• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
ব্রিটিশ ভারতে প্রতিনিধিত্বশীল

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

ব্রিটিশ ভারতে প্রতিনিধিত্বশীল

মর্লে-মিন্টো সংস্কার আইন, ১৯০৯

১৮৯২ সালের ভারতীয় কাউন্সিল আইন ভারতবাসীর ক্রমবর্ধমান আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হয়। ভারতবাসীর পক্ষে কংগ্রেস অধিকতর স্বায়ত্তশাসন (Autonomy)-এর দাবি উত্থাপন করতে থাকে। এ অবস্থায় ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ করা হলে ভারতে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা ও অসন্তোষ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। এমনই এক প্রেক্ষাপটে ব্রিটিশ সরকারের তৎকালীন ভারতের সচিব লর্ড মর্লে এবং গভর্নর-জেনারেল লর্ড মিন্টোর উদ্যোগে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ১৯০৯ সালে ভারতীয় কাউন্সিল আইন পাশ হয়, যা মলে-মিন্টো সংস্কার নামে পরিচিত।

মর্লে-মিন্টো সংস্কার আইনের বৈশিষ্ট্যসমূহ (Features of Morley-Minto reform act) এ সংস্কার আইনের প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ ছিল নিম্নরূপ:

১. ১৯০৯ সালের মর্লে-মিন্টো সংস্কার আইনে ব্রিটিশ ভারতে প্রথমবারের মতো প্রতিনিধিত্বশীল (Representative System) ব্যবস্থার প্রবর্তন ঘটে।

২. এ আইনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় আইনসভার সদস্য সংখ্যা ১৬ থেকে ৬৯ জনে বৃদ্ধি করা হয়। ৬৯ জন সদস্যের মধ্যে ৩৭ জন সরকারি সদস্য ও ৩২ জন হলেন বেসরকারি সদস্য।

৩. এ আইনের মাধ্যমে প্রাদেশিক আইনসভার সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়। বড় প্রদেশের ক্ষেত্রে সর্বাধিক ৫০ জন এবং ছোট প্রদেশের জন্য সর্বাধিক ৩০ জন সদস্য থাকার বিধান করা হয়।

৪. ১৯০৯ সালের আইনের দ্বারা মনোনয়ন প্রথার পরিবর্তে নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।

৫. এ আইনের মাধ্যমে আইনসভাগুলোর ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়। আইন পরিষদের সদস্যগণকে যেকোনো প্রশ্ন, সম্পূরক প্রশ্ন উত্থাপনের ক্ষমতা প্রদান করা 'হয়।

৬. এ আইনের মাধ্যমে মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রথমবারের মতো আসন সংখ্যা সংরক্ষণসহ পৃথক নির্বাচন (Separate Election)-এর ব্যবস্থা চালু করা হয়।

৭. এ আইনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল গভর্নর জেনারেল ও গভর্নরের নির্বাহী পরিষদে (Executive Council) ভারতীয়দের অন্তর্ভুক্ত করার বিধান রাখা হয়।

৮. এ আইনে 'আঞ্চলিক প্রতিনিধিত্বের' পরিবর্তে 'শ্রেণি ও স্বার্থের প্রতিনিধিত্বের' দাবি স্বীকৃত হয়।

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ