• হোম
  • স্কুল ১-১২
  • সাধারণ
  • অষ্টম শ্রেণি

প্রবন্ধ রচনা

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

প্রবন্ধ রচনা

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর

ভূমিকা: বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় জাতীয় ইতিহাস ও অনন্য ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতিস্মারক ও দলিলপত্রের অন্যতম সংগ্রহশালা 'মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর'। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সম্পূর্ণ বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই জাদুঘরে বাঙালির জাতীয় জীবনের গৌরব-সংগ্রাম, আত্মত্যাগ, ভাবাবেগ, আকাঙ্ক্ষা সন্তুষ্টির বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। এটি মুক্তিযুদ্ধের জীবন্ত ইতিহাসকে ধারণ করে আছে।

জাদুঘরের প্রতিষ্ঠা: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৬ সালের ২২ মার্চ। আটজন ট্রাস্টির গভীর আন্তরিকতায় ৫. সেগুনবাগিচা, ঢাকায় এটি গড়ে তোলা হয়। প্রতিষ্ঠার একুশ বছর পর ২০১৭ সালের ১৬ এপ্রিল এই জাদুঘর আগারগাঁও, ঢাকার নিজস্ব নয়তলা ভবনে স্থানান্তরিত হয়। 'মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি ট্রাস্ট' কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত।

উদ্দেশ্য: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রথম উদ্দেশ্য হচ্ছে- ইতিহাসের স্মারক সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা এবং সেগুলো যথাযথভাবে উপস্থাপন করা। এ জাদুঘরের বিশেষ লক্ষ্য হচ্ছে- নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতার সংগ্রম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে সচেতন করে তোলা। এতে তারা মাতৃভূমির জন্য গর্ব অনুভব করবে, দেশাত্মবোধে উদ্দীপ্ত হবে এবং উদার, অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী হয়ে উঠবে।

জাদুঘরের অবকাঠামো: দৃষ্টিনন্দন ও অনন্য স্থাপত্যশৈলীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরটি প্রায় আড়াই বিঘা জমির উপর নির্মিত হয়েছে। জাদুঘরের তিনটি বেইসমেন্ট ও পাঁচটি ফ্লোর রয়েছে। ভূগর্ভস্থ (বেইসমেন্ট) তিনটি তলায় রয়েছে কার পার্কি, আর্কাইভ, ল্যাবরেটরি, প্রদর্শনশালা ইত্যাদি। নিচতলায় জাদুঘর কার্যালয় ও মিলনায়তন। প্রথম তলায় রয়েছে 'শিখা অম্লান', জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার ব্রোঞ্জের মূরাল, মুক্তমঞ্চ, ক্যানটিন, স্মারক বিক্রয়কেন্দ্র, টিকিট কাউন্টার। এখানে একটি হেলিকপ্টার ও একটি বিমান ও রয়েছে ছাদের সঙ্গে আটকানো, যা মুক্তিযুদ্ধের স্মারক। দ্বিতীয় তলায় গবেষণাকেন্দ্র ও পাঠাগার। তৃতীয় ও চতুর্থতলায় চারটি মূল প্রদর্শনকক্ষ। পঞ্চম তলায় আন্তর্জাতিক প্রদর্শনকক্ষ। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের নানা বিষয় জানাতে জাদুঘরে রয়েছে ইন্টার অ্যাকটিভ স্পেস ও ওপেন এয়ার থিয়েটার। এছাড়া রয়েছে তিনটি সেমিনার কক্ষ ও ২৫০ আসনের একটি অডিটোরিয়াম। তাতে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধাভিত্তিক নাটক, চলচ্চিত্র, প্রামাণ্যচিত্র ও অন্যান্য পারফার্মিং আর্ট প্রদর্শনের ব্যবস্থা।

জাদুঘরের কার্যক্রম: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাদেরকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে জাদুঘরে নানা স্মারক ও নিদর্শন রয়েছে। এখানে আছে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার দুর্লভ আলোকচিত্র, চিঠিপত্র, ভিডিও চিত্র, দলিল, স্মৃতিচিহ্ন ইত্যাদি। এগুলো দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রতিটি গ্যালারি সাজানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এখানে প্রায় ২৫ হাজার নিদর্শন স্থান পেয়েছে। এখানে অডিও-ভিডিও ভিজুয়ালের মাধ্যমে, মুক্তিযুদ্ধের নানা নিদর্শন তুলে ধরা হয়।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের গ্যালারি:

"গ্যালারি ১. এক নম্বর গ্যালারি লিফটের ৩-এ অবস্থিত। এর নাম 'আমাদের ঐতিহ্য, আমাদের সংগ্রাম।' এতে প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, পাকিস্তান পর্ব, রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত দেশের ভূপ্রকৃতির বৈশিষ্ট্য, ইতিহাস ও সংস্কৃতির পরিচয় রয়েছে। প্রাচীন বাংলার মানচিত্র, ফসিল, পোড়া মাটির শিল্প, টেরাকোটা, শিলাখন্ড ও বিভিন্ন ছবিসহ ঐতিহাসিক ঘটনা এবং ব্যক্তির আলোকচিত্রে এ গ্যালারি সমৃদ্ধ।

গ্যালারি ২. দ্বিতীয় গ্যালারির নাম 'আমাদের অধিকার, আমাদের ত্যাগ।' এ গ্যালারির প্রবেশ পথে রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশাল আকৃতির আলোকচিত্র। এটি ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের আলোকচিত্র। এর পাশেই পর্দায় ৭মার্চের ভাষণের ভিডিওচিত্র দেখানো হয়। আর এর সামনেই ছোট কাঁচের বাক্সে রাখা হয়েছে ওই দিনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ও ভাষণের রেকর্ড। স্বাধীনতার দাবীতে রেসকোর্স ময়দানে অগণিত মানুষের বিশাল 'সমাবেশের' একটি সাদাকালো ছবি। এ ছবিটি তুলেছিলেন শুকুর মিয়া। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে বীর বাঙালি হাতের কাছে যে যা পেয়েছেন তাই নিয়েই প্রতিরোধ যুদ্ধে নেমেছিলেন। গাজীপুর পয়েন্টে মুক্তিযোদ্ধারা টু টু কোরের রাইফেল নিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধে নেমেছিলেন। সেই রাইফেল, গুলির বাক্সসহ সেদিনের শহিদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহৃত বিভিন্ন সামগ্রী এখানে সংরক্ষিত আছে। এরপর কালো টানেলের পুরোটা জুড়ে রয়েছে ২৫শে মার্চ কালো রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরোচিত "হামলা ও গণহত্যার করুণ ও নির্মম দৃশ্য। এরপর রয়েছে মেহেরপুরের বৈদন্যনাথ তলায় প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার গঠনের নানা দৃশ্য। এছাড়া এখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা, ৪ এপ্রিল কুষ্টিয়ার যুদ্ধ এবং সারাদেশের গণহত্যার নিদর্শন স্থান পেয়েছে।

গ্যালারি ৩. তৃতীয় গ্যালারির নাম 'আমাদের যুদ্ধ, আমাদের চিত্র।' এখানে রয়েছে ভারতে আশ্রয় নেয়া শরনার্থীদের আশ্রয় গ্রহণ ও জীবনযাত্রা, বিদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের বড় আকারের ডিজিটাল প্রিন্ট, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ, বিভিন্ন সেক্টরে ভাগ হওয়া, মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা যুদ্ধ, রাজাকারদের তৎপরতার নানা চিত্র ও নিদর্শন। এর পাশাপাশি আছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে দেশে-বিদেশে যারা বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছেন, জনমত সৃষ্টি করেছেন সেসব চিত্র। পণ্ডিত রবিশঙ্করের উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত কনসার্ট ফর বাংলাদেশ, যাতে বিখ্যাত শিল্পী জর্জ হ্যারিসনের গাওয়া 'বাংলাদেশ বাংলাদেশ...' গানের জর্জের হাতে লেখা পান্ডুলিপি ও সুরের স্টাফ নোটেশন।

গ্যালারি ৪. চতুর্থ গ্যালারির নাম 'আমাদের জয়, আমাদের মূল্যবোধ।' এখানে মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয় পর্যন্ত নানা নিদর্শন দেখানো হয়েছে। এতে নৌযুদ্ধের বিভিন্ন নিদর্শন বিদ্যমান। এখানে বিলোনিয়া যুদ্ধের রেল স্টেশনের রেলিং, ট্রলি ইত্যাদি রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের বিলোনিয়া যুদ্ধের ভিন্নধর্মী, রণকৌশল 'স্যান্ড মডেল' একটি কাঁচের টেবিলে সাজানো রয়েছে। এ গ্যালারির একটি অংশে তুলে ধরা হয়েছে বাংলার নারীদের উপর পাকিস্তানি হায়েনাদের বর্বরতা ও নির্যাতনের চিত্র। বাঙালির প্রতিরোধ, সম্মুখ যুদ্ধ, যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ, গণমানুষের দুরবস্থা, যৌথবাহিনীর অভিযান, মিত্রবাহিনীর ছত্রীসেনাদের অবতরণ ও আক্রমণ, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিজয়, দন্দ্ব গ্রাম-বাড়িঘর, বুদ্ধিজীবীদের হত্যাযজ্ঞের আলোকচিত্র, পাকিস্তানি দখলদারদের নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ, বিজয় অর্জন। এ বিষয়গুলোর উপস্থাপন শেষ হয়েছে ১৯৭২ সালের স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানের অনুলিপি দিয়ে। প্রভাবে মুক্তিযুদ্ধের বাছাই করা নিদর্শনগুলো গ্যালারিতে প্রদর্শন করা হয়েছে, যাতে মুক্তিযুদ্ধের পুরো ঘটনা দর্শনার্থীরা অনুধাবন করতে পারেন। বাকিগুলো সংরক্ষিত আছে আর্কাইভে। মুক্তিযুদ্ধ জাদু ঘরে মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যা বিষয়ে একটি গবেষণাকেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে।

পরিদর্শনের সময়সূচি: সপ্তাহের প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর খোলা থাকে। গ্রীষ্মকালীন সময়-সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। রবিবার বন্ধ। জাদুঘরের প্রবেশ মূল্য ২০ টাকা। তবে পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুরা বিনামূল্যে জাদুঘরে প্রবেশ করতে পারে।

অন্যান্য কার্যক্রম: নতুন প্রজন্মের মনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগিয়ে রাখতে এবং যুদ্ধের ইতিহাসের সঙ্গে তদের পরিচয় করিয়ে দিতে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর কিছু কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

আউটরিচ কর্মসূচি: ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় শিক্ষার্থীদের পরিবহন যোগে জাদুঘর পরিদর্শনে নিয়ে আসা হয়। তারা বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাস শিরোনামে একটি তথ্যচিত্র দেখে, গ্যালারি পরিদর্শন করে, কুইজ পরীক্ষায় অংশ নেয় এবং সবশেষে আলোচনায় মিলিত হয়। আউটরিচ কর্মসূচি যাত্রা সূচিত হয় ১৯৯৭ সালে।

ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর: একটি বৃহৎ আকারের বাসের অভ্যন্তরে প্রদর্শনী সাজিয়ে একে পরিণত করা হয়েছে খুদে জাদুঘরে। ২০০১ সাল থেকে ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর বাসটি বিভিন্ন জেলায় এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন উপজেলায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রদর্শনীর আয়োজন করে থাকে। ২০০৩ সাল থেকে বিশেষভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। 'স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার, শান্তি ও সম্প্রীতির শিক্ষা' কর্মসূচির আওতায় এ জাদুঘরটি শিক্ষার্থীদের কাছে বিশেষ উপস্থাপনা করে থাকে। সেই সাথে শিক্ষার্থীদের পরিবার-পরিজন ও প্রতিবেশীদের মধ্য থেকে যাঁরা একাত্তরের দিনগুলো প্রত্যক্ষ করেছেন তাদের কোনো একজনের অভিজ্ঞতার বিবরণী শুনে তা নিজ ভাষায় লিখে জাদুঘরে প্রেরণ করতে উদ্বুদ্ধ করা হয়। এ পর্যন্ত প্রায় ১৬,০০০ এরও বেশি প্রত্যক্ষদর্শী ভাষ্য সংগৃহিত হয়েছে ও তা আর্কাইভে সংরক্ষিত হচ্ছে।

মুক্তির উৎসব: আউটরিচ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী ঢাকা নগরীর শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতিবছর 'মুক্তির উৎসব' আয়োজন করা হয়। এতে বিশিষ্টজনেরা যোগ দেন এবং নিবেদিত হয় চিত্তাকর্ষক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। র‍্যাফেল ড্র ও পুরস্কার বিতরণীর মাধ্যমে দিনভর অনুষ্ঠান শেষ হয়।

মুক্তি ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রামাণ্যচিত্র উৎসব: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ২০০৬ সাল থেকে প্রতিবছর সপ্তাহব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রামাণ্যচিত্র উৎসব আয়োজন করে আসছে। যুদ্ধ, গণহত্যা, মানবাধিকার, শান্তি ও সম্প্রীতি বিষয়ক তথ্যচিত্র এতে প্রদর্শিত হয়। এছাড়া প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়ে থাকে। এসব কর্মসূচি ছাড়া ও জল্লাদখানা বধ্যভূমি স্মৃতিপীঠ, গণহত্যা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন, শান্তি ও সহনশীলতা বিষয়ক এশীয় তরুণদের ক্যাম্প, স্বেচ্ছাকর্মী কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এখানে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসগুলোও যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হয়।

উপসংহার: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক দেশের প্রথম জাদুঘর। মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক দেশপ্রেমের চেতনা ও বাঙালি জাতীয়তাবাদের চেতনা এ জাদুঘরের মাধ্যমে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে সঞ্চারিত হবে। সময়ের নিরন্তর প্রবাহে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আরও বিস্তৃত হবে। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহংকার, এর চেতনা ও গৌরব কোনোদিন ম্লান হবে না। নতুন প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গৌরব জাগিয়ে রাখার, কাজ করে যাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।