• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
ব্রিটিশ ভারতে প্রতিনিধিত্বশীল

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

ব্রিটিশ ভারতে প্রতিনিধিত্বশীল

ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ শাসন

১৭৫৭ সালের পলাশির যুদ্ধে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ-দৌলাকে পরাজিত করে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এ উপমহাদেশে ব্রিটিশ শাসনের গোড়াপত্তন করে। এর পর কোম্পানির কুশাসন ও শোষণের ফলে ভারতবর্ষের জনগণের মনে চরম অসন্তোষ দানা বেঁধে ওঠে। এ গণ-অসন্তোষ প্রশমনের উদ্দেশ্যে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ১৭৭৩ সালে এ উপমহাদেশের জন্য প্রথমবারের মতো আইন-প্রণয়নের দায়িত্ব গ্রহণ করে। ১৭৭৩ সালে 'রেগুলেটিং অ্যাক্ট' (Regulating Act, 1773) cvk করে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ভারতবর্ষে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন নিয়ন্ত্রণ করে। এ আইনের মাধ্যমে কেন্দ্রে গভর্নর জেনারেল এবং প্রদেশে প্রাদেশিক গভর্নরের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৭৮৪ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট 'পিটে'র ইন্ডিয়ান অ্যাক্ট' (Pitt's Indian Act. 1784) cvk করে। এ আইন বলে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ও রাজপ্রতিনিধিসহ ৬ জন সদস্য নিয়ে 'নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (Board of Control) নামে একটি সংস্থা গঠিত হয়। ১৮৫৭ সাল পর্যন্ত এ সংস্থা দ্বারা ভারতবর্ষ শাসিত হয়। ১৮৫৭ সালে সিপাহি বিদ্রোহের পর ভারতবর্ষে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে। ১৮৫৮ সালের ১ নভেম্বর ব্রিটেনের রানি ভিক্টোরিয়া এক রাজকীয় ঘোষণার দ্বারা ভারতবর্ষের রাজনৈতিক ক্ষমতা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছ থেকে নিজ হাতে গ্রহণ করেন।

এ সময় হতে ভারত সচিবের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার ভারতবর্ষে সরাসরি শাসন কার্য শুরু করে। অতঃপর ভারতবর্ষের জনগণকে শাসন করার জন্য ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বিভিন্ন ধরনের শাসনতান্ত্রিক আইন প্রণয়ন করা হয়।

পূর্ববর্তী

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ