• হোম
  • স্কুল ১-১২
  • সাধারণ
  • অষ্টম শ্রেণি

প্রবন্ধ রচনা

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

প্রবন্ধ রচনা

আমাদের জাতীয় পতাকা

ভূমিকা: জাতীয় পতাকা একটি দেশের স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের প্রতীক। তাই প্রতিটি স্বাধীন দেশের জাতীয় পতাকা রয়েছে। আর জনগণ জাতীয় পতাকাকে সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শন করে থাকে।

জাতীয় পতাকার আকৃতি: বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায় রয়েছে ঘন সবুজ রঙের মাঝখানে লাল রঙের বৃত্ত। জাতীয় পতাকার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত হলো ১০: ৬। এক্ষেত্রে এর দৈর্ঘ্য যদি ১০ ফুট হয়, তাহলে প্রস্থ হবে ৬ ফুট। আর লাল বৃত্তটির ব্যাসার্ধ পতাকার দৈর্ঘের পাঁচ ভাগের এক ভাগের সমান হবে। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার পরিকল্পনা করেছেন দেশবরেণ্য শিল্পী কামরুল হাসান।

জাতীয় পতাকার বিশেষত্ব: আমাদের জাতীয় পতাকার সবুজ রঙটির মধ্য দিয়ে এদেশের সবুজ প্রকৃতিকে প্রকাশিত করা হয়েছে। আর লাল রঙের বৃত্তটির মাধ্যমে নবজাগরণের কথা পরিব্যক্ত হয়েছে। সুতরাং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীকী রূপ মিলেমিশে আছে এ পতাকায়।

জাতীয় পতাকার গুরুত্ব: জাতীয় পতাকার মধ্য দিয়ে আমাদের হিংসা-বিদ্বেষ দূরীভূত করে। তাই আমরা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এই পতাকার নিচে একত্র হই। মহান মুক্তিযুদ্ধে আমরা ধর্ম-বর্ণ-গোত্র ভেদে একত্র হয়ে যুদ্ধ করে স্বাধীন বাংলাদেশ নামক একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি। সুতরাং আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্যের স্মারক হলো এই পতাকা।

জাতীয় পতাকার সম্মান জাতীয় পতাকা হলো আমাদের বাঙালি ও রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্বের প্রতীক এ পতাকা। তাই আমাদের উচিত এই পতাকাকে সম্মান করা। আমাদের জাতীয়তাবোধকে আরও গভীরতর করার জন্য প্রতিটি বিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। তারপর একে স্যালুট জানিয়ে সম্মান প্রদর্শন করা হয়ে থাকে। যখন কোনো অনুষ্ঠান হয় তখন জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং সকলে বসে থাকলে, উঠে দাঁড়িয়ে একে সম্মান প্রদর্শন করেন। যদি কোনো ব্যক্তি এই পতাকার অসম্মান করে, তাহলে তাকে দেশদ্রোহী বলে শনাক্ত করতে হবে এবং আইন অনুযায়ী শাস্তি দিতে হবে।

উপসংহার: জাতীয় পতাকা আমাদের অতি প্রিয়, আমরা একে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করি। কারণ, আমাদের স্বাধীন ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক হলো আমাদের জাতীয় পতাকা।