- হোম
- একাডেমি
- সাধারণ
- অষ্টম শ্রেণি
- ভাব-সম্প্রসারণ
পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।
ভাব-সম্প্রসারণ
কীর্তিমানের মৃত্যু নাই
কীর্তিমানের মৃত্যু নাই
অথবা, মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্যে, বয়সের মধ্যে নহে
ভাব-সম্প্রসারণ: মানুষ মরণশীল হলেও কর্মগুণে অমরত্ব লাভ করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে বয়সটা বড় কথা নয়, কীর্তিমান হওয়াটাই বড় কথা। সংক্ষিপ্ত মানবজীবনকে অনন্তকাল বাঁচিয়ে রাখতে হলে তথা স্মরণীয়-বরণীয় করে রাখতে হলে কল্যাণকর কর্মের কোনো বিকল্প নেই।
মৃত্যু অনিবার্য, এটি চিরন্তন সত্য। তবুও মানুষ তার সৎকর্মের মাধ্যমে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকতে পারেন। সেজন্য যাঁরা কীর্তিমান তাঁরা সেবামূলক কাজের মাধ্যমে মানবসমাজে বেঁচে থাকেন বহু যুগ ধরে। এ নম্বর পৃথিবীতে সবই ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। অর্থাৎ কোনো মানুষই পৃথিবীতে চিরকাল বেঁচে থাকতে পারে না। সেজন্য দীর্ঘদিন বেঁচে থাকা বড় কথা নয়, কারণ এতে তার অমরত্ব আসে না। মানুষ অমরত্ব প্রাপ্ত হয় তার কর্মের মাধ্যমে। কর্ম তাঁকে সাধারণ মানুষের অন্তরে চিরদিন বাঁচিয়ে রাখে। অর্থাৎ যেসব মানুষ নিঃস্বার্থভাবে পরোপকারে আত্মনিয়োগ করেন, মানুষের কল্যাণে নিজেদেরকে বিলিয়ে দেন- মৃত্যুর পরেও তাঁরা অমর হয়ে থাকেন মানুষের মাঝে। এভাবে কীর্তিমান ব্যক্তিত্ব তাঁদের সৎকর্মের জন্য অমরত্ব প্রাপ্ত হন। এসব লোকের দৈহিক মৃত্যু হলেও প্রকৃতপক্ষে তাঁরা অমর। সর্বদাই তাঁরা মানবের অন্তরে বিরাজ করেন। মানুষ তাঁদেরকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে এবং তাঁদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। কীর্তিমান ব্যক্তিবর্গের জীবনাদর্শই যুগ যুগ ধরে মানুষের পথপ্রদর্শক হয়ে থাকে।
সক্রেটিস, প্লেটো, গ্যালিলিও প্রমুখের মতো যেসব কীর্তিমান ব্যক্তি মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ করে মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁরা অমর। আবার সুকান্ত ভট্টাচার্যের মতো মাত্র একুশ বছর বয়সে অকালপ্রয়াত কবিও তাঁর সাহিত্যকীর্তিতে অমর হয়ে আছেন। তাই বলা হয়েছে যে, মানুষ বাঁচে তাঁর কর্মের মধ্যে, বয়সের মধ্যে নয়।
সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ

