• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
ব্রিটিশ ভারতে প্রতিনিধিত্বশীল

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

ব্রিটিশ ভারতে প্রতিনিধিত্বশীল

পলাশীর যুদ্ধ

পলাশীর যুদ্ধ বাংলার ইতিহাসের সবচেয়ে ট্রাজেডিমূলক অধ্যায়ের সূচনা করে। বাংলার স্বাধীনতা বিশ্বাসঘাতক সেনাপতিদের। ষড়যন্ত্রে ক্রমান্বয়ে একটি বিদেশি কোম্পানির হাতে চলে যায়। পলাশীর প্রান্তরে এক প্রহসনমূলক যুদ্ধ ষড়যন্ত্রের ষোলকলাকে পূর্ণ করে। গোপন চুক্তি বলে বলীয়ান রবার্ট ক্লাইভ তার সেনাবাহিনীসহ মুর্শিদাবাদ আক্রমণে অগ্রসর হলে সেনাধ্যক্ষ মীরজাফরের গোপন আদেশের ফলে হুগলি ও কাটোয়ার ফৌজদাররা বাধা প্রদান করেনি। নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা পঞ্চাশ হাজার সৈন্যসহ ক্লাইভকে বাধাদানের উদ্দেশ্যে পলাশীর প্রান্তরে উপস্থিত হন। ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর যুদ্ধ শুরু হলে মোহনলাল, মীরমদন ও ফরাসী সেনাপতি সিনফ্রের আক্রমণে ক্লাইভের সৈন্যরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। এ সময় ইংরেজ সেনাদের নিক্ষিপ্ত গুলিতে।

মীরমদন নিহত হলে মীরজাফর সেদিনের মতো নবাবকে যুদ্ধ স্থগিত রাখার। পরামর্শ প্রদান করেন। মোহনলাল ও সিনফ্রে নবাবকে যুদ্ধ চালিয়ে যাবার। পরামর্শ প্রদান করেন। কিন্তু তাঁদের অনুরোধ সত্ত্বেও নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা মীরজাফরের পরামর্শ অনুযায়ী সেদিনের মতো যুদ্ধ বন্ধ করার আদেশ প্রদান করেন। বিজয়ের মুখে যুদ্ধ বন্ধ করার এই আদেশ নবাব সৈন্যদেরকে-নিরুৎসাহিত করে তোলে। রবার্ট ক্লাইভ এই সুযোগে এবং বিশ্বাসঘাতক সেনাধ্যক্ষ মীরজাফরের ইঙ্গিতে নবাবের বাহিনীকে আক্রমণ করে বসেন। বিশ্বাসঘাতক সেনাধ্যক্ষ মীরজাফরের ইঙ্গিতে পলাশীর প্রান্তরে অনেকটা, বিনাযুদ্ধে রবার্ট ক্লাইভ জয়লাভ করেন।

পরাজিত নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সৈন্য সংগ্রহের আশায় পাটনার উদ্দেশ্যে রাজমহলের পথে যাত্রা করেন। কিন্তু পথিমধ্যে, মীরজাফরের জামাতা মীর কাশিম কর্তৃক নবাব বন্দী হন। বন্দি নবাবকে মুর্শিদাবাদে নিয়ে আসা হয়। মীরজাফরের পুত্র মীরনের আদেশে মোহাম্মদী বেগ ১৭৫৭ সালের ২৯ জুন নবাব সিরাজ-উদ-দৌলাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেন। নবাব। সিরাজ-উদ-দৌলাকে হত্যার পর মীরজাফর আলী খান সেদিনই বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার নবাব হন। তবে নবাব হলেও তিনি শীঘ্রই ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাতের পুতুলে পরিণত হন। পলাশীর যুদ্ধের পর ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৭৫৭সাল থেকে ১৭৬৫ সাল পর্যন্ত 'নবাব নামধারী মীরজাফরের বংশধর কয়েকজন সাক্ষীগোপাল শাসককে ক্ষমতায় রেখে প্রকৃত শাসন চালাতে থাকে। অবশেষে ১৭৬৫ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বার্ষিক ২৬ লাখ টাকার বিনিময়ে মুঘল সম্রাটের এক ফরমান বলে বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার রাজস্ব আদায়ের ক্ষমতা লাভ করে।

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ