• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
ব্রিটিশ ভারতে প্রতিনিধিত্বশীল

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

ব্রিটিশ ভারতে প্রতিনিধিত্বশীল

১৯৩৭ সালের প্রাদেশিক নির্বাচনের প্রেক্ষাপট

১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহের পরে ব্রিটিশ ভারতের সাংবিধানিক অগ্রগতির ইতিহাসে ১৮৬১ সালের কাউন্সিল আইনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অত্যধিক। এ আইনের মাধ্যমে ভারতে সর্বপ্রথম বঙ্গীয় আইনসভা গঠিত হয় এবং এ আইনসভায় কয়েকজন ভারতীয় সদস্যকে মনোনয়ন দানের ব্যবস্থা করা হয়। ১৮৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস আইনসভাগুলোর সম্প্রসারণ ও সংস্কার সাধনের জন্য দাবি জানাতে থাকে। কংগ্রেসের দাবির প্রেক্ষিতে ভারতের গভর্নর জেনারেল লর্ড ডাফরিন আইনসভার কার্যাবলি সম্প্রসারণ করার উদ্দেশ্যে কয়েকটি সুপারিশ করেন। তার এ সকল সুপারিশই পরবর্তী সময়ের ১৮৯২ সালের ভারতীয় কাউন্সিল আইনে রূপলাভ করে। এ আইনে কোথাও 'নির্বাচন' কথাটি ব্যবহৃত না হলেও বেসরকারি সদস্য মনোনয়নে গভর্নর জেনারেল কার্যত এক ধরনের নির্বাচন ব্যবস্থাই অনুসরণ করেন। বিভিন্ন সংস্থা দ্বারা সুপারিশকৃত প্রার্থিগণকে গভর্নর জেনারেল সদস্য হিসেবে মনোনীত করেন। তাই সদস্য নিয়োগ প্রক্রিয়া কার্যত নির্বাচন প্রক্রিয়াতেই পরিণত হয়।

১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের পর ১৯০৬ সালে ভারতবর্ষে দ্বিতীয় রাজনৈতিক দল মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের দাবির প্রেক্ষিতে ১৯০৯ সালে মর্লে-মিন্টো সংস্কার আইন পাশ হয়। এ আইনের মাধ্যমে ভারতে প্রথমবারের মতো নির্বাচকমণ্ডলীর ভিত্তিতে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের নীতি সরকারিভাবে স্বীকৃত হয় এবং প্রাদেশিক আইনসভা আরও সম্প্রসারণ করা হয়। এ আইনে মুসলমান সম্প্রদায়ের দাবি অনুযায়ী তাদের জন্য 'পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা' প্রবর্তন করা হয়।

১৯০৯ সালের মর্লে-মিন্টো সংস্কার আইন ভারতীয়দের প্রত্যাশার তুলনায় নিতান্তই অপ্রতুল ছিল। এ অবস্থায় ১৯১৯ সালে ভারত শাসন আইন পাশ হয়। এ আইনের দ্বারা প্রাদেশিক আইনসভার আয়তন বৃদ্ধি করা হয় এবং প্রাদেশিক আইনসভার সদস্যদের প্রায় ৭০ ভাগ নির্বাচিত এবং ৩০ ভাগ গভর্নর কর্তৃক মনোনীত করার নীতি গৃহীত হয়। তবে এ আইনের মাধ্যমে প্রদেশে দ্বৈত শাসন প্রবর্তন করা হয়।

বলার অপেক্ষা রাখে না, ১৯১৯ সালের ভারত শাসন আইন ভারতীয়দের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হয়। এ অবস্থায় ব্রিটিশ সরকার ১৯২৭ সালে সাইমন কমিশন গঠন করে। কিন্তু এ কমিশনে ভারতীয়দের মধ্য থেকে কোনো সদস্য অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ তা বর্জন করে। ১৯২৮ সালে নেহেরু রিপোর্ট এবং ১৯২৯ সালে জিন্নাহর চৌদ্দ দফা প্রকাশিত হওয়ার পর ১৯৩৫ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে নতুন ভারত শাসন আইন পাশ হয়। ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনের অধীনে ১৯৩৭সালে প্রাদেশিক আইনসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ