- হোম
- একাডেমি
- সাধারণ
- একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।
ব্রিটিশ ভারতে প্রতিনিধিত্বশীল
নেহেরু রিপোর্ট
১৯৩০ সালের সাইমন কমিশন রিপোর্ট ভারতবাসীকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। তাই ভারতীয় রাজনৈতিক নেতৃবর্গ 'সাইমন কমিশন রিপোর্ট' প্রত্যাখ্যান করে আইন অমান্য আন্দোলন শুরু করে। এ সময় ভারত সচিব বার্কেনহেড ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ** ভারতবাসীদেরকে মিলিতভাবে একটি সংবিধান রচনার চ্যালেঞ্জ প্রদান করেন। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য ১৯২৮ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে ভারতে পূর্ণ দায়িত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠার উপযোগী সংবিধান রচনার উদ্দেশ্যে একটি সর্বদলীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে পণ্ডিত মতিলাল নেহেরুকে সভাপতি করে একটি কমিটি গঠিত হয়। এ কমিটি ১৯২৮ সালের আগস্ট মাসে যে রিপোর্ট পেশ করে তা 'নেহেরু রিপোর্ট' নামে পরিচিত। 'নেহেরু রিপোর্ট' প্রকাশিত হলে মুসলমান নেতৃবৃন্দ মর্মাহত হন'। এই রিপোর্টে প্রকৃত যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার পরিবর্তে অনেকটা এককেন্দ্রিক সরকারের সুপারিশ করা হয় এবং মুসলমানদের জন্য পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা বাতিলেরও সুপারিশ করা হয়। মুসলিম নেতৃবৃন্দ মনে করেন যে, নেহেরু রিপোর্ট হচ্ছে 'লক্ষ্ণৌ চুক্তি', 'বেঙ্গল প্যাক্ট' প্রভৃতির সম্পূর্ণ বিরোধী। মুসলমান নেতৃবৃন্দের সংশোধনী প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হলে তাঁরা দিল্লিতে মুসলিম লীগের সম্মেলন আহ্বান করেন।
সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ