- হোম
- একাডেমি
- সাধারণ
- একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।
ব্রিটিশ ভারতে প্রতিনিধিত্বশীল
১৮৬১ সালের ভারতীয় কাউন্সিল আইনের প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ
১৮৬১ সালের ভারতীয় কাউন্সিল আইনের প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ ছিল নিম্নরূপ:
১. গভর্নর জেনারেলের নির্বাহী পরিষদ ১৮৬১ সালের ভারতীয় কাউন্সিল আইনে গভর্নর জেনারেলের নির্বাহী পরিষদ (Executive Council) ৫ জন সাধারণ সদস্য নিয়ে গঠিত হয়। তন্মধ্যে তিন (৩) জনকে অন্তত দশ (১০) বছর ভারতে কাজ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হতে হবে। এ ৫ জন সাধারণ সদস্যের মধ্যে ৩ জন ভারত সচিব এবং ২ জন ব্রিটিশরাজ কর্তৃক নিযুক্ত হবেন। এর মধ্যে শেষের ২ জনের একজন হবেন আইন বিষয়ক সদস্য এবং অপরজন হবেন অর্থবিষয়ক সদস্য।
২. আইনসভা সম্প্রসারণ: ১৮৬১ সালের আইনে ভারতে সর্বপ্রথম একটি আইনসভা গঠনের বিধান করে এতে ভারতীয়দের মনোনয়ন দানের ব্যবস্থা গৃহীত হয়। এ আইনে ব্যবস্থাপক পরিষদের (Legislative Council) সদস্য সংখ্যা ৬ থেকে ১২ জনে উন্নীত করা হয়। এর ফলে ব্যবস্থাপক পরিষদের আয়তন সম্প্রসারিত হয়। তাছাড়া এ আইনের মাধ্যমেই সর্বপ্রথম আইনসভায় কয়েকজন ভারতীয় সদস্যকে মনোনয়ন দানের ব্যবস্থা করা হয়। ভারতীয় সদস্যগণ বেসরকারি সদস্য বলে বিবেচিত হবেন এবং তাঁরা গভর্নর কর্তৃক ২ বছরের জন্য মনোনীত হবেন।
৩. গভর্নর জেনারেলের ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব এ আইনের মাধ্যমে গভর্নর জেনারেল নির্বাহী পরিষদ এবং ব্যবস্থাপক পরিষদের সভাপতি হবেন। কোনো বিলে সম্মতি প্রদান, ভেটো (veto) প্রয়োগ বা তা ব্রিটিশ রানির জন্য সংরক্ষিত রাখার অধিকার গভর্নর জেনারেলের ছিল। তাঁর পূর্ব অনুমতি ব্যতীত কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিল যেমন- সেনাবাহিনী, সরকারি ঋণ, বৈদেশিক সম্পর্ক ইত্যাদি সম্পর্কিত কোনো বিল আইনসভায় উত্থাপন করা যেত না।
৪. পোর্টফোলিও পদ্ধতি: এ আইনের মাধ্যমে গভর্নর জেনারেল নিজেই নির্বাহী পরিষদের বৈঠক পরিচালনার পদ্ধতি নির্ধারণ করবেন। এভাবেই গভর্নর জেনারেলের হাতে 'পোর্টফোলিও পদ্ধতি' প্রবর্তন করার ক্ষমতা ন্যস্ত হয়। এখানে উল্লেখ্য যে, একজনকে অর্থ বিষয়ক সদস্য, একজনকে আইন বিষয়ক সদস্য এবং অপর একজনকে সামরিক বিষয়ক সদস্য করার মধ্য দিয়ে এ পোর্টফোলিও পদ্ধতি কার্যকর হয়।
৫. বিভাগীয় পদ্ধতি: ১৮৬১ সালের ভারতীয় কাউন্সিল আইন শাসন ব্যবস্থায় বিভাগীয় পদ্ধতি (Departmental system) প্রবর্তন করে। এর ফলে নির্বাহী পরিষদের একেক জনের ওপর এক একটি বিশেষ কাজের দায়িত্ব অর্পিত হয়।
৬. প্রাদেশিক আইনসভা: এ আইনের মাধ্যমে মুম্বাই ও মাদ্রাজের প্রাদেশিক সরকার আইন প্রণয়নের ক্ষমতা লাভ করে। এছাড়া বাংলা, পাঞ্জাব ও উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে প্রাদেশিক আইন পরিষদ (Provincial Legislative Council)-গঠিত হয়।
৭. স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন ১৮৬১ সালের ভারতীয় কাউন্সিল আইন স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।. বিভিন্ন প্রদেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যাতায়াত প্রভৃতির ক্ষেত্রে স্থানীয় সংঘ মনোনীত করা হয়।
সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ