- হোম
- একাডেমি
- সাধারণ
- একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
- ভারতবর্ষে ইউরোপীয়দের আগমন : ইংরেজ আধিপত্য প্রতিষ্ঠা
পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।
ভারতবর্ষে ইউরোপীয়দের আগমন : ইংরেজ আধিপত্য প্রতিষ্ঠা
ওলন্দাজদের আগমন
ইউরোপের বণিক জাতিগুলোর মধ্যে পর্তুগিজদের পরেই হল্যান্ডের (নেদারল্যান্ড) অধিবাসী ওলন্দাজদের (ডাচ) ভারতবর্ষে আগমন ঘটে। তারা ভারতবর্ষে বাণিজ্য উপলক্ষ্যে ১৬০২ খ্রিষ্টাব্দে ইউনাইটেড ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি (United East India Company) গঠন করে। কোম্পানির সনদ অনুযায়ী যুদ্ধবিগ্রহে যোগদান, সন্ধি স্থাপন, দুর্গ নির্মাণ প্রভৃতি অধিকার লাভকরে।
১৬৪১ খ্রিষ্টাব্দে তারা পর্তুগিজদের নিকট থেকে মালাক্কা অধিকার করে এবং ১৬৫৮ খ্রিষ্টাব্দে পর্তুগিজদের সিংহল থেকে বিতাড়িত করে। এ বিজয়ের ফলে দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার দ্বীপগুলোর ওপর ওলন্দাজদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। ভারতে তাদের প্রধান ঘাঁটি ছিল মাদ্রাজ উপকূলে নাগাপট্টম এবং বাংলায় প্রধান ঘাঁটি ছিল চুঁচুড়ায়। ঢাকায় তারা কুঠি স্থাপন করেছিল ১৬৬৩ খ্রিষ্টাব্দে বর্তমান মিটফোর্ট হাসপাতালের কাছে। তেজগাঁওয়ে তাদের একটি বাগানবাড়ি ছিল। ঐতিহাসিক টেলর উল্লেখ করেছেন, "১৭৮৩ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকায় ৩২টি ওলন্দাজ পরিবার ছিল। পিটারসন কোয়েনই ছিলেন ভারতবর্ষে ওলন্দাজ শক্তির প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা।"
ওলন্দাজদের পতন: স্পেনীয়দের সাথে দ্বন্দ্ব ওলন্দাজদের পতনের প্রধান কারণ। তাছাড়া ওলন্দাজগণ ভারতবর্ষ অপেক্ষা মালয় দ্বীপপুঞ্জে আধিপত্য বিস্তারে বেশি মনোযোগী হন। এ সুযোগে ইংরেজগণ ভারতবর্ষে তাদের আধিপত্য বিস্তার করতে থাকলে ওলন্দাজরা টিকে থাকতে না পেরে ইংরেজদের নিকট সহায়-সম্পত্তি বিক্রি করে স্বদেশে ফিরে যায় (এম. হাসান দানীর 'ঢাকা' বইতে উল্লেখ করেছেন, নারিন্দায় খ্রিষ্টান কবরস্থানে ১৭৭৫ খ্রিষ্টাব্দের কুঠি প্রধান ডি ল্যাংহিটের কবরটিই এখন ঢাকায় ওলন্দাজদের একমাত্র স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে টিকে আছে)।
সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ

