ঘটনা প্রবাহ নতুন মোড় নেয়। ক্লাইভ ১৭৯১ খ্রিষ্টাব্দে ফরাসিদের পরাজিত করে আরকট ও ত্রিচিনোপলী অধিকার করে মুহম্মদ আলীকে সিংহাসনে বসান। ইতোমধ্যে ফরাসি সরকারের সাথে ডুপ্লের মতবিরোধ হলে তাকে স্বদেশে ডেকে পাঠানো হয় (১৭৫৪ খ্রি.)। ফলে ইংরেজদের আধিপত্য বিস্তারে আর কোনো বাধা রইল না। ১৭৫৮ খ্রিষ্টাব্দে ডুপ্লের পরিবর্তে কাউন্ট লালী পণ্ডিচেরীর শাসনকর্তা হয়ে ভারতে আসেন।

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ