• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
ব্রিটিশ ভারতে প্রতিনিধিত্বশীল

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

ব্রিটিশ ভারতে প্রতিনিধিত্বশীল

অসহযোগ আন্দোলন

খিলাফত আন্দোলনের পাশাপাশি ভারতীয় মুসলমানগণ স্বাধীনতার জন্যও সংগঠিত হতে থাকেন। মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস উপমহাদেশে স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকে। তিনি মুসলমানদের খিলাফত আন্দোলনের প্রতিও সমর্থন ও সহযোগিতা প্রদান করেন।

ব্রিটিশ সরকার কুখ্যাত 'রাউলাট আইন' পাশ করলে ভারতীয় জনগণ বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। ১৯১৯ সালের ১৩ এপ্রিল এ আইনের প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত পাঞ্জাবের জালিয়ানওয়ালাবাগের শান্তিপূর্ণ সভায় ব্রিটিশ সরকার গুলি চালালে অসংখ্য মানুষ হতাহত হয়। এর প্রতিবাদে কংগ্রেস নেতা মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়। গান্ধীজী হিংসাত্মক পথ বর্জন এবং সত্যাগ্রহ নীতিকে সামনে রেখে অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করেন। এ আন্দোলনের কর্মসূচির মধ্যে ছিল ব্রিটিশ সরকার প্রদত্ত সকল খেতাব ও সম্মানজনক পদবি বর্জন, বিদেশি পণ্য বয়কট, স্কুল-কলেজ, আদালত ইত্যাদি বর্জন।

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এ আন্দোলনের প্রতি সম্মান জানিয়ে ব্রিটিশ প্রদত্ত 'নাইট' উপাধি বর্জন করেন। আন্দোলন দুর্বার হয়ে ওঠে। কিন্তু কংগ্রেস 'আইন অমান্য আন্দোলন'-এর ডাক দিলে উন্মত্ত জনতা উত্তর প্রদেশের চৌরিচৌরা নামক স্থানে একটি পুলিশ ফাঁড়ি অগ্নিদগ্ধ করে একজন দারোগাসহ ২২ জন কনেস্টবলকে পুড়িয়ে হত্যা করে। ফলে ১৯২২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি গান্ধীজী তাৎক্ষণিকভাবে আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘোষণা করেন। তবে আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটলেও তা জনগণের মধ্যে রাজনৈতিক চেতনার সৃষ্টি করে। তাই অসহযোগ আন্দোলন ভারতীয় রাজনৈতিক ইতিহাসে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বলে বিবেচিত। বিবেচিত হয়ে আসছে।

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ