- হোম
- একাডেমি
- সাধারণ
- অষ্টম শ্রেণি
- ভাব-সম্প্রসারণ
পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।
ভাব-সম্প্রসারণ
করিতে পারি না কাজ সদা ভয়, সদা লাজ সংশয়ে সংকল্প সদা টলে পাছে লোকে কিছু বলে
করিতে পারি না কাজ, সদা ভয়, সদা লাজ
সংশয়ে সংকল্প সদা টলে, পাছে লোকে কিছু বলে
ভাব-সম্প্রসারণ: মানুষের জীবন কর্মমুখর। কাজের মাধ্যমেই মানবজীবনের সফলতা আসে। কাজ করতে গেলে ভুল হয় এবং ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে মানুষ তার জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যায়। কিন্তু এ পৃথিবীতে সবাই কর্মী নয়। কিছু অলস-অকর্মণ্য মানুষ আছে, যারা সব সময় অন্যের পেছনে লেগে থাকে। তাদের কাজের খুঁত ধরে, অন্যায় সমালোচনা করে। ফলে অনেক সময় কোনো কাজ করতে গেলে কেউ কেউ দ্বিধাগ্রস্ত হয়। কে কী মনে করবে, কে কী সমালোচনা করবে এই সব ভেবে তারা বসে থাকে। যার জন্য কাজ এগোয় না। তাই যারা সমাজে অবদান রাখতে চায় তাদের দ্বিধা করলে চলবে না। দৃঢ় মনোবল নিয়ে লোকলজ্জা ও সমালোচককে উপেক্ষা করতে হবে। মানুষের কল্যাণে মহৎ কাজ করতে হলে ভয়ভীতি সংকোচকে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
করিতে পারি না কাজ, সদা ভয়, সদা লাজ
সংশয়ে সংকল্প সদা টলে, পাছে লোকে কিছু বলে
ভাব-সম্প্রসারণ: সমাজে কিছু দুর্বল মনের মানুষ থাকে। ভয় ও সংকোচ তাদের প্রতিদিনের সঙ্গী। কথা বলতে তারা দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভোগে। কোনো কাজ করতে গেলেও তাদের মনে সংশয় থাকে। ফলে মনের কথাটা প্রয়োজন মতো বলা হয় না। আবার শুভ কাজটাও সঠিক সময়ে সঠিকভাবে করা হয় না।
আরো কিছু দুর্বল মনের মানুষ আছে, যাদের মনে সব সময়ই সন্দেহ জাগে, কে কী মনে করবে, কে কী বলবে, কে কী সমালোচনা করবে। অর্থাৎ লোকে কী ভাববে, এ বিষয়টা নিয়েই তার যত পিছুটান। অথচ সে যা ভাবছে, যা চিন্তা করছে, যা করতে চাচ্ছে তা সমাজের জন্য কল্যাণকর। মানুষ তা থেকে উপকৃত হবে। কেননা প্রতিটি মুহূর্তে শুভ চিন্তা, কল্যাণ ভাবনা, পরোপকারী কাজ তাকে তাড়া করে। সে সমাজের উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য কাজ করতে চায়। শক্তি-সামর্থ্য, অর্থ-বিত্ত তার আছে। কিন্তু উদ্যোগ নিতে গিয়েই দ্বিধা-দ্বন্দ্ব, সমালোচনা-নিন্দার ভয় তাকে পিছু টানে। ফলে শুভ ও কল্যাণকর কাজটা করতে গিয়ে পণ্ডশ্রম হয়। সুন্দর কথা ও সুন্দর কাজ মনের মধ্যেই থেকে যায়, তা কোনো সুফল বয়ে আনতে পারে না।
প্রকৃতপক্ষে যেকোনো সুন্দর বা গঠনমূলক কথা বলতে বা শুভ কাজ করতে পিছুটান থাকা উচিত নয়। কল্যাণ, উন্নতি ও সমৃদ্ধির স্বার্থে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব-ভয় বিসর্জন দিতে হয়। নিশ্চিন্ত নির্ভয়ে ও নিঃসংকোচে শুভ চিন্তা ও কল্যাণ ভাবনাকে কাজে লাগালেই উন্নতি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত হয়।
সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ

