• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
ব্রিটিশ ভারতে প্রতিনিধিত্বশীল

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

ব্রিটিশ ভারতে প্রতিনিধিত্বশীল

১৯৪৬ সালের প্রাদেশিক নির্বাচনের গুরুত্ব

১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইন অনুযায়ী প্রতি ৫ বছর পর পর নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে দীর্ঘ ৯ বছর পর ১৯৪৬ সালে ভারতবর্ষে দ্বিতীয় প্রাদেশিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনের গুরুত্ব নিম্নে আলোচনা করা হলো:

১. প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন ১৯৪৬ সালের প্রাদেশিক নির্বাচনের মাধ্যমে প্রদেশে পুনরায় জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে সরকার গঠিত হয়। এ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন আরও গতিশীল ও শক্তিশালী হয়।

২. প্রদেশে পুনরায় দায়িত্বশীল শাসন প্রতিষ্ঠা: ১৯৪৬ সালের প্রাদেশিক নির্বাচনের মাধ্যমে প্রদেশে পুনরায় দায়িত্বশীল শাসন প্রতিষ্ঠা করা হয়। মন্ত্রীদের সকল কাজের জন্য জনগণের ভোটে নির্বাচিত আইনসভার সদস্যদের কাছে দায়ী করা হয়। এর মাধ্যমে প্রদেশগুলোতে পুনরায় দায়িত্বশীল শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়।

৩. পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা ইস্যু: ১৯৪৬ সালের নির্বাচনে মুসলিম লীগ পাকিস্তান ইস্যুর ভিত্তিতে নির্বাচন করে। নির্বাচনের ফলাফল মুসলিম লীগের পাকিস্তান দাবির যৌক্তিকতা প্রমাণ করে। বাংলায় মুসলিম লীগের বিজয় সম্ভব হয়েছিল হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও আবুল হাশিমের যোগ্য নেতৃত্বের কারণে। সুতরাং পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ১৯৪৬ সালের নির্বাচনের ব্যাপক গুরুত্ব রয়েছে।

৪. ভারত স্বাধীনতা ১৯৪৬ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস ৭টি প্রদেশে এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। এ সময় কংগ্রেস ভারতবর্ষে প্রধান রাজনৈতিক দল হিসেবে ব্রিটিশ সরকারের নিকট ভারতবর্ষের স্বাধীনতা দাবি করে। তাই বলা যায় যে, ভারতের স্বাধীনতার ক্ষেত্রেও ১৯৪৬ সালের প্রাদেশিক নির্বাচনের গুরুত্ব রয়েছে অপরিসীম।

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ