• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
ব্রিটিশ ভারতে প্রতিনিধিত্বশীল

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

ব্রিটিশ ভারতে প্রতিনিধিত্বশীল

ভারত শাসন আইন, ১৯১৯

১৯১৯ সালের ভারত শাসন আইন ব্রিটিশ ভারতের সাংবিধানিক বিকাশে এক গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। এ আইন বলে ব্রিটিশ সরকার ভারতে দায়িত্বশীল শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তনের পথে প্রথম পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ১৯১৯ সালের এ আইন প্রণয়নের পেছনে তৎকালীন ভারত সচিব ই.এস. মন্টেও এবং গভর্নর জেনারেল চেমস ফোর্ডের বড় ভূমিকা ছিল। এ কারণে তাদের নামানুসারে এ আইনকে মন্টেণ্ড-চেমসফোর্ড সংস্কার আইনও (Montagu-Chelmsford Reform Act) বলা হয়।

১৯০৯ সালের মর্লে-মিন্টো সংস্কার আইন ভারতীয়দের আশা-আকাঙ্ক্ষা মেটাতে সক্ষম হয়নি। এ অবস্থায় ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে ব্রিটিশ সরকার ভারতীয়দের সাহায্য-সহযোগিতা কামনা করে। ভারতীয় জনগণও স্বায়ত্তশাসনের আশায় ব্রিটিশ সরকারকে সাহায্য ও সহযোগিতা করতে থাকে। এদিকে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের মধ্যে ১৯১৬ সালে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যা 'লক্ষ্ণৌ চুক্তি' (Lucknow Pact) নামে পরিচিত। এ সময় তারা ঐক্যবদ্ধভাবে ভারতের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসনের দাবি উত্থাপন করে। এ অবস্থার প্রেক্ষিতে ১৯১৭ সালের আগস্ট মাসে তৎকালীন ভারত সচিব মন্টেগু ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ কমন্স সভায় ঘোষণা করেন যে, "ব্রিটিশ রাজকীয় সরকারের সাথে ভারতীয় সরকারের পূর্ণ সমঝোতা হয়েছে, যার প্রধান উদ্দেশ্য হলো শাসন বিভাগের প্রতিটি শাখায় ভারতীয়দের অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসমূহের ক্রমোন্নতি সাধন করা, যেন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে ভারতে প্রগতিশীল ও দায়িত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।"

এ ঘোষণার বাস্তব রূপদানের জন্য ভারতের সচিব ই.এস, মন্টেগু ভারতবর্ষে আসেন এবং গভর্নর জেনারেল চেমসফোর্ডের সঙ্গে ভবিষ্যৎ সাংবিধানিক রূপরেখা সম্পর্কে আলোচনা করেন। ১৯১৮ সালে তাদের গৃহীত "ভারতের সাংবিধানিক সংস্কার বিষয়ক প্রতিবেদন" (Report on the Indian Constitutional Reforms) 'ভারত শাসন আইন' বিল আকারে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে পেশ করা হলে ১৯১৯ সালে তা পাশ হয়। এ আইনকে ১৯১৯ সালের ভারত শাসন আইন বলে অভিহিত করা হয়।

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ