- হোম
- একাডেমি
- সাধারণ
- একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
- ভারতবর্ষে ইউরোপীয়দের আগমন : ইংরেজ আধিপত্য প্রতিষ্ঠা
পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।
ভারতবর্ষে ইউরোপীয়দের আগমন : ইংরেজ আধিপত্য প্রতিষ্ঠা
ডুপ্লের চরিত্র ও কৃতিত্ব
ইউরোপ মহাদেশ থেকে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে আগত বণিক সম্প্রদায়ের মধ্যে ফরাসি প্রতিনিধি যোসেফ ডুপ্লে অসাধারণ ব্যক্তিত্ব ও কূটনৈতিক জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন। তিনি ১৭৩১ খ্রিষ্টাব্দে চন্দননগরের শাসনকর্তা নিযুক্ত হয়ে সর্বপ্রথম ভারতবর্ষে আগমন করেন। তার মেধা এবং দক্ষতার জন্যই ১৭৪১ খ্রিষ্টাব্দে তাকে পণ্ডিচেরীর গভর্নর নিযুক্ত করা হয়। ইউরোপীয় বণিকদের মধ্যে তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি ভারতীয় রাজন্যবর্গের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে এদেশে ফরাসি সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু ইংরেজরা তার স্বপ্ন ভঙ্গের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ইংরেজদের অনেক পরে এসেও তিনি নিজ মেধা ও কৌশল দিয়ে চন্দননগর, মাহে, কালিকট ও পণ্ডিচেরীতে শক্তিশালী ফরাসি বাণিজ্য কুঠি প্রতিষ্ঠা করেন। ইংরেজদের এদেশ থেকে বিতাড়িত করতে তিনি নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেন, যদিও শেষ পর্যন্ত তিনি ব্যর্থ হন।
তিনি প্রথম ও দ্বিতীয় কর্ণাটকের যুদ্ধে জয়লাভ করেছিলেন। তিনি ইংরেজদের প্রায় নাস্তানাবুদ করে ফেলেন। কিন্তু তার দুর্ভাগ্য স্বদেশ থেকে তিনি আশানুরূপ সাহায্য ও সহযোগিতা পাননি। পেলে হয়তো তিনি ইংরেজদের ভারত থেকে বিতাড়িত করতে পারতেন। তাহলে ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাস অন্যভাবে লিখতে হতো। সে যাইহোক, গুরুত্বপূর্ণ একটি মুহূর্তে ভুল বুঝে তাকে স্বদেশে ডেকে পাঠানো হয়। ডুপ্লের প্রস্থানের সাথে সাথে ভারতীয় উপমহাদেশে বিশেষ করে দাক্ষিণাত্যে ফরাসি প্রভাব বিনষ্ট হয় এবং ইংরেজগণ পরাক্রমশালী হয়ে ওঠে। পরবর্তীতে ফরাসি সরকার তার ভুল বুঝতে পেরে তার পদচ্যুতি প্রত্যাহার করলেও তখন আর সময় ছিল না। সুতরাং বলা যায়, ভারতবর্ষে ডুপ্লের ব্যর্থতার জন্য ফরাসি সরকারই দায়ী।
ঐতিহাসিক ম্যানসন ডুপ্লের কূটনৈতিক জ্ঞান, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এবং সাংগঠনিক শক্তির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনিই উপমহাদেশের সাম্রাজ্যবাদ নীতির প্রবক্তা। ইংরেজরা তাকে অনুসরণ করে সাম্রাজ্যবাদ নীতি গ্রহণ করে এবং উপমহাদেশে ইংরেজ সাম্রাজ্য কায়েম করে।
সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ

