• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
ব্রিটিশ ভারতে প্রতিনিধিত্বশীল

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

ব্রিটিশ ভারতে প্রতিনিধিত্বশীল

মন্ত্রিমিশন পরিকল্পনার বৈশিষ্ট্যসমূহ

মন্ত্রিমিশন পরিকল্পনার প্রস্তাবগুলো দুই ভাগে বিভক্ত ছিল। যথা: (ক) দীর্ঘমেয়াদি ও (খ) স্বল্পমেয়াদি।

(ক) দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তাব নিম্নে দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তাবগুলো আলোচনা করা হলো:

১. ভারতীয় ইউনিয়ন গঠন: ব্রিটিশ শাসিত প্রদেশ ও দেশীয় রাজ্যগুলোকে নিয়ে একটি সর্বভারতীয় ইউনিয়ন গঠন করা হবে। এ ইউনিয়ন তথা কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র ও যোগাযোগ এ তিনটি বিষয় ন্যস্ত থাকবে। এ সকল বিষয় পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহের ক্ষমতা কেন্দ্রীয় সরকারের থাকবে।

২. প্রদেশসমূহের ক্ষমতা ইউনিয়ন তথা কেন্দ্রীয় সরকারের আওতাভুক্ত তিনটি বিষয় ছাড়া অন্য সকল বিষয় প্রদেশগুলোর হাতে ন্যস্ত থাকবে।

৩. দেশীয় রাজ্যগুলোর ক্ষমতা: ভারতীয় ইউনিয়ন সরকারের ওপর অর্পিত বিষয় ও ক্ষমতা ব্যতীত অন্য সকল বিষয় ও ক্ষমতা দেশীয় রাজ্যগুলোর হাতে ন্যস্ত থাকবে।

৪. ইউনিয়ন বা কেন্দ্রীয় শাসন ও আইন বিভাগ: ব্রিটিশ শাসিত প্রদেশ ও দেশীয় রাজ্যগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে ইউনিয়ন বা কেন্দ্রীয় সরকারের শাসন ও আইন বিভাগ গঠিত হবে।

কেন্দ্রীয় আইনসভায় কোনো সম্প্রদায়ের প্রধান মৌলিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হলে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সম্প্রদায়ের ভোটদানকারী সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন থাকতে হবে।

৬. আইন ও শাসন বিভাগ: প্রতিটি গ্রুপের পৃথক শাসন বিভাগ ও আইন বিভাগ থাকবে এবং যা হবে প্রাদেশিক পর্যায়ে।

৭. সংবিধান সংশোধন ভারতীয় ইউনিয়নের সংবিধান এবং গ্রুপগুলোর রচিত সংবিধানে এমন বিধান থাকবে যে, দশ বছর পর যেকোনো প্রদেশ তার আইনসভার সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সংবিধান সংশোধন কিংবা পুনর্বিবেচনা করতে পারবে।

৮. গ্রুপ ত্যাগ: যেকোনো প্রদেশে সংবিধান রচিত হবার পর সংশ্লিষ্ট গ্রুপ থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে।

৯. গণপরিষদ গঠন: সকল গ্রুপের প্রতিনিধি এবং দেশীয় রাজ্যগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি গণপরিষদ গঠিত 'হবে। এ গণপরিষদ ভারতীয় ইউনিয়নের জন্য নতুন একটি সংবিধান রচনা করবে। এ গণপরিষদের সদস্যগণ প্রাদেশিক আইনসভাগুলোর সদস্যগণের দ্বারা নির্বাচিত হবেন। গণপরিষদে প্রত্যেক প্রদেশের প্রতি ১০ লক্ষ লোকের জন্য ১টি আসন নির্ধারিত থাকবে। জনসংখ্যার অনুপাতে বিভিন্ন সম্প্রদায় তাদের গণপরিষদে আসন লাভ করবে। প্রদেশগুলোর ন্যায় দেশীয় রাজ্যগুলোও একই নীতিতে গণপরিষদে আসন লাভ করবে।

(খ) স্বল্পমেয়াদি প্রস্তাব: মন্ত্রিমিশন পরিকল্পনায় স্বল্পমেয়াদি প্রস্তাবসমূহ ছিল নিম্নরূপ:

১. অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন না হওয়া পর্যন্ত প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলসমূহের প্রতিনিধিদের নিয়ে গভর্নর জেনারেল 'অন্তর্বর্তীকালীন সরকার' (Interim Government) গঠন করবেন।

২. ব্রিটিশ সার্বভৌমত্বের অবসান সংবিধান প্রণয়ন ও ভারত ইউনিয়ন গঠিত হলে দেশীয় রাজ্যগুলোর ওপর থেকে ব্রিটিশ সরকারের সার্বভৌমত্বের অবসান ঘটবে।

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ