- হোম
- একাডেমি
- সাধারণ
- অষ্টম শ্রেণি
- ভাব-সম্প্রসারণ
পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।
ভাব-সম্প্রসারণ
অর্থই অনর্থের মূল
অর্থই অনর্থের মূল
ভাব-সম্প্রসারণ: জীবনে চলতে হলে অর্থের প্রয়োজন। আবার অতিরিক্ত অর্থের কোপানলে পড়েও মানুষ ধ্বংস হয়।
কথায় বলে, দুনিয়াটা টাকার বশ। এ পৃথিবীতে অর্থ বা ঐশ্বর্য মানুষের একান্ত কাম্য। অর্থের জন্য মানুষ জীবনসংগ্রামে লিপ্ত হয়। এ পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য অর্থের প্রয়োজন অনস্বীকার্য। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অর্থের চাহিদা অপূরণীয়। মানুষ তার কাঙ্ক্ষিত অর্থ অর্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করে। বর্তমান পৃথিবীতে একমাত্র অর্থের মাপকাঠি দ্বারাই প্রতিপত্তি ও সম্মান নির্ণীত হয়। বিপদে-আপদে, উৎসবে, জন্ম-মৃত্যুতে, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই অর্থের প্রয়োজন। আবার অর্থের প্রতি অতিরিক্ত লোভেই মানুষ মানুষকে খুন করতে পারে। অর্থের জন্য মানুষের এ পাশবিকতা মানুষকে সর্বনাশের পথে ঠেলে দেয়। বেশি অর্থে বেশি সুখশান্তি বিরাজমান মনে করে লোভী মানুষ অর্থ উপার্জনের জন্য অবৈধ পথ ধরে। ফলে অন্যের ওপর অত্যাচার, অনাচার, দুর্নীতি চালিয়ে, অন্যকে শোষণ করেই নিজের সমৃদ্ধি ঘটানোর চেষ্টা চালায়। পরিণামে অর্থলোভী মানুষ সমাজে নানা রকম সমস্যার সৃষ্টি করে অনর্থ ঘটায়। অর্থ জীবনে সুখের উপকরণ। অবৈধ পথে তা উপার্জনের জন্য লোভী মানুষ তৎপর। এ লোভ মানুষকে পাপের দিকে ঠেলে দেয়, অন্যায়ের পথে পরিচালিত করে। তাই-অর্থকে অনর্থের মূল বলা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
জগতের সকল অশান্তি ও অনর্থের মূলে রয়েছে অর্থ। অর্থের লোভেই সীমার ইমাম হোসেনকে হত্যা করেছিল। অর্থের লোভেই মানুষ নৈতিকতা বিসর্জন দেয়। অর্থই মানুষের জীবননাশের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই বিজ্ঞ লোকেরা বলেন, 'অর্থই অনর্থের মূল।'
সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ

