- হোম
- একাডেমি
- সাধারণ
- একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।
ব্রিটিশ ভারতে প্রতিনিধিত্বশীল
১৯৩৭ সালের প্রাদেশিক নির্বাচনের গুরুত্ব
১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইন অনুযায়ী ১৯৩৭ সালের নির্বাচন ছিল ভারতবর্ষে প্রথম নির্বাচন। এ নির্বাচনের মাধ্যমে ভারত উপমহাদেশে প্রকৃত প্রতিনিধিত্বশীল শাসনব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়। এর গুরুত্ব ছিল সুদূরপ্রসারী। নিম্নে এ নির্বাচনের গুরুত্ব আলোচনা করা হলো:
১. প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনের অধীনে ১৯৩৭ সালে প্রদেশে স্বায়ত্তশাসন প্রবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ১৯৩৭ সালের প্রাদেশিক নির্বাচনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে এবং ১৯৩৭ সালের এপ্রিল থেকে প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন কার্যকর হয়। তাই বলা যায়, ১৯৩৭ সালের নির্বাচন ভারতবর্ষের রাজনৈতিক ইতিহাসে খুবই গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে।
২. প্রদেশে দায়িত্বশীল শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন: ১৯৩৭ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে প্রদেশে দায়িত্বশীল শাসনব্যবস্থা বাস্তবে রূপ লাভ করে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিকট মন্ত্রীদের সকল কাজের জন্য দায়ী করা হয়। এর মাধ্যমে ভারতবর্ষের প্রদেশগুলোতে প্রকৃত দায়িত্বশীল শাসনব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়।
৩. ভবিষ্যৎ নির্বাচনের পথ প্রশস্তের ক্ষেত্রে: ১৯৩৭ সালের নির্বাচন ভারতবর্ষে ভবিষ্যৎ নির্বাচনের ভিত্তি রচনা করে। কেননা ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনের অধীনে ১৯৩৭ সালের নির্বাচন ছিল ভারতবর্ষে সর্বজনীন প্রাপ্তবয়স্কদের ভোটের ভিত্তিতে নির্বাচন।
৪. গণতন্ত্রের ভিত্তি রচিত হয়: ১৯৩৭ সালের প্রাদেশিক নির্বাচনের মাধ্যমে ভারতবর্ষে গণতন্ত্রের ভিত্তি রচিত হয়। কেননা এ নির্বাচনের মাধ্যমে ভারতীয় জনগণ সর্বপ্রথম তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ পায়। তাই বলা যায় যে, ১৯৩৭ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে ভারতবর্ষে প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়।
৫. নারীদের ভোটাধিকার লাভ: ১৯৩৭ সালের নির্বাচনে ভারতবর্ষের নারীরা প্রথমবারের মতো ভোটাধিকার লাভ করে। এ নির্বাচনে নারী-পুরুষ সকলে প্রত্যক্ষ ভোটাধিকার লাভ করে। তবে এ নির্বাচনের পর কংগ্রেস শাসিত প্রদেশগুলোতে মুসলমানদের দুঃখ-দুর্দশা মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পায়।
সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ