• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
  • ভারতবর্ষে ইউরোপীয়দের আগমন : ইংরেজ আধিপত্য প্রতিষ্ঠা
ভারতবর্ষে ইউরোপীয়দের আগমন : ইংরেজ আধিপত্য প্রতিষ্ঠা

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

ভারতবর্ষে ইউরোপীয়দের আগমন : ইংরেজ আধিপত্য প্রতিষ্ঠা

নবাব সুজাউদ্দিন খান (১৭২৭-১৭৩৯ খ্রি.)

মুর্শিদ কুলী খানের কোনো পুত্রসন্তান না থাকায় তার জামাতা সুজাউদ্দিন খান বাংলা ও উড়িষ্যার নবাব পদে অধিষ্ঠিত হন। তুর্কি বংশোদ্ভূত সুজাউদ্দিন একজন মোগল রাজকর্মচারী ছিলেন। মুর্শিদ কুলী খানের কন্যা জিনাত-উল-নিসার সাথে তাঁর বিবাহ হয়। তিনি নিজ ক্ষমতাকে সুদৃঢ় করার জন্য বিশ্বাসজনক অনুচরদের বিভিন্ন দায়িত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ করেন। আলীবর্দী খানকে তিনি পূর্ণিয়ার (বিহার) নায়েব নাজিম (সহকারী শাসনকর্তা) নিযুক্ত করেন। দিল্লির সম্রাট মুহম্মদ শাহকে তিনি প্রচুর অর্থ ও উপঢৌকন প্রেরণ করে সন্তুষ্ট করেন। যার বদৌলতে তিনি বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার সুবেদার পদ লাভকরেন। সম্রাট সুজাউদ্দিনকে "মুতাসন-উল-মুলক-সুজা-উদ-দৌলহ আসাদ জঙ্গ" উপাধিতে ভূষিত করেন। সুজাউদ্দিনের শাসনামলে শায়েস্তা খানের আমলের ন্যায় খাদ্যদ্রব্যের দাম খুব কম ছিল।

মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেবের শাসনামলে (১৬৫৬-১৭০৭ খ্রি.) শায়েস্তা খান বাংলার সুবাদার নিযুক্ত হন। ইতিহাস প্রসিদ্ধ তার সময় টাকায় আট মন চাউল পাওয়া যেত। এই ঘটনাকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য শায়েস্তা খান ঢাকা ত্যাগের পূর্বে দুর্গের পশ্চিম তোরণ বন্ধ করে সেখানে লিখেছেন, "ভবিষ্যতে যে সুবাদারের আমলে টাকায় আট মন চাউল পাওয়া যাবে তিনি ব্যতীত অন্য কেহ এই তোরণ উন্মোচন করবে না।" নবাব সুজাউদ্দিনের সময় টাকায় আট মন চাউল পাওয়া যায়। ফলে তিনি মহা ধুমধামে উক্ত তোরণ উন্মোচন করেছিলেন। তার সময় ডাচ, ফরাসি ও ইংরেজ কোম্পানিগুলো ঝাঁকিয়ে ব্যবসায় চালায়। তবে ইংরেজরা ফররুখ শিয়ার দস্তক ব্যাপকভাবে ব্যবহার করতে সক্ষম হয়নি।

অষ্টাদশ শতাব্দীর ভারতীয় ঐতিহাসিকরা তাঁর শাসনামলকে "বাংলার শাস্তি ও সমৃদ্ধির যুগ” বলে আখ্যায়িত করেছেন। ঐতিহাসিক গোলাম হোসেনের মতে, "সুজাউদ্দিন ছিলেন নিরপেক্ষ ও ন্যায় বিচার পরায়ণ শাসক।" তিনি ধনীদের প্রতি পক্ষপাত না করে ন্যায়বিচার করতেন। তিনি স্থাপত্যের অনুরাগী ছিলেন। তিনি মুর্শিদাবাদে দেওয়ান-ই-খাস হর্ম্য নির্মাণ করেন।

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ