- হোম
- একাডেমি
- সাধারণ
- একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।
ব্রিটিশ ভারতে প্রতিনিধিত্বশীল
গোল টেবিল বৈঠক
ব্রিটিশ ভারতের রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ব্রিটিশ সরকার লন্ডনে গোল টেবিল বৈঠকের আয়োজন করে। 'নেহেরু রিপোর্ট' এবং 'জিন্নাহর ১৪ দফা' প্রস্তাবের ফলে ভারতবর্ষের শাসনতান্ত্রিক সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করে। এর সমাধানকল্পে ১৯২৯ সালে গভর্নর জেনারেল লর্ড আরউইন লন্ডনে গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠানের কথা ঘোষণা করেন।
গোল টেবিলের প্রথম অধিবেশন চলে ১৯৩০ সালের ১২ নভেম্বর থেকে ১৯৩১ সালের ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। এই বৈঠক উদ্বোধন করেন ব্রিটিশ সম্রাট পঞ্চম জর্জ এবং এতে সভাপতিত্ব করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী র্যামসে ম্যাকডোনাল্ড। এতে মি. জিন্নাহ, তেজ বাহাদুর সঞ্চ, শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক, ড. বি. আর আম্বেদকার প্রমুখ নেতা অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু ভারতকে ডোমিনিয়ন মর্যাদা প্রদানের ঘোষণা প্রদান না করায় কংগ্রেস এতে যোগদান করেনি। সংখ্যালঘু সমস্যা নিয়ে মতৈক্য না হওয়ায় প্রথম গোল টেবিল বৈঠক ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।.
দ্বিতীয় গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ১৯৩১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এবারে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মহাত্মা গান্ধী, মদনমোহন মালব্য ও সরোজিনী নাইডু প্রমুখ বৈঠকে যোগদান করেন। মহাত্মা গান্ধী কেন্দ্রে দ্বৈতশাসন প্রবর্তনের প্রস্তাবসহ কতিপয় প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। মি. জিন্নাহ ও শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক মুসলমানদের স্বার্থ সংরক্ষণ বিষয়ক কতিপয় প্রস্তাব উত্থাপন করেন। ভারতের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্বের প্রশ্নে গান্ধী-জিন্নাহর মধ্যে মতৈক্য না হওয়ায় দ্বিতীয় গোল টেবিল বৈঠক ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।
তৃতীয় গোল টেবিল বৈঠক ১৯৩২ সালের ১৭ নভেম্বর থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী হয়। কংগ্রেস এ বৈঠক বর্জন করে। ব্রিটিশ সরকার উপস্থিত ভারতীয় নেতৃবৃন্দকে খুব বেশি সুযোগ-সুবিধা দিতে অস্বীকার করে। ফলে এবারেও গোল টেবিল বৈঠক ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। গোল টেবিল বৈঠকগুলো সমস্যার সমাধান করতে সফল হয়নি।
সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ