• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • অষ্টম শ্রেণি
  • ভাব-সম্প্রসারণ
ভাব-সম্প্রসারণ

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

ভাব-সম্প্রসারণ

গ্রন্থগত বিদ্যা আর পর হস্তে ধন, নহে বিদ্যা, নহে ধন হলে প্রয়োজন

গ্রন্থগত বিদ্যা আর পর হস্তে ধন

নহে বিদ্যা, নহে ধন হলে প্রয়োজন

ভাব-সম্প্রসারণ: বিদ্যা আয়ত্ত না করে শুধু গ্রন্থে সংরক্ষণ করলে এবং নিজের অর্থ-সম্পদ পরের হাতে থাকলে তা কোনো কাজে আসে না। অর্থাৎ বইয়ের বিদ্যা যা আত্মস্থ হয়নি এবং নিজের সম্পদ যা নিজের আয়ত্তে আসেনি- প্রয়োজনের সময় তা কোনো কাজে ব্যবহার করা যায় না।

মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব। তার বিবেক আছে। মানুষ জ্ঞান অর্জন করে মহৎ গুণাবলির অধিকারী হয়। পরিশ্রম ও বুদ্ধি দিয়ে সে অর্থ উপার্জন করে। জ্ঞান ও অর্থ মানুষের মনুষ্যত্বকে পূর্ণতা দেয়। জ্ঞান অর্জন করতে হলে তাকে পড়াশুনা করতে হয়। গ্রন্থ বা বই জ্ঞানের ভান্ডার। এ গ্রন্থ পাঠ করে মানুষ তার জ্ঞানের পরিধি বিস্তৃত করতে পারে। জ্ঞানের ধারক ও বাহক হচ্ছে বই। গ্রন্থে আবদ্ধ মননের সোনালি শস্যের স্বাদ পেতে হলে আমাদেরকে বই পড়তেই হবে। কিন্তু বই হৃদয়ঙ্গম না করে কেবল প্রচুর বই সংগ্রহে রাখলেই তাকে জ্ঞানী বলা যায় না। কারণ ব্যক্তিগত, সামাজিক ও জাতীয় জীবনের প্রয়োজন দেখা দিলে গ্রন্থগত সে বিদ্যা কোনো কাজেই আসে না। কেবল মুখস্থ করে পরীক্ষা পাস করলেই প্রকৃত শিক্ষিত হতে পারে না।। যদি গ্রন্থের আদর্শকে আত্মস্থ করা না যায়, তাহলে তা জীবনের কোনো উপকারেই আসে না। বিদ্যার পোশাকিরূপে দেহশোভিত করলেই যথার্থ বিদ্বান হওয়া যায় না। যেমন নিজের ধন অন্যের কাছে থাকলে প্রয়োজনের সময় উপকারে আসে না। বিদ্যা ও ধন মানুষের অতি প্রয়োজনীয় জিনিস। তাদের কাজে লাগাতে হলে বিদ্যাকে করতে হয় আত্মস্থ আর ধনকে রাখতে হয় নিজের আয়ত্তে। সেজন্যেই বলা হয়েছে, পুঁথিগত বিদ্যা যেমন নিষ্প্রয়োজন, তেমনি পর হস্তে ধনও নিরর্থক।

বই জ্ঞান অর্জনের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম এটি যেমন সত্য, তেমনি এও সত্য বই থেকে আহরিত জ্ঞানকে কাজে লাগাতে ব্যবহারিক শিক্ষা গ্রহণ করতে হয় এবং ধনসম্পদ নিষ্ঠার সঙ্গে আপন আয়ত্তে আনতে হয়। তাহলেই তা উপকারে আসে।

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ