- হোম
- একাডেমি
- সাধারণ
- অষ্টম শ্রেণি
- ভাব-সম্প্রসারণ
পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।
ভাব-সম্প্রসারণ
পিতামাতা গুরুজনে দেবতুল্য জানি, যতনে মানিয়া চলো তাহাদের বাণী
পিতামাতা গুরুজনে দেবতুল্য জানি,
যতনে মানিয়া চলো তাহাদের বাণী
ভাব-সম্প্রসারণ: পিতা-মাতা ও গুরুজন আমাদের সার্বিক কল্যাণের জন্যই উপদেশ-নির্দেশ দিয়ে থাকেন। সেগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করা বা মেনে চলা আমাদের কর্তব্য।
মানবীয় গুণসম্পন্ন মানুষকে আমরা অপার ভক্তি-শ্রদ্ধা করি- দেবতাতুল্য মনে করি। বাবা-মাও মানবীয় গুণসম্পন্ন-দেবতাতুল্য। তাঁদের প্রতি আমাদের অগাধ আস্থা ও বিশ্বাস। তাই তাঁদেরকে ভালোবাসি, ভক্তি-শ্রদ্ধা করি। কেননা তাঁরাই আমাদের জীবন দান করেছেন, অনেক কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার করে লালন-পালন করেছেন। অসুখে-বিসুখে, বিপদে-আপদে 'তাঁরাই আমাদের সেবা-যত্ন করেন, আমাদের রক্ষা করেন। পিতা-মাতার মতো গুরুজনেরাও আমাদের সুস্থ জীবন বিকাশে সহায়তা করেন, স্নেহ-মমতা দিয়ে বড় করে তোলেন। পিতা-মাতা ও গুরুজনেরা আমাদের চেয়ে অনেক বড়। তাঁরা অনেক দেখেছেন, শুনেছেন, সংগ্রাম করেছেন, শিখেছেন। তাই তাঁরা অনেক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। কোনটা ভালো, কোনটা মন্দ, কীভাবে কোন কাজ করতে হবে, নানা ধরনের মানুষের সাথে কেমন আচরণ করতে হবে- কথা বলতে হবে, কখন কী করতে হবে ইত্যাদি নানা বিষয়ে তারা আমাদেরকে ধারণা দেন, উপদেশ দেন। সেগুলো আমাদেরকে আন্তরিকভাবে অনুসরণ করতে হবে। তাহলে এই কঠিন ও জটিল পৃথিবীতে চলতে আমরা হোঁচট খাব না। বিশ্বের মহান ব্যক্তিরাও আমাদের শ্রদ্ধেয়, তাঁদের কাছ থেকেও আমরা শিখব, জানব। তাঁদের উপদেশও আমাদের চলার পথের আলোকবর্তিকা হিসেবে থাকবে। আমরা জানি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, বায়েজিদ বোস্তামি কীভাবে গুরুজনদের আদেশ-উপদেশ পালন করেছেন। তাঁদের দোয়ায় তাঁরা শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন।
পিতা-মাতা ও গুরুজনদের নির্দেশ-উপদেশ এবং বাণী আমাদেরকে অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতে হবে। তাহলেই আমরা নিজেদের জীবন সুন্দর করে গড়ে তুলতে পারব এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে পারব।
সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ

