- হোম
- একাডেমি
- সাধারণ
- একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।
ব্রিটিশ ভারতে প্রতিনিধিত্বশীল
লাহোর প্রস্তাব
১৯৪০ সালের ২২ মার্চ অবিভক্ত পাঞ্জাবের রাজধানী লাহোরে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর সভাপতিত্বে মুসলিম লীগের দলীয় অধিবেশন শুরু হয়। এ অধিবেশনে অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব উত্থাপন করেন। নিম্নে লাহোর প্রস্তাবের মূল বক্তব্য দেওয়া হলো:
(ক) নিখিল ভারত মুসলিম লীগ দৃঢ়তার সাথে এ কথা পুনর্ব্যক্ত করছে যে, ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনে যে যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থার পরিকল্পনা রয়েছে তা এ দেশের বিদ্যমান পরিবেশ ও পরিস্থিতির জন্য অনুপযোগী এবং কার্যকরী করার অযোগ্য বিধায় তা ভারতীয় মুসলমানদের নিকট সম্পূর্ণভাবেই অগ্রহণযোগ্য।
(খ) সমগ্র সাংবিধানিক পরিকল্পনাকে নতুন করে পুনর্বিবেচনা করা না হলে ভারতীয় মুসলমানগণ সম্ভ্রষ্ট হবে না এবং মুসলমানদের অনুমোদন এবং সম্মতি ব্যতীত আর কোনো সংশোধিত পরিকল্পনাও তাদের নিকট গ্রহণযোগ্য হবে না।
(গ) নিখিল ভারত মুসলিম লীগের সুচিন্তিত অভিমত এই যে, ভারতে কোনো শাসনতান্ত্রিক পরিকল্পনা কার্যকর হবে না বা তা মুসলমানদের নিকট গ্রহণযোগ্য হবে না, যদি তা নিম্নলিখিত মূলনীতির ওপর ভিত্তি করে রচিত না হয়। যথা:
(১) ভৌগোলিক দিক দিয়ে সংলগ্ন বা সংযুক্ত স্থানসমূহকে অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে।
(২) প্রয়োজন অনুসারে ভৌগোলিক সীমানা পরিবর্তন করে, এমনভাবে গঠন করতে হবে যেখানে ভারতের উত্তর-পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান এলাকাগুলো স্বাধীন রাষ্ট্রসমূহ (Independent States) গঠন করতে পারে।
(৩) এ স্বাধীন রাষ্ট্রসমূহের সংশ্লিষ্ট অঙ্গরাজ্যগুলো স্বায়ত্তশাসিত ও সার্বভৌম হবে।
(ঘ) সকল সংখ্যালঘুদের অধিকার ও স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য উপযুক্ত সাংবিধানিক বা শাসনতান্ত্রিক রক্ষাকবচের দাবি জানানো হয়। বলা হয়, ভারতে যে সকল এলাকায় ও প্রদেশে মুসলিম বা অন্যান্য সম্প্রদায় সংখ্যালঘু, সে সকল এলাকায় ও দু প্রদেশে উক্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলোর সাথে পরামর্শ সাপেক্ষে তাদের ধর্মীয়, কৃষ্টিগত, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক,। প্রশাসনিক ও অন্যান্য ন্যায্য অধিকার এবং স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য সংবিধানে পর্যাপ্ত কার্যকর ও বাধ্যতামূলক রক্ষাকবচের (Safegurd) ব্যবস্থা করতে হবে।
(ঙ) প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র, যোগাযোগ, শুল্ক এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয় সংক্রান্ত সকল ক্ষমতা সংশ্লিষ্ট অঞ্চল বা প্রদেশের হাতে থাকবে।
(চ) উপর্যুক্ত সকল মূলনীতির ভিত্তিতে এ অধিবেশন একটি সাংবিধানিক পরিকল্পনা প্রণয়নের ক্ষমতা মুসলিম লীগ 'ওয়ার্কিং কমিটির' (Working Committee) ওপর অর্পণ করা হয়।
সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ