• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি

সরকার কাঠামো ও সরকারের অঙ্গসমূহ

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

সরকার কাঠামো ও সরকারের অঙ্গসমূহ

গণতন্ত্রের প্রকারভেদ (Types of Democracy)

গণতন্ত্রকে দু'ভাগে ভাগ করা হয়। যথা:

১. প্রত্যক্ষ (Direct Democracy) ও

২. পরোক্ষ বা প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র (Indirect or Representative Democracy) i

প্রত্যক্ষ গণতন্ত্রে নাগরিকগণ রাষ্ট্রীয় কার্যাবলিতে সরাসরি বা প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করে থাকে। প্রাচীন গ্রিসের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নগররাষ্ট্রগুলোতে প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র প্রচলিত ছিল। কিন্তু আধুনিক রাষ্ট্র আয়তনে যেমন বিশাল, জনসংখ্যাও তেমনি বিপুল। সুতরাং প্রাচীন গ্রিসের নগররাষ্ট্র ভিত্তিক প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র বর্তমানে অচল।

আধুনিক গণতন্ত্র হচ্ছে প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র। আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোতে জনগণের ভোটে সরকার গঠিত হয়। অর্থাৎ নাগরিকগণ পরোক্ষভাবে প্রতিনিধি প্রেরণ করে রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ড বা শাসনকার্যে অংশগ্রহণ করে থাকে।

পরোক্ষ গণতন্ত্রে প্রত্যক্ষ গণতান্ত্রিক পদ্ধতি (Methods of Direct Democracy in Indirect

Democracy) আধুনিক গণতন্ত্র হচ্ছে প্রতিনিধিত্বমূলক শাসন ব্যবস্থা। নির্বাচিত গণপ্রতিনিধি ও সরকার যেন সবসময়ই জনগণের নিকট জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকে এজন্য পরোক্ষ বা প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রেও প্রত্যক্ষ গণতান্ত্রিক পদ্ধতি কার্যকর হতে দেখা যায়।

এ পদ্ধতিগুলো হচ্ছে- (১) গণনির্দেশ, (২) গণউদ্যোগ, (৩) পদচ্যুতি এবং (৪) গণভোট

১. গণনির্দেশ (Referendum): গণনির্দেশ প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রে অন্যতম প্রত্যক্ষ গণতান্ত্রিক পদ্ধতি। সাংবিধানিক আইন বা সাধরণ আইন সংক্রান্ত কোনো পরিবর্তন বা সংশোধনের জন্য জনমত গ্রহণের প্রয়োজন দেখা দিতে পারে। একে বলা হয় গণনির্দেশ। সুইজারল্যান্ডের সংবিধানের কোনো আইন পরিবর্তন বা সংশোধনের জন্য গণনির্দেশ অবশ্যই গ্রহণ করতে হয়। এছাড়া সুইডেন, ফ্রান্স, ইতালি, বেলজিয়াম প্রভৃতি দেশে গণ-নির্দেশের ব্যবস্থা প্রচলিত রয়েছে।

২. গণউদ্যোগ (Initiative): আইন প্রণয়ন বা আইন সংশোধনের ক্ষেত্রে জনসাধারণ যে উদ্যোগ গ্রহণ করে তাকে গণউদ্যোগ বলে। আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলে উনিশটি অঙ্গরাজ্যে এবং সুইজারল্যান্ডে এ ব্যবস্থার প্রচলন দেখা যায়।

৩. পদচ্যুতি (Recall): মেয়াদ উত্তীর্ণ হবার পূর্বে জনপ্রতিনিধিকে আস্থাভঙ্গ কিংবা গণবিরোধী কাজে লিপ্ত হওয়ার জন্য অভিযুক্ত করার মাধ্যমে অপসারণ করার পদ্ধতিকে পদচ্যুতি বলে। দক্ষিণ আমেরিকার কয়েকটি রাষ্ট্রে পদচ্যুতির নিয়মপ্রচলিত রয়েছে।

৪. গণভোট (Plebiscite): সাধারণত সংবিধান সংক্রান্ত বিষয়ে জনমত যাচাইয়ের জন্য যখন ভোট গ্রহণ হয় তখন তাকে জনমত নির্ধারণ বা 'গণভোট' বলা হয়ে থাকে। ভারত বিভক্তির প্রাক্কালে ১৯৪৭ সালে আসামের সিলেট ও উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ পাকিস্তান রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত হবে কিনা সেজন্য গণভোট হয়েছিল। বাংলাদেশে ১৯৭৭ সালের ৩০ মে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান 'গণভোট' করেন। এর উদ্দেশ্য ছিল তার প্রতি জনগণের আস্থা আছে কিনা তা যাচাই করা। বাংলাদেশ সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনী আইনে রাষ্ট্রপতি সম্মতি দিবেন কিনা এ জন্য ১৯৯১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর 'গণভোট' অনুষ্ঠিত হয়। 

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ