• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • অষ্টম শ্রেণি
  • ভাব-সম্প্রসারণ
ভাব-সম্প্রসারণ

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

ভাব-সম্প্রসারণ

বিদ্যার সাথে সম্পর্কহীন জীবন অন্ধ এবং জীবনের সাথে সম্পর্কহীন বিদ্যা পঙ্গু

বিদ্যার সাথে সম্পর্কহীন জীবন অন্ধ এবং জীবনের সাথে সম্পর্কহীন বিদ্যা পঙ্গু

ভাব-সম্প্রসারণ: জীবনের জন্যই শিক্ষা। কিন্তু শিক্ষাকে অবশ্যই হতে হবে জীবনমুখী, তা না হলে সে শিক্ষা কোনো সুফল বয়ে আনে না। বিদ্যা মহামূল্যবান সম্পদ। কেউই এ সম্পদ অর্থের বিনিময়ে কিনতে পারে না। বিদ্যা মানবজীবনের অন্ধকার দূর করে এবং জীবনকে উজ্জ্বল, আলোকিত, সমৃদ্ধ ও পুণ্যময় করে। মনের কালিমা, অন্তরের গ্লানি ও হৃদয়ের আবিলতা দূর করে বিদ্যা মানবজীবনকে করে মহীয়ান, উদ্দীপ্ত ও তীক্ষ্ণ। বিদ্যার সংস্পর্শে জীবন হয় মোহমুক্ত, সতেজ ও আনন্দময়। বিদ্যার মাধ্যমেই পৃথিবীর তাবৎ রহস্য, জ্ঞান-বিজ্ঞান আজ মানুষের মুঠোর মধ্যে অধিগত। বিদ্যার বলেই মানুষ পৃথিবীর অফুরন্ত সম্পদের সন্ধান লাভ করেছে, করায়ত্ত করেছে। অতএব বিদ্যার সঙ্গে সম্পর্ক না থাকলে মানুষকে অন্ধ, অসহায়ের মতোই প্রতিকূল পৃথিবীতে সশঙ্ক জীবন-যাপন করতে হতো তাতে কোনো সংশয় নেই। কেবল চক্ষু থাকলেই সে পারত না এ পৃথিবীর সম্পদ সৌন্দর্যের সন্ধান করতে কিংবা তাকে অধিকারে আনতে, যদি না তার বিদ্যা থাকত। বিদ্যার সাথে সম্পর্কহীন তথা অশিক্ষিত ব্যক্তি দেশ ও দশের কল্যাণ করতে পারে না। শিক্ষার মাধ্যমেই মানবীয় গুণাবলি অর্জন সম্ভব। পঙ্গু চলাচলে অক্ষম। অন্যের সাহায্য ছাড়া সে চলতে পারে না। তাই তারা সমাজের জন্য বোঝাস্বরূপ। তাদের দিয়ে সমাজের কল্যাণকর কিছু আশা করা যায় না। তেমনি জীবনের সাথে সম্পর্কহীন বিদ্যা অচল। এটি মানুষের প্রয়োজন মিটাতে অপারগ। বাস্তবতা বর্জিত বিদ্যা অসম্পূর্ণ। জীবন-কর্মে বিদ্যার প্রয়োগ সুনিশ্চিত না হলে সে বিদ্যার অর্থশূন্যতা দেখা দেয়। জীবনধর্মী শিক্ষাই মানুষকে কর্মে ও জ্ঞানে উদ্বুদ্ধ করে তোলে। যুগোপযোগী শিক্ষা বাস্তবধর্মী ও কল্যাণমুখী। শিক্ষাহীন জীবন এবং জীবন-সম্পর্কহীন শিক্ষা কোনোটিই আমাদের কাম্য হওয়া উচিত নয়। আমাদের কাম্য হওয়া উচিত জীবনঘনিষ্ঠ সুশিক্ষা।

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ