• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
সরকার কাঠামো ও সরকারের অঙ্গসমূহ

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

সরকার কাঠামো ও সরকারের অঙ্গসমূহ

সংসদীয় বা মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকারের গুণাবলি (Merits of Cabinet Form of Government)

সংসদীয় বা মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকার ব্যবস্থা অপর যেকোনো সরকার ব্যবস্থা থেকে উত্তম। এ কারণে দেশ-কাল-পরিবেশ ও ক্ষেত্রবিশেষ বিভিন্ন সরকার ব্যবস্থার তুলনায় এ সরকার ব্যবস্থা নিঃসন্দেহে সমর্থনযোগ্য। নিম্নে এ সরকারের গুণাবলি তুলে ধরা হলো:

১. নমনীয়তা: সংসদীয় সরকার নমনীয় প্রকৃতির হয়। কেননা প্রয়োজনবোধে যেকোনো সময়ে সাধারণ নির্বাচন ছাড়াও মন্ত্রিসভার পরিবর্তন করা যায়। তাছাড়া এ সরকার সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় আইন ও সংবিধান পরিবর্তন করতে পারে।

২. সুষ্ঠু শাসন প্রতিষ্ঠা: শাসন বিভাগ ও আইন বিভাগের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা থাকায় এ সরকার ব্যবস্থা সুষ্ঠু শাসন প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হয়। ফলে জনকল্যাণ সাধন করা সহজ হয়। প্র

৩. যৌথ নেতৃত্ব: প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভায় যৌথ নেতৃত্বের ধারণা জন্য আইনসভার নিকট দায়ী থাকে। বিকশিত হয়। মন্ত্রিসভা যৌথভাবে তাদের কাজের

৪. দ্রুত আইন প্রণয়ন সংসদীয় বা মন্ত্রিপরিষদ শাসিত শাসনব্যবস্থায় মন্ত্রিসভার সদস্যগণকে আইনসভার সদস্য হতে হয়। প্রধানমন্ত্রী শুধু মন্ত্রিসভার নেতা নন আইনসভারও নেতা। ফলে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভা অতি সহজে দ্রুত আইন প্রণয়ন করতে সক্ষম হয়।

৫. শাসন বিভাগ ও আইন বিভাগের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক; সংসদীয় বা মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকারে শাসন বিভাগ ও আইন বিভাগের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় থাকে। কেননা মন্ত্রিপরিষদের সদস্যগণ সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের সদস্য। এ কারণে মন্ত্রিসভা অতি সহজে আইন পরিষদে আইন পাশ করতে পারে।

৬. দায়িত্বশীলতা ও জবাবদিহিতা সংসদীয় বা মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকার ব্যবস্থা দায়িত্বশীল ও জবাবদিহিমূলক শাসনব্যবস্থা। এ কারণে শাসন বিভাগকে তাদের স্থায়িত্ব এবং কার্যকালের জন্য আইনসভার নিকট দায়ী থাকতে হয়। আইনসভার আস্থা হারালে মন্ত্রিসভাকে পদত্যাগ করতে হয়। এজন্য সংসদীয় সরকারকে দায়িত্বশীল সরকারও বলা হয়ে থাকে।

৭. বিরোধী দলের মর্যাদা: মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকারে বিরোধীদলকে 'বিকল্প সরকার' বিবেচনা করে বিশেষ মর্যাদা প্রদান করা হয়। ফলে বিরোধীদলও গঠনমূলক আলোচনা, সমালোচনা দ্বারা সরকারের ত্রুটি-বিচ্যুতিসমূহ তুলে ধরে।

৮. নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্র বজায় রাখা যায় সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্র বহাল রাখা যায়। গ্রেট ব্রিটেন ও জাপানসহ অনেক রাষ্ট্রে এটা সম্ভব হয়েছে। ফলে জনমতের গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়।

৯. নাগিরক সচেতনতা বৃদ্ধি করে সংসদীয় শাসনব্যবস্থায় জনগণ গভীর আগ্রহের সাথে আইনসভার অধিবেশনের খবরাখবর বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে পড়েন, শুনেন ও দেখেন। ফলে জনগণ নিজেদেরকে দায়িত্বশীল ও সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ পায়।

১০. স্বৈরাচার বিরোধী সংসদীয় সরকার ব্যবস্থায় গৃহীত নীতি, সিদ্ধান্ত ও কাজের জন্য শাসন বিভাগকে আইন বিভাগের নিকট দায়ী থাকতে হয়। ফলে শাসন বিভাগ স্বৈরাচারী হতে পারে না।

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ